পরিচিত পাপালিতে স্বস্তি শিলিগুড়ির

চ্যালেঞ্জ দেখলেই তেতে যান। কিন্তু মুখ দেখলে বোঝা যায় না। রাগটা প্রকাশ পায় মাঠে। তিনি শাহজাদা অব শিলিগুড়ি, ঋদ্ধিমান সাহা। প্রিয় পাপালির ডবল সেঞ্চুরির পরে শিলিগুড়ি এই কথাটাই বলছে। ঋদ্ধিমান সাহার ছোট বেলার বন্ধুদের বক্তব্য, ছেলেবেলা থেকেই পাপালি এমনই।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৫ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৪২
Share:

শিলিগুড়িতে একটি ক্লাবে খুদে অনুরাগীদের সঙ্গে ঋদ্ধিমান। — ফাইল চিত্র

চ্যালেঞ্জ দেখলেই তেতে যান। কিন্তু মুখ দেখলে বোঝা যায় না। রাগটা প্রকাশ পায় মাঠে। তিনি শাহজাদা অব শিলিগুড়ি, ঋদ্ধিমান সাহা।

Advertisement

প্রিয় পাপালির ডবল সেঞ্চুরির পরে শিলিগুড়ি এই কথাটাই বলছে। ঋদ্ধিমান সাহার ছোট বেলার বন্ধুদের বক্তব্য, ছেলেবেলা থেকেই পাপালি এমনই। এ বারও অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে টেস্ট সিরিজে ঋদ্ধিমানের জায়গা পাওয়া একরকম নিশ্চিতই ছিল। কিন্তু ইংল্যান্ডের সঙ্গে টেস্টে আঘাত পেয়ে ছিটকে যাওয়ার পরে পার্থিব পটেল তাঁর জায়গায় ভাল খেলেছেন। তারপরে রঞ্জি ফাইনালেও সেঞ্চুরি করে গুজরাতকে জিতিয়েছেন। তাই শিলিগুড়ির বুকে সামান্য হলেও একটু কাঁপন ধরেছিল। উত্তুরে হাওয়ার মতোই তা এক দমকায় উড়িয়ে দিলেন ঋদ্ধিমান। ইরানি ট্রফিতে তাঁর ম্যাচ জেতানো খেলা দেখে আপাতত নিশ্চিন্ত শিলিগুড়ি।

শিলিগুড়ির শক্তিগড়ের বাসিন্দা হাবলু সেনগুপ্ত, সমিত গুহরা জানাচ্ছেন, আশার আলো তাঁরা দেখতে পেয়েছিলেন চোট থেকে উঠেই কলকাতা লিগে মোহনবাগানের হয়ে ঋদ্ধিমানের সেঞ্চুরির পর। এই হচ্ছে তাঁদের চেনা শাহজাদা অফ শিলিগুড়ি। আর সোমবার এবং মঙ্গলবার ঠায় টিভির সামনে বসে ইরানি ট্রফিতে পাপালির খেলা দেখতে দেখতে তাদের আশঙ্কা কেটে গিয়েছে। হাবলুবাবু, কল্যাণ দে-রা বলেন, ‘‘ঋদ্ধিমান ওর জাত চিনিয়ে দিয়েছে। ও আমাদের প্রিন্স অব শিলিগুড়ি।’’

Advertisement

এক মত শিলিগুড়ি মহকুমা ক্রীড়া পরিষদের সচিব অরূপরতন ঘোষ থেকে ভাইচুং ভুটিয়াও। তাঁরা জানান, যে পারফরম্যান্স ঋদ্ধিমান করছেন, তাতে ভারতীয় ক্রিকেট দলে তাঁর থাকা উচিত। ভাইচুং বলেন, ‘‘ধোনির শহরে তাঁকে নিয়ে কত হইচই হয়। আমাদেরও উচিত ঋদ্ধিমানের পাশে থাকা। তাঁর জন্য গর্বিত হওয়া।’’ আর অরূপবাবুর কথায়, ‘‘টেস্টে সেঞ্চুর পরই আমরা ওকে সংবর্ধনা জানানোর কথা বলেছি। শহরে ঋদ্ধিমান কিছু দিন আগে এসেওছিল। তবে তখন আয়োজন করা যায়নি। এ বার ও এলে ওকে আমরা সংবর্ধনা জানাব।’’

দারুণ ভাবে প্রত্যাবর্তনের জন্য কিছু করে দেখাতে বদ্ধপরিকর ছিলেন শিলিগুড়ির শাহজাদাও। কোচ জয়ন্ত ভৌমিকের সঙ্গেও নিয়মিত কথা হয় ঋদ্ধির। সোমবারও ম্যাচের পর কথা হয়েছে। জয়ন্তবাবু বলেন, ‘‘ওকে বলেছিলাম উইকেটে টিকে থেকে বড় রান করতে। আউট না হতে। সেটা ও সফল ভাবে করতে পেরেছে। আমরা সকলেই ওর জন্য গর্বিত।’’ পাপালির মামা শিলিগুড়ির বাসিন্দা পার্থপ্রতিম গোস্বামী জানান, ইরানি ট্রফির আগে তাঁর সঙ্গে কথা হয়েছে ঋদ্ধিমানের। তিনি বলেন, ‘‘ও বলেছিল ‘রান করতে হবে, ভাল খেলতে হবে’। আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ব্যাটিং করেছে। নির্বাচকরাও দেখেছেন। আশা করি এর পর জাতীয় দল থেকে ওকে বাদ রাখা যাবে না।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement