তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে রোগীমৃত্যু ঘিরে চাঞ্চল্য। — ফাইল চিত্র।
চিকিৎসায় গাফিলতিতে রোগী মৃত্যুর অভিযোগকে কেন্দ্র করে উত্তেজনা ছড়াল তেহট্ট মহকুমা হাসপাতালে। পরিস্থিতি সামাল রীতিমতো হিমশিম খেতে হল পুলিশকে। পুলিশ পরিস্থিতির সামাল দিলেও উত্তেজনা রয়েছে এলাকায়।
জানা গিয়েছে, নদিয়ার তেহট্ট মহকুমার জিৎপুর এলাকার বাসিন্দা বছর সাঁইত্রিশের মহম্মদ ইসমাইল শেখ শ্বাসকষ্টজনিত সমস্যায় ভুগছিলেন। শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় পরিবারের সদস্যেরা তাঁকে তেহট্ট হাসপাতালে নিয়ে আসেন। পরিবারের অভিযোগ, তড়িঘড়ি নিয়ে আসা হলেও হাসপাতালে কেউ ছিলেন না। কিছু সময় পরে কর্তব্যরত এক চিকিৎসক আসেন। তিনিই ওই রোগীকে আইসিইউ-তে ভর্তি করেন। সেখানেই রবিবার ভোরে মৃত্যু হয় ওই যুবকের। রোগীমৃত্যুর খবর জানাজানি হতেই ক্ষোভে ফেটে পড়েন আত্মীয়-পরিজনেরা।
পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ, সঠিক সময়ে চিকিৎসা শুরু হলে এই অবস্থা হত না। হাসপাতালে পৌঁছোনোর পরেও দীর্ঘক্ষণ ফেলে রাখা হয়েছিল রোগীকে। হাসপাতালে বাইরে বিক্ষোভ দেখান রোগীর পরিবার-পরিজনেরা। মৃতের আত্মীয় হাবিব মোল্লা বলেন, “পুরোটাই ডাক্তারদের গাফিলতিতে হয়েছে। আমরা যখন নিয়ে এসেছিলাম তখন এখানে ডাক্তার-নার্স কেউ ছিলেন না। চিকিৎসা হয়নি বলেই এমনটা হল। পুরো দোষ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের।” যদিও এ বিষয়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে। হাসপাতাল সুপার বাপ্পা ঢালির দাবি, চিকিৎসা সঠিক সময়েই শুরু হয়েছিল। কিন্তু রোগীর শারীরিক অবস্থা খারাপ হয়ে যাওয়ায় তাঁকে বাঁচানো যায়নি।