ফের হ্যাটট্রিকের স্বপ্ন দেখছেন মালিঙ্গা

আইসিসি মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার পেসার বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ যখন খেলতে পারছি, তখন হ্যাটট্রিক কেন করতে পারব না! অবশ্যই চেষ্টা করব। বিশ্বকাপটি বিশেষ করে তুলতে চাই।’’ 

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ২৮ মে ২০১৯ ০৪:২০
Share:

আশাবাদী: ইংল্যান্ডের পরিবেশ পছন্দ মালিঙ্গার। ফাইল চিত্র

বয়স যে শুধুমাত্র একটি সংখ্যা তা প্রমাণ করার জন্য মুখিয়ে রয়েছেন শ্রীলঙ্কা পেসার লাসিথ মালিঙ্গা। সদ্য আইপিএলে শেষ ওভার বল করতে এসে মুম্বই ইন্ডিয়ান্সকে চতুর্থ আইপিএল ট্রফি তুলে দিয়েছেন। এ বার তাঁর বিশ্বকাপ যাত্রা শুরু। ২০০৭-এ দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে চার বলে চার উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। এ বারও বিশ্বকাপে হ্যাটট্রিক করার স্বপ্ন দেখেন ৩৫ বছর বয়সি বিধ্বংসী পেসার।

Advertisement

আইসিসি মিডিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শ্রীলঙ্কার পেসার বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপ যখন খেলতে পারছি, তখন হ্যাটট্রিক কেন করতে পারব না! অবশ্যই চেষ্টা করব। বিশ্বকাপটি বিশেষ করে তুলতে চাই।’’

বর্তমানে ৩২৩টি উইকেট রয়েছে তাঁর ঝুলিতে। আরও একটি উইকেট পেলে ছাড়িয়ে যাবেন সনৎ জয়সূর্যকে। মালিঙ্গা জানিয়েছেন, ইংল্যান্ডের পরিবেশে খেলাটা বরাবর উপভোগ করেন তিনি। অভিজ্ঞ পেসারের ব্যাখ্যা, ‘‘ইংল্যান্ডের পরিবেশের সঙ্গে মানাতে না পারলে সমস্যায় পড়তে হয়। সেটাই আমার ভাল লাগে। প্রত্যেক মুহূর্তে চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত থাকতে হয়। কখনও ঠান্ডা, তো কখনও গরম। একজন বোলারের দক্ষতা তখনই বোঝা যায়, যখন দ্রুত সেই পরিবেশের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।’’

Advertisement

আইপিএলে চেন্নাই সুপার কিংসের বিরুদ্ধে শেষ ওভারে তাঁর বোলিং দেখে মুগ্ধ ক্রিকেটবিশ্ব। মালিঙ্গা নিজেও মানছেন, সেই পারফরম্যান্স আত্মবিশ্বাস বাড়াতে সাহায্য করেছে। কিন্তু আইপিএল ও বিশ্বকাপ ভিন্ন মানের প্রতিযোগিতা। টি-টোয়েন্টির চেয়ে ৫০ ওভারের ম্যাচেও প্রচুর তফাত। তাই আইপিএল ভুলে গিয়ে নতুন করে শুরু করাই তাঁর লক্ষ্য। কিন্তু দল হিসেবে শ্রীলঙ্কা খাতায়-কলমে খুব শক্তিশালী নয়। অনেকেই রয়েছে যাঁরা, প্রথম বার বিশ্বকাপ খেলার সুযোগ পাচ্ছেন। মালিঙ্গা তাতে চিন্তিত নন।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন