Sports

৪৩৮ করা সেই দক্ষিণ আফ্রিকা দলের ক্রিকেটাররা আজ কেমন আছেন?

১২ মার্চ ২০০৬। ক্রিকেট যত দিন থাকবে, ঠিক ১১ বছর আগের সেই রাত অমর হয়ে থাকবে। ওয়ান ডে ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড সে দিন স্থায়ী হয়েছিল ঘণ্টা চারেক। অস্ট্রেলিয়ার ৪৩৪ রানের পর্বতকে টপকে ৪৩৮ রান করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা।

Advertisement
সংবাদ সংস্থা
শেষ আপডেট: ১৬ মার্চ ২০১৭ ১৩:২৮
Share:
০১ ১১

গ্রেম স্মিথ: সে দিন দক্ষিণ আফ্রিকার রান তাড়া করার অন্যতম প্রধান কারিগর। ওপেনিংয়ে তাঁর ৫৫ বলে ৯০ রানের মারকাটারি ইনিংস জয়ের ভিত গড়ে দেয়। মাত্র ২২ বছর বয়সে প্রোটিয়াদের দায়িত্ব নেওয়া স্মিথ এখন অবসরের গ্রহে। ধারাভাষ্য দেওয়ার পাশাপাশি সামলাচ্ছেন নিজের ব্যবসাও। দক্ষিণ আফ্রিকায় র‌্যাম স্ল্যাম টুর্নামেন্টের ডিরেক্টরও ছিলেন তিনি।

০২ ১১

বোয়েটা ডিপেনার: ১৯৯৯ থেকে ২০০৭ পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একশোরও বেশি ম্যাচ খেলেছেন ডিপেনার। বহু দিন পর্যন্ত তিনিই ছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার নির্ভরযোগ্য ওপেনার। পরে খারাপ ফর্মের জন্য বাদ পড়েন। ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেন। দেশে নিজের ক্রিকেট অ্যাকাডেমি রয়েছে ডিপেনারের। ২০১২ পর্যন্ত প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট খেলেছেন তিনি।

Advertisement
০৩ ১১

হার্শেল গিবস: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম প্রতিভাবান ব্যাটসম্যান গিবসের হাত ধরেই সে দিন ম্যাচ জিতেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ১১১ বলে ১৭৫ রানের বিধ্বংসী ইনিংসে ছিল ২১টি বাউন্ডারি এবং ৭টি ওভার বাউন্ডারি। ২০১০ পর্যন্ত নিয়মিত আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলা গিবস গত বছরও খেলেছেন মাস্টার্স চ্যাম্পিয়ন্স লিগে।

০৪ ১১

এবি ডেভিলিয়ার্স: সেই দলের এক মাত্র ক্রিকেটার যিনি আজও চুটিয়ে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলে চলেছেন। সে দিন কিন্তু একেবারেই দাগ কাটতে পারেননি তিনি। ২০ বলে ১৪ রান করেছিলেন এ বি।

০৫ ১১

জাক কালিস: এই প্রজন্মের সেরা অলরাউন্ডারদের অন্যতম কালিস কিন্তু সে দিন একেবারেই ছাপ ফেলতে পারেননি। ৬ ওভারে ৭০ রান দেওয়ার পাশাপাশি ব্যাট হাতে ২১ বলে মাত্র ২০ রান করেছিলেন। ২০১৩ সালে শেষ হয় তাঁর বর্ণময় ক্রিকেট জীবন। নাইট রাইডার্সের হেড কোচের নামে একটি স্কলারশিপও চালু রয়েছে।

০৬ ১১

মার্ক বাউচার: সে দিন দক্ষিণ আফ্রিকার ম্যাচ জয়ের অন্যতম হিরো। পর পর উইকেট হারিয়ে ম্যাচ যখন প্রায় হেত থেকে বেড়িয়ে যাচ্ছে, তখনই ঝলসে ওঠে এই উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যানের ব্যাট। বাউন্ডারি মেরে তিনিই দলকে জেতান। চোখে আঘাত লাগায় অবসর নিতে বাধ্য হওয়া বাউচার নাইট রাইডার্সের কিপিং কনসালটেন্টের দায়িত্ব পালন করেছেন।

০৭ ১১

জাস্টিন কেম্প: সে দিন ম্যাচ জেতানোয় দক্ষিণ আফ্রিকার এই অলরাউন্ডারের তেমন কোনও ভূমিকা ছিল না। এক ওভার বল করে ১৪ রান দেওয়া কেম্প ব্যাট হাতে ১৭ বলে ১৩ রান করেছিলেন। প্রথমে আইসিএল এবং পরে আইপিএল খেলা কেম্প এখনও টি২০ ক্রিকেট খেলছেন।

০৮ ১১

জোহান ভ্যান ডার ওয়াথ: ৪৭ বলে প্রয়োজন ছিল ৮০ রানের। মিডল অর্ডারে ধস নামায় ম্যাচ প্রায় হাত থেকে বেড়িয়ে যাওয়ার মুহূর্তে ত্রাতার ভূমিকায় নামেন জোহান। ১৮ বলে ৩৫ রান দলের জেতায় বড় ভূমিকা নেয়। আইসিএল এবং আইপিএল খেলা জোহান এখন এক জন পেশাদার গল্ফার।

০৯ ১১

রজার তেলেমাখাস: ১০ ওভারে ৮৭ রান দিলেও তিনিই রিকি পন্টিং এবং অ্যাডাম গিলক্রিস্টকে আউট করেছিলেন। শেষ দিকে দু’টি বাউন্ডারি মেরে দলকে জিততে সাহায্যও করেন। ২০০৯ সালে অ্যাঞ্জিওগ্রাম হওয়ায় অবসর নিতে বাধ্য হন। এর পর দক্ষিণ আফ্রিকার ক্লাব দলের কোচিং কেরিয়ার শুরু করেন তিনি।

১০ ১১

অ্যান্ড্রু হল: অলরাউন্ডার যিনি ব্যাট এবং বল— যে কোনও ভাবেই ওপেন করতে পারতেন। ৪ বলে ৬ রান বাকি থাকা অবস্থায় তিনি বাউন্ডারি মেরে দলকে জয়ের দোরগোড়ায় এনে দেন। আইসিএলে দুই মরসুম খেলেছেন তিনি। বর্তমানে তিনি স্পেনসার্স ক্লাবের জুনিয়র পর্য়ায়ের অধিকর্তা।

১১ ১১

মাখায়া এনতিনি: ডেল স্টেইনের আগে পর্যন্ত দক্ষিণ আফ্রিকার জাতীয় দলের প্রধান পেসার ছিলেন তিনিই। তিন বছর চেন্নাই সুপার কিঙ্গসের হয়ে খেলা এনতিনি বর্তমানে জিম্বাবোয়ের জাতীয় দলের কোচি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
Follow us on:
Advertisement
আরও গ্যালারি
Advertisement