চর্চায়: মোহনবাগান মাঠে প্রস্তুতি চলছে সনির। বুধবার। নিজস্ব চিত্র
সনি নর্দের হাঁটু ঠিক আছে কি না তার পরীক্ষা শুরু হল মোহনবাগান মাঠে। হাইতি মিডিওর আসল অস্ত্র দৌড়তে দৌড়তে হঠাৎ টার্ন করে প্রতিপক্ষের বক্সে হানা দেওয়া। অস্ত্রোপচারের পরে সেটা এখনও কতটা অটুট তার উপরই নির্ভর করছে সনির আই লিগ ভবিষ্যৎ। সনি নিজেও জোর দিয়ে বুধবার বলেছেন, ‘‘দ্বিতীয় ম্যাচ থেকেই মাঠে নামার জন্য আমি তৈরি।’’ কিন্তু কোচ শঙ্করলাল চক্রবর্তীর তাতে সায় নেই। তিনি আই লিগের তিন নম্বর ম্যাচ থেকে সনিকে মাঠে নামানোর কথা ভাবলেও ১৫-২০ মিনিটের বেশি খেলাতে রাজি নন বলে খবর। সনির এমআরআই রিপোর্ট দেখে নির্বাচনের পরে কর্তাদের সঙ্গে কথা বলবেন ঠিক করে রেখেছেন সবুজ-মেরুন কোচ।
সনিকে ছাড়াই বুধবার সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ কোজিকোড় পৌঁছল মোহনবাগান। আই লিগের প্রথম ম্যাচ খেলতে। প্রায় নয় ঘণ্টার বিমানযাত্রার পরে হোটেলেই বিশ্রাম নেন হেনরি কিসেক্কা, কিম কিমারা। দিল্লিতে ফেডারেশনের ট্রফি উন্মোচন অনুষ্ঠান থেকে আগেই পৌঁছে গিয়েছিলেন দিপান্দা ডিকা ও শিল্টন পাল। মোহনবাগান গোলরক্ষক খোঁজ নেন প্রতিপক্ষ গোকুলম এফসি সম্পর্কে। মোহনবাগান অধিনায়ক ফোনে বলছিলেন, ‘‘শুনলাম খুব ভাল দল। ওদের নতুন বিদেশিরাও খুব ভাল খেলছে।’’
কেরল লিগে এ বার খেতাব জিতেছে গোকুলম। ফলে দুই রাজ্য চ্যাম্পিয়নের লড়াই। দলের কোচ বিনু জোস একসময় মহমেডানে খেলে গিয়েছেন। দেশের হয়েও খেলেছেন। বলছিলেন, ‘‘আই লিগে কেরল থেকে একমাত্র আমরাই খেলছি। আমাদের দিকে সবাই তাকিয়ে থাকবে। সমর্থকদের কিছু ফিরিয়ে দেওয়ার জন্য সবাই তৈরি।’’ গোকুলম কোচ খোঁজ নিলেন সনি খেলার মতো অবস্থায় আছেন কি না? তারপর বললেন, ‘‘সনি না থাকলেও মোহনবাগানের স্ট্রাইকার জুটি প্রচণ্ড শক্তিশালী। আমাদের রক্ষণেও দুই বিদেশি খেলবে। মোহনবাগানের গোল করা অত সহজ হবে না।’’
দিপান্দা ডিকারা তাঁদের শহরে পৌঁছনোর দিনই গোকুলম কোচের কথাগুলো হুঙ্কারের মতো শোনায়। গত বার গোকুলমের সর্বোচ্চ গোলদাতা হেনরি কিসেক্কা এ বার খেলবেন উল্টোদিকে। সঙ্গে দিপান্দা ডিকা। বিনু বললেন, ‘‘মোহনবাগানের কলকাতা লিগের কয়েকটি খেলা দেখেছি। জানি ওরা কী ভাবে খেলে।’’