বিধ্বংসী: শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে চার উইকেট নিয়ে জেতালেন তাহির। ছবি: এএফপি
আইপিএলেই তিনি দেখিয়ে দিয়েছিলেন দুর্দান্ত ফর্মে আছেন। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতেও দুর্দান্ত শুরু করলেন হাসিম আমলা।
আইপিএলে দক্ষিণ আফ্রিকার আরও এক জন ভাল খেলেছিলেন। তিনি লেগস্পিনার ইমরান তাহির। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে তাহিরের শুরুটাও খুব ভাল হল। এই দুই ক্রিকেটারের দাপটে গ্রুপের প্রথম ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খুব ভাল জায়গায় দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রথমে ব্যাট করে আমলার ১০৩ রানের সুবাদে দক্ষিণ আফ্রিকা তোলে ২৯৯-৬। ৪১.৩ ওভারেই ম্যাচ শেষ হয়। শ্রীলঙ্কার চ্যালেঞ্জ থেমে যায় ২০৩ রানে। তাহির তুল নিলেন চার উইকেট।
আমলা এই মরসুমে দুর্দান্ত ফর্মে রয়েছেন। আইপিএলে দু’টো সেঞ্চুরি করেছেন। শনিবারও দেখা গেল শ্রীলঙ্কার বোলারদের অনায়সে শাসন করে গেলেন তিনি। তাঁর ১১৫ বলের ইনিংসে রয়েছে পাঁচটা বাউন্ডারি, দু’টো ওভারবাউন্ডারি। রান পেয়েছন ফাফ দুপ্লেসিও। তিনি করেন ৭৫ রান। শ্রীলঙ্কা ইনিংসে ইমরান তাহির আবার ৭ ওভার বল করে ২০ রান দিয়ে নেন তিন উইকেট।
শ্রীলঙ্কা এই ম্যাচে তাদের অধিনায়ক অ্যাঞ্জেলো ম্যাথেউজকে ছাড়াই খেলতে নেমেছে। ফলে মিডল অর্ডার একটু দুর্বল হয়ে পড়েছে। যেটা টের পাওয়া গেল রান তাড়া করার সময়। দুই ওপেনার মিলে ৮.২ ওভারে ৬৯ রান তুলে দিলেও মিডল অর্ডার চাপের মুখে ভেঙে পড়ে।
দক্ষিণ আফ্রিকা বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে ভয়ঙ্কর ছিলেন লেগস্পিনার ইমরান। তাঁর লেগস্পিন এবং গুগলির হদিশ করতে পারেননি শ্রীলঙ্কার ব্যাটসম্যানরা। দু’টো উইকেট নেন ক্রিস মরিস। দক্ষিণ আফ্রিকা ব্যাটসম্যানদের মধ্যে অবশ্য এবি ডিভিলিয়ার্স রান পাননি। ব্যর্থ হয়েছেন ডেভিড মিলারও। কিন্তু জেপি দুমিনি শেষ দিকে ২০ বলে অপরাজিত ৩৮ রান করায় দক্ষিণ আফ্রিকা তিনশোর কাছে পৌঁছয়। বড় টুর্নামেন্টে বার বার চাপের মুখে ভেঙে পড়ার অভিজ্ঞতা আছে দক্ষিণ আফ্রিকার। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির শুরুটা অবশ্য তাদের খারাপ হল না। শ্রীলঙ্কাকে ২০৩ রানে শেষ করে আমলারা তুেল নিলেন দু’পয়েন্ট।