অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট নিয়ে বিতর্ক বেড়েই চলেছে। রবিবার যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে ইংল্যান্ড বনাম চিলে ম্যাচ দেখার টিকিট না পেয়ে ক্ষুব্ধ ভারতের প্রাক্তন ফুটবলাররা।
অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের কয়েক মাস আগেই ফিফার তরফে বাংলার নিয়ামক সংস্থার কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল ফুটবলারদের জন্য কত টিকিট দরকার। আইএফএ-র তরফে দু’শো জন ফুটবলারের নামের তালিকা পাঠানো হয় ফিফার কাছে। তবুও সকলে টিকিট পেলেন না।
কেন? আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ের দাবি, ‘‘ফিফা আমাদের প্রথমে পঞ্চাশটা টিকিট দিয়েছিল। তার পরে আরও পঁচাশিটা টিকিট দেওয়া হয়। আমরা পদ্মশ্রী ও অর্জুন পুরস্কারজয়ী ষোলো জন ফুটবলারকে সিজন টিকিট দিয়েছি। বাকিদের টিকিট দেওয়া হয়েছে লটারির মাধ্যমে। লটারি করেছেন মনোরঞ্জন ভট্টাচার্য, জামশিদ নাসিরি, কার্তিক শেঠ, দীপেন্দু বিশ্বাস ও অশোক চন্দের মতো প্রাক্তন তারকারা।’’ উৎপলবাবু সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘যাঁরা টিকিট পাননি, তাঁদের জন্য ফের লটারি করা হবে।’’
আরও পড়ুন: ফিরছে বরিস, কলম্বিয়াকে সমীহ করেই নামছে ভারত
লটারির মাধ্যমে টিকিট দেওয়ার পদ্ধতি খুব একটা শোনা যায়নি কোনও খেলাতেই। এই পদ্ধতি দেখেই ক্ষুব্ধ জাতীয় দলের প্রাক্তন তারকা অলোক দাস, অমিত দাস, দীপেন্দু-রা। তাঁদের বক্তব্য, ‘‘কলকাতায় বিশ্বকাপ হচ্ছে অথচ আমরা টিকিট পাচ্ছি না, এ খুবই দুঃখজনক। দেশের হয়ে খেলার জন্য যে এমন অভিনব পুরস্কার পাব, ভাবতেই পারছি না।’’
টিকিট নিয়ে ক্ষোভ ছিল আইএফএ-র আজীবন সদস্যদের মধ্যেও (আনন্দবাজার-এ যে খবর প্রকাশিত হয়েছিল)। আইএফএ সচিব অবশ্য তাঁদের হাতে রবিবারের ম্যাচের টিকিট তুলে দেন। তা সত্ত্বেও প্রথম ম্যাচে পুরোপুরি ভরেনি যুবভারতী। অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের জন্য যুবভারতীর আসনসংখ্যা কমিয়ে ৬৬ হাজার ৬৮৭ করা হয়েছে। কিন্তু এ দিন দর্শক হয় ৪৬ হাজারের মতো।
তা হলে যুবভারতী ‘সোল্ড আউট’ দেখাচ্ছে কেন? পড়ে থাকা টিকিট সব গেল কোথায়? সূত্রের খবর, তেরো হাজার টিকিট রাজ্য সরকার এবং বিভিন্ন সরকারি দফতরকে দিয়েছে ফিফা। যার মধ্যে পাঁচ হাজার ছাত্রছাত্রীদের জন্য। কোন নিয়মে এই টিকিট দেওয়া হয়েছে, তা অবশ্য পরিষ্কার নয়। যুবভারতী হাউসফুল না হওয়ায় হতাশা গোপন করেননি প্রোজেক্ট ডিরেক্টর জয় ভট্টাচার্য। ফেসবুকে তিনি লেখেন, ‘বিভিন্ন সংস্থা, পুলিশ ও আরও অনেকে টিকিট সংগ্রহ করেছেন। অনেকে সেই টিকিট ব্যবহার করলেন না। বহু সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হলেন। যা অত্যন্ত দুঃখজনক।’