Dipa Karmakar

দীপার নির্বাসন নিয়ে বিতর্ক, আইনি পথে যেতে পারে সংস্থা

২০১৯ সালে বিশ্ব জিমন্যাস্টিক্স শেষ হওয়ার পরে বারবার চোট পাওয়ায় তিনি নিয়মিত নানা ওষুধ খেতেন। সেই কারণেই পড়েন ওয়াডার সন্দেহের চোখে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৬ ডিসেম্বর ২০২২ ০৬:০২
Share:

চর্চায়: দীপার নির্বাসনের কারণ নিয়ে চলছে জলঘোলা। ফাইল চিত্র

ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্সের প্রেক্ষিতে সবচেয়ে খারাপ খবর! ডোপিং বিধি না মানায় দু’বছরের জন্য নির্বাসনে রয়েছেন দীপা কর্মকার। রিয়ো অলিম্পিক্সে চতুর্থ স্থান পেয়ে চাঞ্চল্য সৃষ্টি করা ত্রিপুরার বাঙালি জিমন্যাস্ট নিজেও নাকি বুঝতে পারছেন না যে, ঠিক কী ভাবে তিনি ডোপিং বিধি ভাঙলেন।

Advertisement

তাঁর কোচ বিশ্বেশ্বর নন্দী এক ওয়েবসাইটে বলেছেন, ‘‘জাতীয় শিবিরের অংশ না হওয়ায় আগরতলাতেই অনুশীলন করছে দীপা। আমাদের মতোই এই সিদ্ধান্তে ও নিজেও অত্যন্ত অবাক হয়ে গিয়েছে। আমরা বোঝারচেষ্টা করছি, কেন আন্তর্জাতিক সংস্থা এই সিদ্ধান্ত নিল। ভারতীয় জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা কিন্তু এ ব্যাপারে আমাদের এখনও কিছু জানায়নি। কিছু জানতে পারলেই আমরা এ বিষয়ে পরিষ্কার ধারণা দিতে পারব।’’ তবে শোনা গিয়েছে, ডোপিং সংক্রান্ত ‘হোয়ারঅ্যাবাউটস’ তথ্য না জানানোয় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

প্রসঙ্গত কোভিড অতিমারির কারণে বেশ কিছু প্রতিযোগিতা বাতিল হওয়ায় টোকিয়ো অলিম্পিক্সের জন্য যোগ্যতা অর্জন করতে পারেননি ভারতের অন্যতম সেরা এই জিমন্যাস্ট। কিন্তু তার পরেও আদৌ ভেঙে পড়েননি। মূলত প্যারিস অলিম্পিক্সের জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন দীপা। তার আগে রয়েছে এশিয়ান গেমস, কমনওয়েলথও।

Advertisement

একটি সূত্রের খবর, ডোপ বিরোধী সংস্থার এ হেন বিচারের বিরুদ্ধে ক্যাস-এ যেতে পারে জাতীয় জিমন্যাস্টিক্স সংস্থা। এমনিতে আন্তর্জাতিক সংস্থা কিন্তু এখনও বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি। শুধু বলা হয়েছে, ২০২১ সালের মাঝামাঝি একটা সময় থেকে তাঁকে দু’বছরের নির্বাসনে পাঠানো হয়েছে। শোনা যাচ্ছে, ওয়াডার নির্দেশ মেনে ডোপ পরীক্ষা না দেওয়ারই মাশুল দিতে হল তাঁকে। বারবার যোগাযোগ করা হলেও নাকি তিনি সাড়াই দেননি। অভিযোগ, চুপচাপ ছিলেন তাঁর কোচও।

প্রসঙ্গত রিয়োয় প্রোদুনোভা ভল্টের সৌজন্যে তিনি আলোচনায় উঠে এসেছিলেন। কমনওয়েলথেও তাঁর ব্রোঞ্জ আছে। সেটা ২০১৪-তে গ্লাসগোয়। একটি সূত্রের দাবি, ২০১৯ সালে বিশ্ব জিমন্যাস্টিক্স শেষ হওয়ার পরে বারবার চোট পাওয়ায় তিনি নিয়মিত নানা ওষুধ খেতেন। সেই কারণেই পড়েন ওয়াডার সন্দেহের চোখে। এ দিকে, দীপার এ হেন শাস্তির দায় নেবে না বলে নাকি জানিয়ে দিয়েছে স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া। সাইয়েরবক্তব্য, দীপার কোচ ও ত্রিপুরা সরকারের ক্রীড়া দফতরের গাফিলতিই এই পরিণামের নেপথ্যে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement