বিরাটের ক্রিকেট দর্শন

‘ক্রিজে একা থাকার সময় সবচেয়ে শান্তি পাই’

শেষ বার যখন ক্যারিবিয়ান সফরে এসেছিলেন, ব্যর্থতা ছাড়া বিশেষ কিছু পাননি। ২০১১ সালের সেই সফরে হরভজন সিংহ তাঁর চেয়ে বেশি রান করে গিয়েছিলেন।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৪ জুলাই ২০১৬ ০৩:১৪
Share:

শেষ বার যখন ক্যারিবিয়ান সফরে এসেছিলেন, ব্যর্থতা ছাড়া বিশেষ কিছু পাননি। ২০১১ সালের সেই সফরে হরভজন সিংহ তাঁর চেয়ে বেশি রান করে গিয়েছিলেন। আর এ বার এসেই ধন্ধুমার বাধিয়ে দিয়েছেন বিরাট কোহালি। শুক্রবার কেরিয়ারের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করে বিসিসিআই টিভিকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে যা যা বললেন...

Advertisement

‘‘...ওয়েস্ট ইন্ডিজে টেস্ট অভিষেক সিরিজটা মনে রাখার মতো ছিল না। এখানে ডাবল সেঞ্চুরি করাটা বেশি তৃপ্তির, কারণ এর আগে কয়েক বার বড় স্কোর ফসকে গিয়েছে। টেস্ট ক্রিকেটে সাফল্য যে তৃপ্তি দেয়, সেটার সঙ্গে কোনও কিছুর তুলনা চলে না। অধিনায়ক হিসেবে আমি পাঁচজন স্পেশ্যালিস্ট ব্যাটসম্যান খেলাতে চাই। এই পরিস্থিতিতে লিডার হিসেবে কাজটা নিজে করে দেখানোর বাড়তি দায়িত্ব থাকে। আর অধিনায়ক হিসেবে আমি কখনওই প্লেয়ারদের এমন কিছু করতে বলব না যেটা আমি নিজে করতে পারব না। এই ইনিংসে প্রথমে বেশি রান আসছিল না। ড্রেসিংরুমে ঠিক করি, ক্রিজে পজিটিভ থাকব। তার পর রান আসতে থাকল। জানতাম ক্রিজে থাকলে টিমের আর আমার দরকারের রান আসবেই।

লোকে বলে আমার উপর সব সময় প্রত্যাশার বিরাট চাপ থাকে। কিন্তু অনেকে বুঝতে পারে না, যখন ব্যাট করি না তখন চাপ অনেক বেশি থাকে। ড্রেসিংরুমে যেমন লোকজনের সঙ্গে কথা হয়। শুনতে পাই কে কী বলছে, কাছের লোকেরা আমার কাছ থেকে কী কী চাইছে। এগুলোই চাপটা অনেক বাড়িয়ে দেয়।

Advertisement

যখন ব্যাট করতে নামি, তখন তো শুধু আমি আর আমার ব্যাটিং পার্টনার। লোকে বুঝতে পারে না যে, ক্রিজে একা একা ব্যাট করার সময় আমি প্রচুর শান্তিতে থাকি। কারণ তখন কারও সঙ্গে কথা বলতে হয় না। কারও প্রত্যাশার কথা শুনতে হয় না। তখন শুধু নিজেকে নিয়ে ভাবি। নিজে কী কী ভাবছি, সেগুলো বুঝতে পারি। তার পর সেগুলো নিয়ে কাজে লেগে পড়ি।

টানা পারফর্ম করতে শুরু করলে আপনার উপর প্রত্যাশা বাড়বেই। কিন্তু আমি সেটাকে আশীর্বাদ হিসেবে দেখি। লোকে যদি সব সময় ভাল খেলতে দেখতে চায়, তার মানে তো এটাই যে, ওরা আমার খেলা পছন্দ করে। ওরা চায় আমি ভাল করি যাতে টিমও ভাল করে। আমি সব সময় চেয়েছিলাম এ রকম একটা জায়গায় থাকতে। এই ব্যাপারটাই আমাকে আনন্দ দেয়। এই জায়গায় থাকাটা আমার সৌভাগ্য...।’’

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement
Advertisement