ঘন মেঘে ঢেকেছে আকাশ। ছবি: এএফপি।
এক পেসার এবং খান আটেক ব্যাটসম্যান নিয়ে বাংলাদেশের টেস্ট দল দেখে কাল যাঁরা কটাক্ষ করেছিলেন তাঁরা বোধহয় জানতেন না, এগারো নয়, বারো জনের দল নিয়ে ফতুল্লায় নেমেছে বাংলাদেশ। যিনি কি না একাই সামলাচ্ছেন নির্বাচকদের ভুলত্রুটিগুলি। তিনি স্বয়ং বরুণদেব। যাঁর ‘হস্তক্ষেপে’ বুধবার খেলা হয়েছে মাত্র ৫৬ ওভার। আর বৃহস্পতিবার বৃষ্টির জন্য এক বলও খেলা হল না।
টেস্টের প্রথম দিনে, শিখর পঞ্চাশ পেরনোর পরই বাংলাদেশের এক কর্মকর্তাকে দেখা যায় আকাশের দিকে তাকাতে। যে দাপটে শুরু করেচিলেন শিখর, তাতে বরুণদেবই যে বাংলাদেশকে বাঁচাতে পারবে তা বুঝে গিয়েছিলেন তিনি। এ দিন সেই কর্মকর্তার হাসি চওড়া হতে বাধ্য। কখনও কালো মেঘ, কখনও মুষলধারায় বৃষ্টি— এ দিন সকাল থেকে এই ছিল ফতুল্লার অবস্থা। বৃষ্টির দাপটে গ্যালারির একাংশের ছাদও ভেঙে পড়়ে। যদিও এই ঘটনায় হতাহতের কোনও খবর নেই। বেলা পৌনে বারোটা নাগাদ কিছুটা কমে বৃষ্টির দাপট। আরও কিছু পরে মাঠ পরিদর্শনে করেন আম্পায়ারা। স্থানীয় সময় বেলা পৌনে দু’টো নাগাদ দিনের মতে খেলা স্থগিত ঘোষণা করেন তাঁরা।
কিন্তু বৃষ্টি দুপুরে বন্ধ হলেও একেবারেই খেলা শুরু করা গেল না কেন? এ বিষয়ে কিন্তু নিরুত্তর বাংলাদেশের ক্রিকেট প্রশাসন। বুধবারই মাঠে একটিমাত্র সুপার সপারের ব্যবহার নিয়ে বিতর্কের সৃষ্টি হয়। এ দিন আবার বৃষ্টি কমলেও মাঠকে খেলার উপযোগী করতে যথেষ্ট দায়সারা ভাব দেখাল মাঠকর্মীরা।
নিউজিল্যান্ড এবং জিম্ববোয়েকে হারিয়ে বাংলাদেশ ক্রিকেটে ‘বাংলাওয়াশ’ কথাটার প্রচলন হয়েছে। এ বারে ভারতের ক্ষেত্রে বোধহয় সেই ‘বাংলাওয়াশ’য়ের দায়িত্ব নিয়েছেন স্বয়ং বরুণদেব।
এই সংক্রান্ত আরও খবর
শিখর সফল হল বলে রাহুলকে কম গুরুত্ব দেওয়া যাবে না