মঙ্গলবার বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের টিম বাসের সামনে তিনটি বিস্ফোরণে রীতিমতো ধন্দে পড়ে গিয়েছিল স্থানীয় পুলিশ। যাতে যখম হয়েছিলেন এক ফুটবলারও। যিনি এখন সুস্থ আছেন বলেই জানানো হয়েছে টিম ম্যানেজমেন্টের পক্ষ থেকে। বুধবার সেই বিস্ফোরণের ঘটনায় এক সন্দেহভাজনকে আটক করেছে জার্মান পুলিশ। তাদের তরফে জানানো হয়েছে, ইসলামিক গোষ্ঠীর দু’জন সন্দেহভাজনের দিকে তাঁরা নজর রেখেছেন। তাঁদের অ্যাপার্টমেন্টও তদন্ত করা হয়েছে। দু’জনের মধ্যে একজনকেই আটক করা গিয়েছে। ঘটনাস্থল থেকে দুটো চিঠি পাওয়া গিয়েছে, যেখানে বিস্ফোরণের দায় নেওয়া হয়েছে।
আরও খবর: ডার্বি জয়ের পরের ম্যাচেই আটকে গেল মোহনবাগান
বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের তরফে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ম্যাচ খেলতে হোটেল থেকে স্টেডিয়ামের দিকে রওনা দিয়েছিল টিম। মাঝ রাস্তায় বিস্ফোরণ ঘটে। যদিও ডর্টমুন্ড পুলিশ জানিয়েছে, সন্ধে সাতটা নাগাদ একই সঙ্গে তিনটি বিস্ফোরণ হয়েছিল বরুসিয়া ডর্টমুন্ডের বাসের সামনে। তবে প্রত্যক্ষদর্শীদের বিবরণ অনুযায়ী বিস্ফোরণের তীব্রতায় বাসের কাঁচ ভেঙে যায়। সেই কাঁচ বিঁধে যায় বার্ত্রার হাতে। ঘটনার পরেই বাস থেকে আতঙ্কে রাস্তায় নেমে আসেন বরুসিয়া কোচ থমাস তুশেল এবং অন্য ফুটবলাররা। পরে পুলিশ এসে অন্য বাসে ফুটবলারদের তুলে নিয়ে যায়।
দু’বছর আগের সেই ‘অভিশপ্ত’ ১৩ নভেম্বর ফিরে আসার স্মৃতি এ দিন ফিরে এসেছিল ডর্টমুন্ডে। সে দিন প্যারিসে আয়োজিত ফিফা ফ্রেন্ডলিতে ফ্রান্সের বিরুদ্ধে জার্মানির ম্যাচ চলাকালীন স্টেডিয়াম জঙ্গি হামলার হাত থেকে বেঁচেছিল নিরাপত্তারক্ষীদের তৎপরতায়। এ দিন ডর্টমুন্ডের বাসে বিস্ফোরণের খবর স্টেডিয়ামে আসতেই সেই আতঙ্ক গ্রাস করেছিল দর্শকদের। কিন্তু একজন ফুটবলার ছাড়া আর কারও কিছু হয়নি। এটাই বড় ব্যাপার। যদিও আগামী বুধবার পর্যন্ত এই ম্যাচ স্থগিত রাখা হয়েছে। এর মধ্যেই জার্মান পুলিশ জানার চেষ্টা করছে, এই বিস্ফোরণের পিছনে কারণ কী বা কারা ঘটিয়েছে।