রবিবার আইপিএল অভিযান শুরু হচ্ছে তাঁদের কেকেআরের বিরুদ্ধে। তার আগে প্রস্তুতিতে ওয়াশিংটন। ছবি: সুদীপ্ত ভৌমিক
নিদাহাস ট্রফিতে ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট হয়েছেন ওয়াশিংটন সুন্দর। অফস্পিনার হয়েও পাওয়ার প্লে-তে বল করতে ভয় পান না। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ব্যাট হাতে এখনও সে ভাবে নজর কাড়তে পারেননি। তবে তামিলনাড়ুর হয়ে ঘরোয়া টি-টোয়েন্টিতে দুর্দান্ত ব্যাটিং করেছেন। এ বার তাঁর লক্ষ্য রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর (আরসিবি)-র হয়ে নিজেকে প্রমাণ করা। আইপিএলে ওয়াশিংটনের অভিষেক রয়্যাল পুণে সুপার জায়ান্টস (আরপিএস)-র হয়ে। এ বার ৩.২০ কোটি টাকায় তাঁকে কিনেছে আরসিবি।
• সাফল্যের রহস্য: পুরোটাই আমার পরিশ্রমের ফল। আমি মনে করি যারা পরিশ্রম করে, ভাগ্যও তাদের সঙ্গে থাকে। গত ১৪ মাস আমি সেই পরিশ্রমের সুফল পাচ্ছি। শ্রীলঙ্কায় নিদাহাস ট্রফির সাফল্যও আইপিএলে আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করবে।
• ভয় কেন পাব: অফস্পিনার হিসেবে পাওয়ার প্লে-তে বল করা সহজ নয়। সেটা যদি নতুন বলে করতে হয়, তা হলে কাজটা আরও কঠিন হয়ে যায়। কিন্তু আমি ভয় পাই না। বরং উপভোগ করি লড়াইটা। পাওয়ার প্লে-তে ব্যাটসম্যানকে সমস্যায় ফেলতে পারি বলেই তো ভারতীয় দলে সুযোগ পেয়েছি। রয়্যাল পুণে সুপার জায়ান্টস (আরপিএস)-এ খেলার সময়েই এই কৌশল রপ্ত করেছি।
• হার না মানা মানসিকতা: প্রত্যেকটা মুহূর্তই আমার কাছে নতুন লড়াই। একটা ওভারে হয়তো ব্যাটসম্যানের কাছে প্রচুর মার খেলাম। কিন্তু তাতে ভেঙে পড়লে চলবে না। নিজেকে প্রস্তুত করতে হবে পরের ওভারে ঘুরে দাঁড়ানোর জন্য।
• সঙ্গে এ বার যুজবেন্দ্র চহাল: অফস্পিনার ও লেগস্পিনার জুটি বরাবরই ভারতকে সাফল্য এনে দিয়েছে। চহালের সঙ্গে বল করেই নিদাহাস ট্রফি জিতেছি। আইপিএলেও সেই ছন্দ ধরে রাখা আমাদের লক্ষ্য।
• পরিকল্পনা তৈরি: ভারতীয় দলে খেলায় সময় আমি যখন আক্রমণ করতাম, চহাল রান আটকানোর চেষ্টা করত। আবার চহাল যখন আক্রমণ করত, আমি রান আটকানোর চেষ্টা করতাম। আইপিএলেও এই ভাবে খেলতে চাই।
• বিরাট-মন্ত্র: ভারতীয় দলের অধিনায়কের নেতৃত্বে খেলতে পেরে আমি আপ্লুত। আমি ওর ভক্ত। এই প্রজন্মের সব ক্রিকেটারেরই প্রেরণা বিরাট কোহালি।