FIFA World Cup 2022

ফাঁসির মুখে ইরানের ফুটবলার, বিশ্বকাপ ফাইনালের আগে মনে করালেন ‘ওয়াকা ওয়াকা’-র শাকিরা

শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে মেতে উঠেছিল বিশ্ব। স্পেনের ফুটবলার জেরার্ড পিকের প্রাক্তন স্ত্রী শাকিরা। তিনিই রবিবার মনে করিয়ে দিলেন ইরানের এক ফুটবলারের কথা।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১৮ ডিসেম্বর ২০২২ ২০:৪৮
Share:

শাকিরা মনে করিয়ে দিলেন ইরানের এক ফুটবলারের কথা। —ফাইল চিত্র

ফুটবল বিশ্বকাপ নিয়ে মেতে সারা বিশ্ব। সকলের নজর লিয়োনেল মেসি এবং কিলিয়ান এমবাপের দলের দিকে। কিন্তু ২০১০ সালের বিশ্বকাপের ‘থিম সং’ গাওয়া শাকিরা মনে করিয়ে দিলেন আমির নাসেরের কথা। হিজাব বিরোধী আন্দোলনে ইরানের মহিলাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে এই ফুটবলারকে। মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়ে থাকা নাসেরের নাম উঠে এল শাকিরার টুইটে।

Advertisement

শাকিরার ‘ওয়াকা ওয়াকা’ গানে ২০১০ সালের বিশ্বকাপে মেতে উঠেছিল বিশ্ব। স্পেনের ফুটবলার জেরার্ড পিকের প্রাক্তন স্ত্রী শাকিরা। তিনি রবিবার টুইট করে লেখেন, “আজ ফুটবল বিশ্বকাপের ফাইনাল। আশা করব মাঠে থাকা ফুটবলাররা এবং সারা বিশ্ব মনে রাখবে যে, এক জন ফুটবলারকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়েছে মেয়েদের অধিকার নিয়ে কথা বলার জন্য। আশা করব এক মিনিটের নীরবতা পালন করা হবে। সেই নীরবতা অনেক চিৎকারের থেকে বেশি শক্তি রাখে।” ফাইনাল শুরুর আগে যদিও কোনও নীরবতা পালন করা হয়নি।

ইরানে মহিলাদের উপর হয়ে চলা অত্যাচারের প্রতিবাদ বিশ্বকাপের সময়ে করেছিলেন সে দেশের ফুটবলাররা। প্রথম ম্যাচে তাঁরা জাতীয় সঙ্গীতের সঙ্গে গলা মেলাননি।

Advertisement

সে দেশের ফুটবলার আমির নাসেরকে ফাঁসি দেওয়ার চিন্তা করছে ইরান সরকার। ইরানের একটি ওয়েবসাইট জানিয়েছে, আমির নাসের-আজাদানি এবং আরও দুই ব্যক্তিকে সরকার পরিচালিত একটি টিভি চ্যানেলে জোর করে হাজির করে অপরাধের জন্য ক্ষমা চাইতে বাধ্য করানো হয়েছে। তাতেও শাস্তি কমছে না। মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার কথা ভাবছে ইরানের সরকার।

ইরানের তরুণী মাহশা আমিনির মৃত্যুর প্রতিবাদ ইরানে এখনও দেশজুড়ে হিজাব-বিরোধী প্রতিবাদ চলছে। সে রকমই একটি প্রতিবাদে অংশ নিয়েছিলেন আমির। স্থানীয় মানুষের সঙ্গে সংঘর্ষে ইরানের সেনাবাহিনীর কর্নেল এস্মায়েল চেরাঘি এবং আরও দুই সেনার মৃত্যু হয়। সেই মৃত্যুর জন্য দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে আমিরকে। সেই প্রতিবাদে আমিরের উপস্থিত থাকার প্রমাণ পাওয়া গিয়েছে। তবে স্থানীয়েরা জানিয়েছেন, স্লোগান দেওয়া ছাড়া আমির আর কোনও অপরাধমূলক কাজের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন