ডার্বির জন্য তৈরি, বার্তা কোলাদোর

ডার্বির রণনীতি যাতে ফাঁস হয়ে না যায়, তার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা আগেই মাঠের চার দিক কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার দেখা গেল, একটা নয়, জোড়া পর্দা।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৫
Share:

আত্মবিশ্বাসী: মাঠে নামতে মুখিয়ে কোলাদো। নিজস্ব চিত্র

আই লিগে রবিবার ইস্টবেঙ্গল বনাম মোহনবাগান ডার্বি। অথচ ম্যাচের আটচল্লিশ ঘণ্টা আগে লাল-হলুদ শিবিরের ছবিটা অবাক করার মতো। শুক্রবার সকালে যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গন সংলগ্ন মাঠে ইস্টবেঙ্গলের অনুশীলন দেখতে জনা দশেক সমর্থক এসেছিলেন। তাঁরাও কিছুক্ষণ পরে হতাশ হয়ে ফিরে গেলেন।

Advertisement

ডার্বির রণনীতি যাতে ফাঁস হয়ে না যায়, তার জন্য চব্বিশ ঘণ্টা আগেই মাঠের চার দিক কালো পর্দা দিয়ে ঢেকে দেওয়া হয়েছিল। শুক্রবার দেখা গেল, একটা নয়, জোড়া পর্দা। কারণ, আগের দিন পর্দার ফাঁক দিয়েও অনুশীলন দেখা যাচ্ছিল। এ দিন তাই আর ঝুঁকি নেওয়া হয়নি। এখানেই শেষ নয়। দল নিয়ে শুক্রবার বিকেলেই রাজারহাটের একটি হোটেলে চলে গিয়েছেন আলেসান্দ্রো মেনেন্দেস।

এত কিছুর পরেও ডার্বিতে ঝুঁকি থেকেই যাচ্ছে। তা যতই এ দিন বিকেলে ইস্টবেঙ্গলে সই করে আশার বাণী শোনান না কেন স্প্যানিশ মিডফিল্ডার খাইমে সান্তোস কোলাদো। কারণ, চোটের কারণে মহম্মদ আল আমনাকে ছেড়ে দিয়েছে ইস্টবেঙ্গল। প্রধান স্ট্রাইকার এনরিকে এসকুয়েদার পাঁজরের হাড়ে চিড় ধরায় রবিবাসরীয় ডার্বিতে নেই। অর্থাৎ, মাত্র চার জন বিদেশিকে পাবেন লাল-হলুদ কোচ। এঁরা হলেন— বোরখা গোমেস পেরেস, জনি আকোস্তা, কাশিম আইদারা ও খাইমে। এঁদের মধ্যে কয়েক দিন আগেই যোগ দিয়েছেন ২৩ বছর বয়সি স্প্যানিশ মিডিয়ো। যিনি শেষ ম্যাচ খেলেছেন প্রায় এক মাস আগে। খাইমে অবশ্য দাবি করলেন, তিনি তৈরি। এ দিন বিকেলে আইএফএ দফতরে সই করতে এসে বললেন, ‘‘ডার্বিতে মাঠে নামার জন্য আমি ছটফট করছি। আশা করছি জিতব।’’ মিডফিল্ডার হলেও দলের প্রয়োজনে যে কোনও জায়গায় খেলতে পারেন, স্পষ্ট করে দিলেন। বললেন, ‘‘আমি সব পজিশনেই খেলতে পারি। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে
কোচের উপরে।’’

Advertisement
(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন