Sports News

গৌতম-প্রসূন জুটির হাত ধরে পার্লামেন্টে বাংলার ‘জয়ী’ বল

বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি ফুটবল নিয়ে পার্লামেন্টে হাজির হয়েছিল ভারতীয় ফুটবলের সেই ধ্বংসাত্মক জুটি। তবে সেখানে ছিল না কোনও প্রতিপক্ষ। ছিল না লড়াই। কিন্তু ফিরে পাওয়া গেল সেই গৌতম-প্রসূন জুটিকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৬ জুলাই ২০১৭ ২১:২৮
Share:

বাংলার ‘জয়ী’ বল নিয়ে পার্লামেন্টে গৌতম সরকার ও প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।

একসময় ভারতীয় ফুটবল কাঁপাত গৌতম-প্রসূন জুটি। সে কলকাতা ময়দান হোক বা বিশ্ব ফুটবলের দরবার, এই জুটি চিন্তায় রাখত প্রতিপক্ষের রক্ষণকে। এক জন মাঝমাঠ থেকে সাজাতেন বল, অন্য জন সেই বলেই লিখে ফেলতেন গোলের ঠিকানা। আর এত বছর পরে এসেও কোথাও যেন সেই জুটি থেকে গিয়েছে ভারতীয় ফুটবলের মননে। না হলে আজও যখন গৌতম সরকার আর প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়কে একসঙ্গে ফুটবল পায়ে পাওয়া যায়, তখন পাগল হয়ে যায় ফুটবলপ্রেমী জনতা। তা যদি ফুটবল মাঠে না হয়ে পার্লামেন্টের মধ্যে হয়, তার প্রভাব কিন্তু সেই একই রকম। দিল্লি থেকে প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘‘এতদিন পরে বল জাগলিং করতে গিয়ে বুঝলাম আমরা কিন্তু এই বয়সেও ফিট। সবাই খুব আনন্দ পেয়েছে। আগের মতোই সবাইকে এখনও আমরা আনন্দ দিতে পারি।’’ পার্লামেন্টও এদিন দেখল ভারতের সেরা জুটির ফুটবল জাগলিং।

Advertisement

আরও খবর: ছেলেদের সঙ্গে খেলেই ছক্কা হাঁকাতে শিখেছি: হরমনপ্রীত

বুধবার পশ্চিমবঙ্গ সরকারের স্বনির্ভর গোষ্ঠীর তৈরি ফুটবল নিয়ে পার্লামেন্টে হাজির হয়েছিল ভারতীয় ফুটবলের সেই ধ্বংসাত্মক জুটি। তবে সেখানে ছিল না কোনও প্রতিপক্ষ। ছিল না লড়াই। শুধু সেই চত্তরে থাকা মানুষ থেকে পার্লামেন্টের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা রক্ষীরা আবারও মুগ্ধ হয়ে দেখল চির চেনা জুটির বল জাগলিং। দু’জনে গুনে গুনে ১০০ বার করে বল জাগলিং করলেন। এই বলের প্রচারেই পৌঁছে যাওয়া রাজধানীতে। বলের নাম ‘জয়ী’। নামেই মুগ্ধ গৌতম-প্রসূন জুটি। গৌতম সরকার বলছিলেন, ‘‘আমরা দিল্লিতে বেশ কিছু অ্যাকাডেমিতে ঘুরব। ওখানে এই বলগুলো দেব। সরকারের এই উদ্যোগ সত্যিই প্রশংসার যোগ্য।’’

Advertisement

প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় তো আবার বলের নামেই মুগ্ধ। খেলার সঙ্গে জয়, পরাজয়ই জড়িয়ে। তাই বলের নাম ‘জয়ী’। এই বল একদিন জিতে নেবে ফুটবলকেই হয়ত। প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায় বলছিলেন, ‘‘এখনই বড় নামের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নামার মতো জায়গায় পৌঁছয়নি। কিন্তু অনুশীলন করা যাবে। দিল্লিতে অনাদি বড়ুয়ার অ্যাকাডেমিতে কিছু বল দেব। এ ছাড়া কমনওয়েলথ অ্যাকাডেমিতেও যাব।’’ গৌতম সরকার বলছিলেন, ‘‘পার্লামেন্টের নিরাপত্তা রক্ষীদের একটি ফুটবল দল রয়েছে। ওদেরও কিছু বল দেওয়া হয়েছে।’’ ১০ হাজার বল নিজেই কিনে নিয়েছেন স্বয়ং প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর এলাকার স্কুল, ক্লাবে সেই বল দেবেন তিনি। বলের দাম ৪৫০র মধ্যে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন