সফিকুল। শহরে বাংলাদেশের প্রাক্তন অধিনায়ক। —নিজস্ব চিত্র
কামাল-কাণ্ড না কি অতীত। বাংলাদেশের ক্রিকেট মহল অধীর আগ্রহে তাকিয়ে জুনে ধোনিদের সফরের দিকে। এমনকী পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বাংলাদেশের পারফরম্যান্সের পর ভারত-বাংলাদেশ টেস্টের সম্ভাবনাও না কি দেখা দিয়েছে।
মঙ্গলবার বিসিসিআই প্রেসিডেন্ট জগমোহন ডালমিয়ার শহরে বসে এই খবর দিলেন বাংলাদেশ বোর্ড ঘনিষ্ঠ সে দেশের প্রাক্তন ক্রিকেটার সফিকুল হক। বাংলাদেশের ক্রিকেট মহলে যিনি িহরা নামে বিখ্যাত।
গত টি টোয়েন্টি বিশ্বকাপে যিনি বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার ছিলেন, সেই সফিকুল সদ্য বাংলাদেশ বোর্ডের উপদেষ্টা কমিটিতে এসেছেন আতাহার আলি ও জাহাঙ্গির আলমের সঙ্গে। ব্যাক্তিগত সফরে শহরে এসে এ দিন রাতে বললেন, ‘‘মুস্তাফা কামাল সাহেব আবেগের বশে হয়তো এমন কিছু করে ফেলেছেন, যা আইসিসি প্রেসিডেন্ট হিসেবে তাঁর করা উচিত হয়নি। বাংলাদেশ বোর্ড তাই বিষয়টাকে বেশি দূর এগিয়ে নিয়ে যেতে রাজি নয়।’’
আইসিসি-র যে সভায় বাংলাদেশ বোর্ড বিষয়টি নিয়ে ঝড় তুলবে বলে হুঙ্কার দিয়েছিলেন কামাল, দুবাইয়ের সেই সভায় সে দেশের বোর্ড প্রেসিডেন্ট নাজমুল হক তেমন কিছু তো করেনইনি, উল্টে ভারতের বাংলাদেশ সফর চূড়ান্ত করে এসেছেন বলে জানালেন সফিকুল। বলেন, ‘‘ভারতের সঙ্গে আমাদের বোর্ডের সম্পর্ক যথেষ্ট ভাল। আমাদের দল পাকিস্তানের বিরুদ্ধে দারুন পারফরম্যান্স দেখাচ্ছে। তাই জুনে ভারতের সফরের দিকে সারা দেশ তাকিয়ে রয়েছে।’’
মিডিয়ার কাছে ভারত-বাংলাদেশ ম্যাচে আইসিসি ও আম্পায়ারদের বিরুদ্ধে পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তোলায় মুস্তাফা কামালকে ফাইনালের পর বিজয়ী দলের হাতে কাপ তুলে দেওয়ার দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছিল। দেশে ফিরে কামাল বলেছিলেন, বাংলাদেশ বোর্ড ও বাংলাদেশের সরকার এই অপমানের বদলা নেবে। আইসিসি-র পরবর্তী সভায় এই নিয়ে ঝড় তোলারও পূর্বাভাস দিয়েছিলেন তখন কামাল। কিন্তু সে সব কিছুই না হওয়ায় আপাতত তিনি ক্রিকেট থেকে অনেকটাই দূরে বলে জানান সফিকুল। বলেন, ‘‘ক’দিন আগে কামাল সাহেব মাঠে এসেছিলেন বাংলাদেশ-পাকিস্তান ম্যাচ দেখতে। এ ছাড়া ওঁকে ইদানীং ক্রিকেটের সঙ্গে জড়িয়ে থাকতে খুব একটা দেখা যাচ্ছে না। এমনিতেই উনি দেশের প্ল্যানিং মিনিস্টার। খুব ব্যস্ত লোক কি না।’’
ইঙ্গিতটা স্পষ্ট। বুদ্ধিমানেরা বুঝবেন সহজেই।