যা দেখছি, সুনীল নারিনের গোটা কেরিয়ারটাই ধ্বংসের মুখে দাঁড়িয়ে। এ বারের আইপিএলে ওর বোলিংয়ে আগের বিষটা দেখছি না। ও যে ফাস্ট লেগ স্পিনটা করত, সেটাও নেই। মোদ্দা কথা হল, এই নারিন আগের নারিন নয়। তার উপর শুক্রবার নতুন করে ওর বোলিং অ্যাকশন নিয়ে অভিযোগ উঠল, সেটাও বাড়তি চাপ।
এই অবস্থায় কেকেআর তা হলে কী করবে? মনে হয় এখন কয়েকটা ম্যাচ নারিনকে বিশ্রাম দেওয়া উচিত। ওকে ডেকে বলা উচিত, চেন্নাইয়ের অ্যাকাডেমিতে গিয়ে অ্যাকশন শুধরে নাও। গভীর রাতে শুনলাম সেটাই করছে কেকেআর। সবে আইপিএলের শুরু, এখনও অনেক ম্যাচ বাকি। এই পরিস্থিতিতে দু’একটা ম্যাচ নারিন না খেললেও খুব ক্ষতি হবে না টিমের। আর এ বার নারিন ভাল না করা সত্ত্বেও কেকেআর বোলিং যথেষ্ট ভাল হচ্ছে। নারিন বড় ম্যাচ-উইনার, কিন্তু ওর অফ ফর্ম পুষিয়ে দেওয়ার ক্ষমতা বাকিদের আছে। এখন কুলদীপ যাদব, কারিয়াপ্পাদের দেখে নিক কেকেআর।
আমাকে কয়েকজন প্রশ্ন করছেন, পাঁচটা ম্যাচ যেতে না যেতে নারিনকে নিয়ে যে প্রশ্ন উঠল, তা হলে টুর্নামেন্ট শুরুর আগে ও গ্রিন সিগন্যাল পেল কী ভাবে? আসলে অ্যাকাডেমিতে অ্যাকশন শোধরানো আর ম্যাচে বল করাটা একেবারে আলাদা জিনিস। নিজের অ্যাকশন পাল্টানো খুব কঠিন ব্যাপার। হাজার সতর্ক থাকলেও তাই ম্যাচে মাঝেমধ্যে পুরনো অ্যাকশনটা বেরিয়ে পড়ে।
নারিন কি বল ছুড়ছে? একদম সত্যি করে বলছি, জানি না। বেআইনি বোলিং অ্যাকশন ধরা খুব কঠিন, তাই টিভিতে দেখে এটা নিয়ে ফস করে কিছু বলা আমার উচিত হবে না। তবে ওই যে বললাম, নতুন অ্যাকশনে অভ্যস্ত হওয়া সহজ নয়। নারিন সেটা পারবে কি না, জানি না।
তবে কেকেআরকে বলব, নারিন-হীন জীবন নিয়ে এ বার ভাবতে শুরু করো!