ইস্টবেঙ্গল সমর্থকদেরই ভয় গোকুলম কোচের

দরজায় কড়া নাড়ছে বড় ম্যাচ। তার আগে আই লিগে পর পর তিন ম্যাচে হার। পাঁচ ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল আট নম্বরে। শনিবারের গোকুলম ম্যাচের আগে লাল-হলুদ শিবির কি চাপে?

Advertisement

দেবাঞ্জন বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ০৮ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:৪৫
Share:

প্রস্তুতি: রক্ষণকে ছন্দে ফেরাতে অনুশীলনে মগ্ন ইস্টবেঙ্গল ডিফেন্ডার আকোস্তা। শুক্রবার। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক

বিপক্ষে রাশিয়া বিশ্বকাপে নেমারদের বিব্রত করে আসা কোস্তারিকার ডিফেন্ডার। শনিবার যুবভারতীতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে নামার আগে গোকুলম ফরোয়ার্ডরা এই বিষয়টি নিয়ে বিশেষ ভাবে চিন্তিত?

Advertisement

প্রশ্ন শুনেই ভরা সাংবাদিক সম্মেলনে হো হো করে হাসতে শুরু করে দেন গোকুলম এফসি কোচ বিনো জর্জ। বলে দেন, ‘‘ইস্টবেঙ্গল বড় দল। ওদের প্রতি আমার পূর্ণ শ্রদ্ধা রয়েছে। কিন্তু বিশ্বকাপার তো গত তিন ম্যাচে খেলেছে। কী ফল হয়েছে, তা তো আপনারাও জানেন।’’

মালয়ালি কোচ বিনো তাঁর ফুটবলার জীবনে কলকাতায় খেলে গিয়েছেন। অতীত অভিজ্ঞতা হাতড়ে এর পরেই বলে দেন। ‘‘আমার মতে ইস্টবেঙ্গলের আসল শক্তি ওদের সমর্থকরা। এ রকম টানা তিনটে ম্যাচ হারের পরে ওই সমর্থকরা কী ভাবে দলকে জাগিয়ে প্রিয় দলের কাছ থেকে সেরা পারফরম্যান্সটা বার করে নেন, সেটা আমি জানি। তাই এটাই চিন্তা, এটাই ভয়।’’

Advertisement

দরজায় কড়া নাড়ছে বড় ম্যাচ। তার আগে আই লিগে পর পর তিন ম্যাচে হার। পাঁচ ম্যাচে ছয় পয়েন্ট নিয়ে ইস্টবেঙ্গল আট নম্বরে। শনিবারের গোকুলম ম্যাচের আগে লাল-হলুদ শিবির কি চাপে? প্রশ্ন শুনে ঈষৎ বিরক্ত হন ইস্টবেঙ্গলের স্পেনীয় কোচ। সুভদ্র ইস্টবেঙ্গল কোচ মেনেন্দেস বলেন, ‘‘দু’টো কঠিন অ্যাওয়ে ম্যাচ জিতে লিগের শুরুটা তো ভালই করেছিলাম। আমরা শেষ তিন ম্যাচ ছেলেদের নিয়ে দেখেছি। সেখান থেকে ভুলত্রুটিগুলো শুধরে নেওয়ার চেষ্টা করছি। মাঠে তারই মহড়া দিয়ে এলাম। তবে এই সব ভুল হয়। এই নিয়ে চিন্তার কিছু নেই।’’ সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘ফুটবলারদের খারাপ সময় যায়, আবার তাঁরা সেটা কাটিয়েও ওঠে। দল খারাপ খেলছে না। কিন্তু কখনও কখনও এ রকম টানা হারের ব্যাখ্যা পাওয়া যায় না। হতে পারে কিছু ফুটবলার চাপে পড়ে যাচ্ছে। কিন্তু এটা ওরা দ্রুত কাটিয়ে উঠবে বলেই আমার বিশ্বাস।’’

ইস্টবেঙ্গল কোচের সঙ্গে এ দিন সাংবাদিক সম্মেলনে এসেছিলেন সালাম রঞ্জন সিংহ। শনিবার যাঁর খেলার সম্ভাবনা রয়েছে। গত বছর এই সালামের আত্মঘাতী গোলেই কেরলের দলটির কাছে হেরেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই সালামও বলে গেলেন, ‘‘ক্লাব কর্তারা আমাদের সঙ্গে বসেছিলেন। খারাপ সময় কাটিয়ে ফের ছন্দে ফিরতে মরিয়া গোটা দল।’’

শুক্রবার সকালে ইস্টবেঙ্গল অনুশীলনে জনি আকোস্তাকে বিপক্ষে রেখে জব জাস্টিন, এনরিকে এসকুয়েদাদের খেলিয়ে দেখে নিলেন কোচ। প্রথম দলের রক্ষণে বোরখা গোমেস পেরেস-এর সঙ্গে তিনি রেখেছিলেন সালাম রঞ্জনকে। সেন্ট্রাল মিডফিল্ডে কাশিমের সঙ্গে রেখেছিলেন লালরিনডিকা রালতে-কে। লেফ্ট উইংয়ে নবাগত বিদেশি হাইমে (জেমি নয়) কোলাদো। যদিও রাত পর্যন্ত তাঁর সই না হওয়ায় শনিবার খেলার সম্ভাবনা নেই বলেই খবর।

বিপক্ষ গোকুলম এই মুহূর্তে এগারো দলের আই লিগে ষষ্ঠ। ছয় ম্যাচে তাদের পয়েন্ট নয়। কেরলের এই দলে রয়েছেন গত বছর মোহনবাগানে খেলে যাওয়া গোলকিপার শিবিনরাজ, রাইটব্যাক অভিষেক দাসরা। তবে তাঁদের অন্যতম সেরা বিদেশি আন্তোনিয়ো জার্মান দল ছাড়তে চেয়েছেন। গোকুলম কোচ বলছেন, ‘‘পাঁচ বিদেশি নিয়েই নামব আমরা। জার্মান না খেলায় অসুবিধা হবে না।’’

শনিবারআই লিগ: ইস্টবেঙ্গল বনাম গোকুলম এফসি (যুবভারতী, বিকেল ৫টা)। সরাসরি স্টার স্পোর্টস থ্রি চ্যানেলে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন