লিভারপুল ১ (মিলনার-পেনাল্টি): ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড ১(ইব্রাহিমোভিচ)

ইপিএলে নাটকের রাতে রুনি-তাস খেলে ড্র করলেন মোরিনহো

মোরিনহো বনাম ক্লপ মানেই দুই ভিন্ন স্টাইলের লড়াই। মোরিনহো মানে রক্ষণাত্মক একজন কোচ। যাঁর দল ডিফেন্স গুছিয়ে আক্রমণে যাবে। দরকার পড়লে মিডফিল্ডও ট্র্যাক ব্যাক করবে। ক্লপ মানে হাইপ্রেসিং। যেখানে ফরোয়ার্ড থ্রি বারবার পজিশন পাল্টাবে।

Advertisement

সুব্রত ভট্টাচার্য

শেষ আপডেট: ১৬ জানুয়ারি ২০১৭ ০৩:৩৩
Share:

গোলের পরে ইব্রাহিমোভিচ। ছবি: রয়টার্স

মোরিনহো বনাম ক্লপ মানেই দুই ভিন্ন স্টাইলের লড়াই।

Advertisement

মোরিনহো মানে রক্ষণাত্মক একজন কোচ। যাঁর দল ডিফেন্স গুছিয়ে আক্রমণে যাবে। দরকার পড়লে মিডফিল্ডও ট্র্যাক ব্যাক করবে।

ক্লপ মানে হাইপ্রেসিং। যেখানে ফরোয়ার্ড থ্রি বারবার পজিশন পাল্টাবে। বিপক্ষকে বল ধরতে সুযোগ দেবে না।

Advertisement

রবিবার রাতে ম্যাঞ্চেস্টার ইউনাইটেড বনাম লিভারপুল ম্যাচে তাই তো মাঠের ফুটবলারদের থেকেও আমার বেশি আগ্রহ ছিল দুই কোচের নোটপ্যাড থেকে কী চাল বেরোয়, সেটা দেখতে। দুই সফল কোচের টক্কর মানে তো দাবার লড়াই দেখার মতোই। যেখানে মনোরঞ্জনও থাকবে। আবার চতুর স্ট্র্যাটেজিও।

নব্বই মিনিট শেষে বলাই যায় দুই দলই সমানে সমানে সুযোগ তৈরি করেছে। কেউ কারও থেকে কম যায়নি। প্রথমার্ধে একবারও দাঁড়াতে দেখলাম না লিভারপুলকে। গতি আর প্রেস করে ম্যাচের দখল নিল। ম্যান ইউনাইটেডের মিডফিল্ডটা অকেজো করে রেখেছিল। পোগবা, মাখিতারিয়ানরা বল পেলেই তাড়া করছিল। দ্রুত পাস দিতে বাধ্য করছিল। গুণগত মানে লিভারপুল অনেক পিছিয়ে বিপক্ষের থেকে। বেশিরভাগ তরুণ প্লেয়ার। কিন্তু তাতেও ক্লাভান, আলেকজান্ডারদের দেখে মনে হল না এত বড় ম্যাচ বলে ভয় পেয়ে আছে। বরং চাপটা উপভোগ করেছে।

ফার্স্ট হাফে ম্যান ইউনাইটেডের দু’জায়গায় সমস্যা হচ্ছিল— ফিনিশিং ও মিসপাস। যথেষ্ট সুযোগ পেয়েছিল গোলের। মাখিতারিয়ানের পাস থেকে পোগবার ফিনিশ করা উচিত ছিল। কিন্তু সেটা হল না। কর্নার থেকে পোগবার হ্যান্ডবলে লিভারপুল পেনাল্টি পেল ঠিকই। কিন্তু কর্নারটা হল প্রেসিংয়ের জন্যই।

মোরিনহোর প্রশংসা করতেই হবে। ওঁর গুণ হচ্ছে রিজার্ভ বেঞ্চটাকে কাজে লাগাতে জানেন। এমন এমন ফুটবলার পরিবর্তে নামান যাঁরা ম্যাচের ছবি পাল্টে দেয়। ক্যারিকের জায়গায় রুনিকে নামিয়ে সেটাই করলেন।

রুনির মতো ফুটবলার ফিনিশিং হারালেও ওয়ার্ক লোড নিতে পারে। ও নামার পরে আরও আক্রমণ বাড়ায় ম্যান ইউনাইটেড। মাঝমাঠে বলের দখলটাও নিতে থাকে। মাখিতারিয়ানের মতো বল প্লেয়ারকে আরও ম্যাচে নিয়ে আসে রুনি। উইং থেকেও ক্রস দিতে থাকে ভ্যালেন্সিয়া।

লিভারপুল তখন আল্ট্রা ডিফেন্সিভে চলে গিয়েছে। ওদের উচিত ছিল দ্বিতীয় গোল করা। প্রতিআক্রমণের উপর খেলতে থাকে। শেষমেশ সেখানেই গোলটা খেয়ে গেল। কারণ ইব্রাহিমোভিচের মতো স্ট্রাইকারের মাত্র একটা সুযোগ লাগে ম্যাচ পাল্টাতে। গোটা ম্যাচে খুব বেশি সুযোগ তৈরি না করলেও ঠিক সময় ঠিক জায়গায় থেকে হেডটা দিয়ে গোল করল।

দিনের শেষে ম্যাচ ১-১ শেষ হওয়া আমার মতে তাই সঠিক রেজাল্ট।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন