ব্রিসবেনে মাথায় চোট পেলেন জো রুট। মিচেল স্টার্কের বলে। ছবি: এএফপি
ব্রিসবেনে অ্যাশেজের প্রথম টেস্টের তৃতীয় দিনে জীবনের সবচেয়ে লড়াকু শতরান করে অস্ট্রেলিয়াকে ব্যাটিং বিপর্যয় থেকে বাঁচালেন অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ।
প্রথম ইনিংসে ইংল্যান্ডের ৩০২ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে ৭৬ রানেই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পরেন ডেভিড ওয়ার্নার-রা। সাড়ে আট ঘণ্টা ক্রিজে কাটিয়ে ৩২৬ বলে ১৪১ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন স্মিথ। তাঁর ইনিংসই অস্ট্রেলিয়াকে ম্যাচে ফেরত নিয়ে আসে। সেঞ্চুরিতে পৌঁছানোর পরে আবেগপ্রবণ স্মিথ অদ্ভুত ভঙ্গিমায় নিজের উচ্ছাস প্রকাশ করে বুঝিয়ে দেন যে, তাঁকে আউট করা সহজ নয়। জীবনের মন্থরতম সেঞ্চুরি হলেও পরিস্থিতির বিচারে এটিকে টেস্টের অন্যতম সেরা ইনিংস ধরা হচ্ছে। ১০৫ ইনিংসে ২১ নম্বর সেঞ্চুরি করে টপকালেন সচিন তেন্ডুলকরকেও। যা সচিন করেন ১১০ ইনিংসে।
শন মার্শের ৫১ ও প্যাট কামিন্সের ৪২ রানের ইনিংস ছাড়া আর কোনও ব্যাটসম্যানই স্মিথকে সহায়তা দিতে পারেননি। ৩২৮ রানে অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস শেষ হওয়ার পর দিনের শেষে ৩৩ রানে দু’উইকেট হারিয়ে বিপক্ষের থেকে ৭ রান পিছিয়ে ইংল্যান্ড। অধিনায়কের ইনিংসে উজ্জীবিত অস্ট্রেলিয়ার পেসাররা গাব্বার দ্রুতগামী পিচের সুবিধে তুলতে শুরু করেছেন।
মিচেল স্টার্কের একটি ভয়ঙ্কর বাউন্সার জো রুটের হেলমেটে সশব্দে আছড়ে পড়ে। অনেকেই আতঙ্কিত হয়ে ওঠেন যা দেখে। বোলার স্টার্কও ছুটে আসেন।
এত জোরে বল এসে লেগেছিল যে, হেলমেটের একটা অংশ খুলে পড়ে। এত জোরে শব্দ হয়েছিল রুটের হেলেমেটে লাগার পরে যে, কারও কারও মনে ফিল হিউজের স্মৃতি ফিরে এসেছিল। যদিও পরে ইংল্যান্ডের পেসার স্টুয়ার্ট ব্রড বলে যান, রুটের সব ধরনের পরীক্ষা হয়েছে। তিনি সুস্থই আছেন।
অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্মিথ সেঞ্চুরির পরে আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন। বলেন, ‘‘অ্যাশেজে সফল হওয়া সহজ নয়। ব্যাটিংয়ের সাহায্যে দলকে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চেয়েছিলাম। ধৈর্য এবং শৃঙ্খলার সঙ্গে ব্যাটিং করে দলকে বিপদ থেকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা করেছি। তাই শতরানে পৌঁছে আমি আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েছিলাম।’’