রবিবাসরীয় ইডেনে কেমন পিচ পাচ্ছেন গৌতম গম্ভীররা?
লো স্লো নয়, একেবারে ঘাসে ঢাকা পিচ!
গত বুধবার ইডেনে কিংগস ইলেভেন পঞ্জাব ম্যাচ জিতে উঠেও পিচ নিয়ে কিছুটা অসন্তোষ দেখিয়েছিলেন গম্ভীর। বলে দিয়েছিলেন যে, ই়ডেনে এ রকম উইকেট তিনি আশা করেননি। বিশেষ করে বেঙ্গালুরু আর মুম্বইয়ে খেলার পর তাঁর মনে হয়েছে, ইডেন পিচ অনেক মন্থর।
রবিবার গুজরাত লায়ন্স ম্যাচের পিচ দেখে কেকেআর অধিনায়ক কী বলবেন না বলবেন, সময় বলবে। শুক্রবার কেকেআরের প্র্যাকটিস সেশন ছিল না। বরং স্পনসরদের ঠাসা শিডিউলে ব্যস্ত থেকেছেন ক্রিকেটাররা। ইডেনে বিকেলের দিকে পেসার উমেশ যাদবকে নিয়ে সহকারী কোচ সাইমন কাটিচ ঘণ্টাখানেক প্র্যাকটিস করে গেলেও উইকেট দেখেননি। যা খবর, তাতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ ফাইনালের পিচে গুজরাত ম্যাচ খেলতে চলেছে কেকেআর। যা এ দিন সন্ধে পর্যন্ত ঘাসে ঢাকা।
ইডেন কিউরেটর সুজন মুখোপাধ্যায়কে জিজ্ঞেস করায় তিনি বললেন, ‘‘আমি আমার মতো পিচ বানাব। ভাল উইকেট দেওয়ার চেষ্টা করব। যেখানে একটা ভাল টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হতে পারবে।’’ ঘটনা হল, পঞ্জাব ম্যাচ কেকেআর জিতে গিয়েছিল বলে পিচ আলোচনার বিষয়বস্তু হয়ে ওঠেনি। আন্দ্রে রাসেলই যাবতীয় প্রচারের আলো নিয়ে চলে যান। রাসলকে নিয়ে এখনও বিভিন্ন মহলে মাতামাতি চলছে। বিশেষ করে শেষ ওভারের আগে মর্কেলকে গিয়ে তাঁর বলে আসা যে, আমাকে বারো থেকে পনেরো রান ডিফেন্ড করতে দিও। জিতিয়ে দেব। কিন্তু তার পাশাপাশি এটাও অনস্বীকার্য যে পঞ্জাব আর গুজরাত লায়ন্স এক জিনিস নয়। সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স গ্রাফ কিছুটা নিম্নমুখী হলেও টিমে এত মহাতারার ছড়াছড়ি যে, দু’-একজন খেলে দিলেই ম্যাচ ঘুরে যেতে পারে। অতএব, গুজরাত জয়ের যুদ্ধে পিচ কেমন, সেটা গুরুত্বপূর্ণ।
ইডেন কিউরেটরকে জিজ্ঞেস করা হলে তিনি খোলসা করে কিছু বলতে চাইলেন না। তাঁকে বলা হল যে, গত ম্যাচ জিতেও গম্ভীর পিচ নিয়ে অস্বস্তি দেখিয়েছেন। শুনেটুনে সুজন কিছুটা রাগত ভাবে বললেন, ‘‘শুনেছি। কিন্তু আমি জানি না অসুবিধেটা কোথায়। আমাকে আর কেউ পিচ নিয়ে কিছু বলেওনি। এখানে যে বেঙ্গালুরু বা মুম্বইয়ের মতো উইকেট হবে না সবাই জানে। আমি শুধু এটা বলতে পারি যে নিজের বিচারবুদ্ধি মতো উইকেট বানাব।’’ কেকেআর? তারা কি বলছে? ক্লাবহাউস থেকে বেরনোর সময় কাটিচকে জিজ্ঞেস করা হয়েছিল। তিনি শুধু বললেন, ‘‘কেকেআর ব্যালান্সড টিম। আমাদের কোনও কিছুতে অসুবিধে হবে না।’’