শিলিগুড়ির তিনজন এবং জলপাইগুড়ির একজন, মোট চার জন ছাত্র অনূর্ধ্ব ১৩ ‘অ্যাটলেতিকো ডি কলকাতা’ (এটিকে) দলে নির্বাচিত হয়েছে। এদের মধ্যে সমীর ছেত্রী শিলিগুড়ি এক্তিয়ারশেল তিলেশ্বরী হাই স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্র। শিলিগুড়ি কৃষ্ণমায়া নেপালি হাই স্কুলের সপ্তম শ্রেণির ছাত্র সুজিৎ রায়। তৃতীয়জন, শিলিগুড়ি বাঘাযতীন কলোনির রাজকুমার মূর্মু। জলপাইগুড়ির মাইকেল মধুসূদন কলোনির বাসিন্দা সুমন হালদার উত্তরবঙ্গের চতুর্থ নবীন প্রতিভা হিসেবে এই সুযোগ পেয়েছে।
সমীর আর সুজিত অতি সাধারণ পরিবার থেকে উঠে এসেছে। এক সময় খেলার সামগ্রী কেনার ক্ষমতাও তাদের ছিল না। সমস্যা ছিল, নিজেদের পড়ার খরচ জোগাড় করায়। অন্যের বুট, মোজা, জার্সি পড়েই তাদের মাঠে নামতে হয়েছে কতদিন। সে সেময় পাশে দাঁড়িয়েছিল শিলিগুড়ি ফুটবল অ্যাকাডেমি।
অ্যাকাডেমির পক্ষ থেকে তাদের তিনবছর প্র্যাকটিস করানো হয়েছে। দেওয়া হয়েছে খেলার বিভিন্ন সামগ্রীও। অ্যাকাডেমির সম্পাদক শুভাশিষ ঘোষ জানান, সমীর উইং হাফে খেলে। সুজিত ডিফেন্ডার। অনেক ম্যাচ জিতিয়ে তারা অ্যাকাডেমিকে গর্বিত করেছে বলে জানালেন সম্পাদক।
সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন কোচ জয়ব্রত ঘোষ এবং গৌতম গুহ। জয়ব্রতবাবু এ দিন জানান, উত্তরবঙ্গের জেলাগুলিতে এটিকে-র পক্ষ থেকে প্রাথমিক ট্রায়ালে ৪০ জনকে নির্বাচন করা হয়। তার মধ্যে এই চারজনকে চূড়ান্ত নির্বাচন করেছে এটিকে। তিনি বলেন, ‘‘দু’বছর এদের প্রশিক্ষণ দেবে এটিকে। ভাল খেললে অনূর্ধ্ব ১৫ দলে সুযোগ পাবে এই চারজন।’’
চার পড়ুয়ার সাফল্যে স্বভাবতই খুশি শহরের ফুটবল মহল।