Lionel Messi

বিশ্বজয়ী আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে বড় অভিযোগ! প্রশ্ন, মেসিদের দলে কোনও কৃষ্ণাঙ্গ নেই কেন?

আমেরিকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশ্ন তুলে দিলেন, কেন মেসিদের দলে একজনও কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার ছিল না? শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ বিতাড়নের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ৩০ জানুয়ারি ২০২৩ ১৬:৪৭
Share:

গত ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সকে ফাইনালে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। —ফাইল চিত্র

কাতার বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনা ট্রফি জেতার পরে এক মাসেরও বেশি সময় কেটে গিয়েছে। হঠাৎই লিয়োনেল মেসিদের বিশ্বজয় নিয়ে নতুন বিতর্ক দেখা দিল। আমেরিকার এক প্রভাবশালী ব্যক্তি প্রশ্ন তুলে দিলেন, কেন মেসিদের দলে একজন কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলার ছিল না? শুধু তাই নয়, আর্জেন্টিনার বিরুদ্ধে কৃষ্ণাঙ্গ বিতাড়নের অভিযোগও তুলেছেন তিনি।

Advertisement

গত ১৮ ডিসেম্বর ফ্রান্সকে ফাইনালে হারিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছিল আর্জেন্টিনা। মেসির জীবনের এটা প্রথম বিশ্বকাপ। স্বাভাবিক ভাবেই গোটা দেশ এখনও আনন্দে উদ্বেল। এর মধ্যেই আমেরিকার জনপ্রিয় ব্যক্তিত্ব জো বাডেন এই প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন। নাম এবং পদবীর সঙ্গে আমেরিকার বর্তমান প্রেসিডেন্টের মিল থাকলেও বাডেন বিতর্কে থাকতেই ভালবাসেন। তিনিই নিজের পডকাস্টে মেসিদের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন।

বাডেন বলেছেন, “মেসিরা বিশ্বকাপ জেতার জন্য আমি খুশি। পেনাল্টিতে দারুণ ভাবে জিতেছে ওরা। কিন্তু কৃষ্ণাঙ্গদের প্রতি ওদের মনোভাব দেখে একটু অবাকই হলাম। আর্জেন্টিনার হয়ে কোনও কৃষ্ণাঙ্গকেই খেলতে দেখলাম না। আর্জেন্টিনার যত মানুষকে উৎসব করতে দেখেছি, সেখানেও কোনও কৃষ্ণাঙ্গকে দেখিনি। আমার বেশ অবাক লেগেছে ব্যাপারটা। যত দূর জানি, ওদের দেশে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা বেশ ভালই। কিন্তু সেই চিত্রটা কোথাও দেখা যাচ্ছে না।”

Advertisement

কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছেন সেটা স্পষ্ট করে জানাননি বাডেন। তবে বোঝা গিয়েছে, অনলাইনেই এই তথ্য পেয়েছেন তিনি। সেটিকে সূত্র করেই বিস্ফোরক অভিযোগ করেছেন। বাডেন বলেছেন, “আর্জেন্টিনায় কৃষ্ণাঙ্গদের ধীরে ধীরে বিলুপ্ত করে দেওয়া হচ্ছে। সাদা চামড়ার মানুষদের আধিক্য দেখা যাচ্ছে। আমরা সবাই জানি যে ১৮৬৮ থেকে ১৮৭৪ পর্যন্ত আর্জেন্টিনার প্রেসিডেন্ট যিনি ছিলেন, তিনি নরহত্যা করে অ্যাফ্রো-আর্জেন্টিনীয় মানুষদের সে দেশ থেকে মুছে দিয়েছেন। তাতে কৃষ্ণাঙ্গদের সংখ্যা এতটাই কমে যায় যে আফ্রিকার বাসিন্দাদের সে দেশে ঠাঁই দিতে বাধ্য হয় সরকার।”

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন