জুটি: পুরস্কার নেওয়ার অনুষ্ঠানে বান্ধবীর সঙ্গে ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো। ছবি: রয়টার্স
ক্রিশ্চিয়ানো রোনাল্ডো বলে দিচ্ছেন, ‘‘আমিই বিশ্বসেরা।’’ আর তার কারণ হচ্ছে, তিনি এটাই বিশ্বাস করেন যে, তাঁর চেয়ে ভাল এই বিশ্বে কেউ নেই। বছরের সেরা পর্তুগিজ ফুটবলারের পুরস্কার নিতে এসে এমন বিবৃতিই পেশ করলেন সি আর সেভেন। ‘‘আমি সব সময় বলি যে, আমিই সেরা এবং সেটা আমি মাঠে প্রমাণও করে যাচ্ছি,’’ লা লিগায় জিরোনার বিরুদ্ধে একাই চার গোল করা তিনি সদর্পে ঘোষণা করছেন।
পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের অনুষ্ঠানে সেরা ফুটবলারের পুরস্কার নিতে এসেছিলেন রোনাল্ডো। সঙ্গে ছিলেন তাঁর বান্ধবী জর্জিনা রদরিগেজ। ২০১৭ সালের সেরা পর্তুগিজ ফুটবলার বেছে নিয়েছেন ফুটবল ভক্ত, কোচ, ফুটবলাররা মিলে। একটি বিশেষ বিচারকদের দলও ছিল, যার নেতৃত্বে ছিলেন লুইস ফিগো। এই নিয়ে তৃতীয় বার তাদের দেশের সেরা ফুটবলারকে পুরস্কৃত করল পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশন। তিন বারই সেই পুরস্কার জিতেছেন রোনাল্ডো। তাঁর নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী ছিলেন ম্যাঞ্চেস্টার সিটিতে খেলা বার্নার্দো সিলভা এবং স্পোর্টিং লিসবনের গোলরক্ষক রুই প্যাত্রিসিও। এঁরা দু’জন যথাক্রমে দ্বিতীয় এবং তৃতীয় সেরা হয়েছেন।
সেরার পুরস্কার হাতে নিয়ে গর্বিত ভাবে রোনাল্ডো বলতে থাকেন, ‘‘দারুণ একটা সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি। সতীর্থদের সঙ্গে এই আনন্দের মুহূর্ত ভাগ করে নিতে চাই। ব্যক্তিগত এবং দলহগত, দু’দিক দিয়েই ২০১৭ ছিল আমার এবং রিয়াল মাদ্রিদের জন্য দারুণ সফল একটা বছর।’’ এর পরেই ২০১৭ সালে ট্রফি জয়ের বর্ণনা দেন তিনি। ‘‘গত বছর পাঁচটা ট্রফি জিতেছে রিয়াল। আমি পঞ্চম ব্যালন ডি’ওর জিতেছি। দ্বিতীয় বার ফিফার বর্ষসেরা হয়েছি। সব মিলিয়ে অসাধারণ একটা বছর,’’ মত তাঁর।
আরও পড়ুন: বাবার অপূর্ণ স্বপ্ন সফল করাই লক্ষ্য সুমিতের
বান্ধবী জর্জিনার সামনে এর পরে মজা করে তাঁর আরও একটি ‘রেকর্ড’-এর উল্লেখ করেন রোনাল্ডো। বলে ওঠেন, ‘‘আমি এই পুরস্কার আমার চার সন্তানকে উৎসর্গ করছি। এটাও আর একটা রেকর্ড। তিন মাসে তিন সন্তানের বাবা হওয়া।’’ সমালোচকদের এক হাত নিতেও ভোলেননি তিনি। বলে দেন, ‘‘ওরা যে যা-ই বলুক, আমিই সেরা আর আমিই সেরা থাকব। সেটা আমি বার বার মাঠে প্রমাণ করে দেব। একটা কথা আমি বলি যে, লড়াকু হতে গেলে পর্তুগিজদের মতো লড়াকু হও। আমরা কখনও লড়াই ছেড়ে চলে যাই না।’’
২০১৭ সালে ৪৬ ম্যাচে ৪২টি গোল করেছেন পর্তুগিজ তারকা। এ বছরে এখন পর্যন্ত করেছেন ৩৫ ম্যাচে ৩৭ গোল। রবিবার জিরোনার বিরুদ্ধে লা লিগা ম্যাচে রিয়াল মাদ্রিদের ৬-৩ জয়ে তাঁর একারই ছিল চারটি গোল। ক্লাব ও দেশ মিলিয়ে হ্যাটট্রিকের হাফ সেঞ্চুরিও সেরে ফেললেন তিনি। যদিও লা লিগায় এখনও তিন নম্বরেই পড়ে আছে রিয়াল। মেসির বার্সেলোনার চেয়ে ১৫ পয়েন্টে পিছিয়ে তারা।