চ্যাম্পিয়ন্স লিগ সেমিফাইনাল

আজ দুই সোনার মগজের লড়াই

বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের প্রথম পর্বে ইউরোপের দুই সেরা মগজের টক্কর। যাঁর মধ্যে একজন আটলেটিকো মাদ্রিদকে স্পেনের বিগ-টুর ছায়া থেকে বের করে এনে তৃতীয় শক্তি করে তুলেছেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৭ এপ্রিল ২০১৬ ০৫:০০
Share:

বুধবার রাতে চ্যাম্পিয়ন্স লিগের শেষ চারের প্রথম পর্বে ইউরোপের দুই সেরা মগজের টক্কর। যাঁর মধ্যে একজন আটলেটিকো মাদ্রিদকে স্পেনের বিগ-টুর ছায়া থেকে বের করে এনে তৃতীয় শক্তি করে তুলেছেন। আর এক দিকে রয়েছেন বায়ার্ন মিউনিখের সেই ‘রাগী’ কোচ। যিনি যা ধরেন সেটাই সোনা হয়ে যায়। তাঁরা— আটলেটিকো দ্য মাদ্রিদের দিয়েগো সিমিওনে আর বায়ার্ন মিউনিখের পেপ গুয়ার্দিওলা। যাঁদের টক্করে আটলেটিকো মাদ্রিদ বনাম বায়ার্ন মিউনিখের মতো ‘এক তরফা’ লড়াইও অন্য মাত্রা পেয়েছে।

Advertisement

‘এক তরফা’ কারণ বিশেষজ্ঞদের মতে বায়ার্নের তারকাখচিত দলের সামনে কোনও সুযোগই নেই আটলেটিকোর। রবার্ট লেভানডস্কি, টমাস মুলার, ডগলাস কোস্তারা নাস্তানাবুদ করে ছাড়বে আটলেটিকো ডিফেন্স। বায়ার্ন অবশ্য ইউরোপের সেরা রক্ষণের বিরুদ্ধে নামার আগে অনেক বেশি সতর্ক। দলের সেরা অস্ত্র রবার্ট লেভানডস্কি বলছেন, ‘‘ডিফেন্সিভ দল হিসেবে আটলেটিকো খুবই ভাল। আমাদের সতর্ক থাকতে হবে। স্ট্রাইকার হিসেবে এমন একটা দলের বিরুদ্ধে খেলা যারা খুব বেশি গোল খায় না এটা চ্যালেঞ্জ। কিন্তু আমাদের নামও বায়ার্ন।’’

উল্টো দিকে আটলেটিকো অধিনায়ক গাবি স্বপ্ন দেখছেন ক্লাবকে ইউরোপের শৃঙ্গে বসানোর। ক্লাবের হয়ে প্রতিটা ট্রফি ক্যাবিনেটে তুলেছেন। অধরা শুধু ঐতিহাসিক চ্যাম্পিয়ন্স লিগ ট্রফি। গাবি বলছেন, ‘‘অবশ্যই আমরা স্বপ্ন দেখি আটলেটিকোকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে চ্যাম্পিয়ন করার।’’ দলের ডিফেন্ডার জোসে গিমেনেজ আবার মনে করছেন, বার্সেলোনার থেকেও কঠিন প্রতিপক্ষ বায়ার্ন। ‘‘বার্সেলোনার পর বায়ার্নের বিরুদ্ধেও ম্যাচটা খুব কঠিন হবে। ওরাও বার্সার মতোই ফুটবল খেলে। আশা করছি আমরা জিতব,’’ বলছেন গিমেনেজ। সাসপেনশন কাটিয়ে আটলেটিকো দলে ফিরতে চলেছেন ফের্নান্দো তোরেসও। ২০১২ চেলসির চ্যাম্পিয়ন্স লিগ জয়ী দলের সদস্য ছিলেন তোরেস। ফাইনালে বায়ার্নকে তাদের ঘরের মাঠেই হারিয়েছিল চেলসি। তাই তোরেস ভাল ভাবেই জানেন বায়ার্ন মিউনিখকে হারাতে ঠিক কেমন লাগে।

Advertisement

হিলসবোরোর বিচার

২৭ বছর পরে বিচার পেল হিলসবোরোতে প্রাণ হারানো সেই ৯৬জন লিভারপুল সমর্থক এবং তাঁদের পরিবার। এ দিন কোর্টের রায়, ফুটবল ইতিহাসে অন্যতম দুর্ভাগ্যজনক ঘটনার জন্য সমর্থকরা দায়ী ছিলেন না। ১৯৮৯-তে নটিংহ্যাম ফরেস্ট ও লিভারপুলের ম্যাচে ঘটনাটা ঘটে। ঘটনার জন্য কাঠগরায় দাঁড় করানো হল ডেভিড ডাকেনফিল্ড-কে। অবসরপ্রাপ্ত এই পুলিশ অফিসারের উপরে দায়িত্ব ছিল সে দিন সমর্থকদের সামলানোর।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন