হার্দিকও অবাক হিটম্যানের জোর দেখে

চার ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য। ১৪ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংসও আসে তাঁরই ব্যাট থেকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ১০ জুলাই ২০১৮ ০৪:৩৪
Share:

জুটি: রোহিতের (ডান দিকে) ইনিংসের প্রশংসায় হার্দিক। ছবি: এএফপি

রোহিত শর্মা না হার্দিক পাণ্ড্য? ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে কাকে ‘ম্যান অব দ্য ম্যাচ’ পুরস্কারটি দেওয়া হবে তা নিয়ে ছিল সংশয়। দু’জনেরই ছিল ম্যাচ জেতানো পারফরম্যান্স।

Advertisement

চার ওভার বল করে ৩৮ রান দিয়ে চার উইকেট নেন হার্দিক পাণ্ড্য। ১৪ বলে ৩৩ রানের অপরাজিত ইনিংসও আসে তাঁরই ব্যাট থেকে। অন্য দিকে আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টির তৃতীয় সেঞ্চুরিটি সেই ম্যাচেই সেরেছেন ভারতের ‘হিটম্যান’ রোহিত শর্মা। টি-টোয়েন্টি সিরিজে ইংল্যান্ডকে ২-১ হারিয়ে সাংবাদিক সম্মেলনে এসে হার্দিক জানিয়ে দিলেন, রোহিতের সেঞ্চুরিই সিরিজ জিততে সাহায্য করেছে ভারতকে। যা আরও এক বার তুলে ধরল ভারতীয় ক্রিকেটারদের বোঝাপড়ার ছবিটি।

হার্দিক বলেছেন, ‘‘একটি অসাধারণ ইনিংস উপহার দিয়েছে রোহিত। নিজেই দায়িত্ব নিয়ে সিরিজ জিততে সাহায্য করেছে। ওর মতো এত জোরে শট মারতে আমি খুব কম ব্যাটসম্যানকেই দেখেছি। প্রত্যাশা অনুযায়ীই ব্যাট করেছে হিটম্যান।’’

Advertisement

প্রথম দু’টি ম্যাচে ওপেন করতে নেমে সে ভাবে জ্বলে উঠতে পারেননি রোহিত। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ৩২ রান করেন। দ্বিতীয় ম্যাচে পাঁচ রানেই প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয়েছে তাঁকে। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে রোহিতের ব্যাটিং দেখে এক বারও তাঁর মনে হয়নি প্রথম দু’ম্যাচে রান পাননি তিনি। হার্দিক বলেছেন, ‘‘প্রথম দু’ম্যাচে সে ভাবে রোহিত রান পায়নি। কিন্তু তৃতীয় ম্যাচে ওর ব্যাটিং দেখে এক বারও সে কথা বোঝা যাচ্ছিল না। এটাই একজন আত্মবিশ্বাসী ব্যাটসম্যানের চরিত্র। রোহিতের মতোই দলের প্রত্যেকে আত্মবিশ্বাসী। সাপোর্ট স্টাফ পাশে না থাকলে এ রকম পারফর্ম করা হয়তো সম্ভব হত না।’’

তৃতীয় টি-টোয়েন্টিতে তাঁর প্রথম ওভারে ওঠে ২২ রান। তবুও চার ওভার শেষে দেখা যায় তিনিই ম্যাচ জেতানো বল করে বেরিয়ে এসেছেন। তাঁর নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সুবাদেই ১৯৮ রানে বাঁধা গিয়েছে অইন মর্গ্যানদের। ভারতীয় অলরাউন্ডার জানিয়েছেন, টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাটে বৈচিত্র অনেক বেশি। তাই খেলার মজাও পাওয়া যায়। হার্দিকের বক্তব্য, ‘‘সত্যি কথা বলতে গেলে টি-টোয়েন্টি ফর্ম্যাট খেলতে আমি বেশ মজা পাই। প্রথম ওভার বল করতে এসে ২২ রান দেওয়ার পরেও একটুও খারাপ লাগেনি। কারণ আমি জানতাম, এ ধরনের পিচে ভাল বল করলেও মার খাবই। কিন্তু উইকেট ফেলতে পারলেই রান আটকানো সম্ভব তাই উইকেট নেওয়ার জন্যই ঝাঁপিয়েছি।’’

হার্দিক আরও মনে করেন যে, টি-টোয়েন্টিতে এক জায়গায় বল করলে মার খেতেই হবে। তাই লাইনের পাশাপাশি বৈচিত্র প্রয়োজন লেংথেও। শেষ টি-টোয়েন্টিতে সেটাই হয়ে উঠেছে হার্দিকের সাফল্যের টোটকা। তিনি বলছেন, ‘‘আমার লক্ষ্য ছিল পরপর একই জায়গায় বল না করার। সেটাই সাফল্যের মূল কারণ।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন