সুযোগ পেয়েও বাধা দিইনি, হতাশ স্মিথ

স্মিথ বলেছেন, ‘‘ড্রেসিংরুমে এই ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছিল, যা আমি শুনতে পাই। তখনই আমার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া উচিত ছিল। বাধা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমি তা করিনি। যার ফল মাঠেই পাওয়া গিয়েছে।’’

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২২ ডিসেম্বর ২০১৮ ০৪:০৫
Share:

‘স্যান্ডপেপারগেট’ সম্পর্কে মুখ খুললেন স্মিথ।

বল-বিকৃতি কাণ্ডে নির্বাসিত হওয়ার পরে গত বছর ২৯ মার্চ সাংবাদিকদের সামনে এসে চোখের জল ধরে রাখতে পারেননি। তার পর থেকে সংবাদমাধ্যমের সামনে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতেই রাজি হননি প্রাক্তন অস্ট্রেলীয় অধিনায়ক স্টিভ স্মিথ। শুক্রবার সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে আরও এক বার ‘স্যান্ডপেপারগেট’ সম্পর্কে মুখ খুললেন স্মিথ। জানিয়ে দিলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে কেপ টাউনে দ্বিতীয় টেস্টের তৃতীয় দিন ড্রেসিংরুমে এ বিষয়ে আলোচনা শুনেও সতীর্থদের বারণ করেননি।

Advertisement

স্মিথ বলেছেন, ‘‘ড্রেসিংরুমে এই ব্যাপারে আলোচনা হচ্ছিল, যা আমি শুনতে পাই। তখনই আমার এ বিষয়ে বিস্তারিত জানতে চাওয়া উচিত ছিল। বাধা দেওয়া উচিত ছিল। কিন্তু আমি তা করিনি। যার ফল মাঠেই পাওয়া গিয়েছে।’’ তিনি যোগ করেন, ‘‘এমনকি আমি বলি, ‘আমি এ বিষয়ে কিছু শুনতে চাই না।’ সেই মুহূর্তেই অধিনায়ক হিসেবে আমি হেরে গিয়েছি। তাই মাথা পেতে শাস্তি নিতেও এগিয়ে এসেছি।’’

যার ফল গত ৯ মাস ধরে ভুগতে হচ্ছে প্রাক্তন অধিনায়ককে। দেশের মাটিতে ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ চলছে দেখেও নামতে পারছেন না। ‘‘যখন দেখি আমার সতীর্থেরা লড়াই করছে, কিন্তু ফল তাদের পক্ষে যাচ্ছে না। তখন মনে হয়, আমি যদি ওদের পাশে দাঁড়াতে পারতাম। কিন্তু গত ম্যাচে ওরা ঘুরে দাঁড়িয়েছে দেখে আমি প্রচণ্ড খুশি হয়েছি,’’ বক্তব্য স্মিথের।

Advertisement

নির্বাসনের ৯ মাস কেটে গিয়েছে। বাকি আর তিন মাস। মার্চের শেষ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরে আসার কথা তাঁর। ২০১৯ সালের ৩০ মে থেকে শুরু হচ্ছে ক্রিকেট বিশ্বকাপ। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রত্যাবর্তনের জন্য বিশ্বকাপেই এখন পাখির চোখ স্মিথের। যার প্রস্তুতি হিসেবে আইপিএল-এর দিকেই তাকিয়ে তিনি। বলছেন, ‘‘ওয়ান ডে এখন টি-টোয়েন্টির মতোই হয়ে গিয়েছে। বিশ্বকাপের প্রস্তুতি হিসেবে আইপিএল-এর থেকে ভাল মাধ্যম আর কী হতে পারে! কারণ, এই প্রতিযোগিতায় চাপ সামলানোর অভ্যেস হয়ে যায়। যা বিশ্বকাপেও নিশ্চয়ই থাকবে।’’

এত দিন কী ভাবে কাটিয়েছেন তিনি? স্মিথের উত্তর, ‘‘খুবই কঠিন সময়ের মধ্য দিয়ে গিয়েছি। এমনও হয়েছে যে, বিছানা থেকে উঠতেই ইচ্ছে করত না। চার দেওয়ালের মধ্যে থাকতে চাইতাম। কিন্তু আমার পরিবার ও কয়েক জন বন্ধুর জন্য এই পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে পেরেছি। শেষ ৯ মাসে আমি অনেক কিছু শিখেছি। মানসিক ভাবে আরও পরিণত হয়েছি। এ বার শুধু সুযোগের অপেক্ষায় আছি।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন