Sports News

মনে হচ্ছিল নিজের দেশে খেলছি: টিম উইয়া

চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল উইয়ার দ্বিতীয় গোল। টিম উইয়ার কাছেও সেটাই সেরা। শুধু এই টুর্নামেন্টে নয়। তার জীবনের সেরা গোল এটাই। ১৯, ৫৩ ও ৭৭ মিনিটে গোল করে উইয়া। প্রথম গোল আকিনোলার নীচু হয়ে আসা ক্রসে বাঁ পায়ের ক্লিনিক্যাল ফিনিশ।

Advertisement

সংবাদ সংস্থা

নয়াদিল্লি শেষ আপডেট: ১৭ অক্টোবর ২০১৭ ১৪:০৫
Share:

তিমথি উইয়া। —নিজস্ব চিত্র।

তাকে নিয়ে বিশ্বকাপের শুরু থেকেই টানাটানি। কারণ তার বাবার নাম জর্জ উইয়া। বাবার ছেলে হিসেবেই ভারতে এসে পরিচিত হয়ে উঠেছিল তিমোথি উইয়া। যদিও এত ভাল খেলার পর এখনও বাবার সঙ্গে কথা হয়নি। বাবা তার খেলা দেখেছেন কি না তাও জানা নেই। জর্জ উইয়া ব্যস্ত লাইবেরিয়ার প্রেসিডেন্ট নির্বাচন নিয়ে। কিন্তু তিমথির আমেরিকান মা দারুণ খুশি ছেলের খেলায়। তিমথিকে নিয়ে সংবাদ মাধ্যমের উত্তেজনা খুব ভাল চোখে দেখেননি ইউএসএ কোচ। তেমনভাবে পারফর্মও করতে পারছিল না ইউএসএ দলের সেলিব্রিটি স্ট্রাইকার। কিন্তু প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে জাত চেনাল সে। দিল্লির জওহরলাল নেহরু স্টেডিয়াম তাঁকে ঘিরে উত্তাল হল সোমবার রাতে। তার পর পর অনবদ্য গোলের সাক্ষী থাকল দিল্লি। হ্যাটট্রিক করল টিম উইয়া। তাঁকে ঘিরে ভারতীয় জনতার উচ্ছ্বাস দেখে খুশি সে। বলে দিল, ‘‘মনে হচ্ছিল ঘরের মাঠে খেলছি।’’

Advertisement

আরও পড়ুন

‘নামী বাবার ছেলে হওয়ার চাপ নিতে হয় না আমাকে’

Advertisement

বিশ্বকাপের প্রি-কোয়ার্টার ফাইনালে প্যারাগুয়েকে ৫-০ গোলে হারিয়ে দিল ইউএসএ। তার মধ্যে তিন গোলই টিম উইয়ার। এই ইউএসএ-র কাছেই বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচে তিন গোল হজম করতে হয়েছিল ভারতকে। এতদিন ভারতের জন্য গ্যালারি ভরিয়েছে দিল্লি। এ দিন অতটা না ভরলেও ৩৪ হাজার ভারতীয় দেখল তিমথি উইয়ার দুরন্ত হ্যাটট্রিক। উইয়ার বক্তব্য, ‘‘আমরা যখন টানেল দিয়ে বেরিয়ে আসছিলাম তখন গ্যালারি থেকে ‘ইউএসএ ইউএসএ’ চিৎকার ভেসে আসছিল। সঙ্গে আমার নাম। আমরা নিজেদের মধ্যেই বলাবলি করছিলাম আমরা ঘরের মাঠে ফিরে এসেছি। এই সমর্থন আমাদের আত্মবিশ্বাস বাড়িয়ে দিয়েছিল। অসাধারণ অনুভূতি। এই সমর্থনের জন্য ধন্যবাদ। উই লাভ ইন্ডিয়া।’’

আরও পড়ুন

উইয়ার হ্যাটট্রিকে শেষ আটে যুক্তরাষ্ট্র

চোখ ধাঁধিয়ে দিয়েছিল উইয়ার দ্বিতীয় গোল। টিম উইয়ার কাছেও সেটাই সেরা। শুধু এই টুর্নামেন্টে নয়। তার জীবনের সেরা গোল এটাই। ১৯, ৫৩ ও ৭৭ মিনিটে গোল করে উইয়া। প্রথম গোল আকিনোলার নীচু হয়ে আসা ক্রসে বাঁ পায়ের ক্লিনিক্যাল ফিনিশ। কিন্তু দ্বিতীয় গোল থমকে দিয়েছিল ৩৪ হাজারের গ্যালারিসহ প্যারাগুয়ে দলকে। বক্সের বাঁ দিকের কোনা থেকে মাপা টাচ। যেটা বাক খেয়ে গোলকিপারকে কাটিয়ে গোলে ঢুকে গিয়েছিল ডানদিক দিয়ে। এই সবের কাছে তৃতীয় গোলটা যেন তার জন্য খুবই সহজ ছিল। ইউএসএ কোচ জন হ্যাকওয়ার্থ উইয়ার গোলকে, বিশ্বমানে আখ্যা দিয়েছে। তিনি বলেন, ‘‘এটা শুধু অসাধারণ গোল নয়, এটা বিশ্বমানের।’’ পিএসজির প্রথম দলে কবে খেলবে জানতে চাওয়া হলে উইয়া বলে, ‘‘এটা কিন্তু কঠিন। তবে অনুশীলন আর একাগ্রতা দিয়ে সব কিছু করা সম্ভব। আমি রিজার্ভ দলে রয়েছি। কিন্তু আমি এমবাপে, কাভানি, নেইমারের সঙ্গে অনুশীলন করার সুযোগ পাব। আমার মনে হয় আমার সময় খুব দ্রুত আসবে।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন