দিল্লি দূষণের মধ্যেই খেলতে হয়েছে মাস্ক পরে। ছবি: রয়টার্স।
দিল্লি ম্যারাথনের আগেই ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন আয়োজকদের সাবধান করেছিল। এবং স্পষ্টতই জানিয়ে দিয়েছিল এর মধ্যে খেলাটা সঠিক নয়। কিন্তু বিপুল ক্ষতির কথা মাথায় রেখে সেই সময় ম্যারাথন বাতিল করা যায়নি। সেই পথ ধরেই ভয়ঙ্কর দূষণের মধ্যে খেলা বাতিল করতে পারেনি বিসিসিআই। তাতে বার বার অসুস্থ হয়ে পড়তে দেখা গিয়েছে ক্রিকেটারদের। সেই তালিকায় যেমন ছিলেন শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটাররা তেমনই ভারতীয়রাও। বার বার অভিযোগ ওঠা সত্ত্বেও ফিরোজ শাহ কোটলায় খেলা চলে পুরো পাঁচ দিন।
ইন্ডিয়ান মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন জানিয়েছে, এই দূষণের বিষয়টিকে বিসিসিআই-এর সেই ভাবেই ভাবা উচিত ছিল যে ভাবে বৃষ্টি বা কম আলোর ক্ষেত্রে হয়। আইএমএ-এর প্রেসিডেন্ট কেকে অগ্রবাল বিসিসিআই-এর কার্যনির্বাহী প্রেসিডেন্ট সিকে খন্না ও সিওএ শীর্ষ কর্তা বিনোদ রাইকে বৃহস্পতিবার এক চিঠিতে এই কথা জানিয়েছেন। তিনি লেখেন, ‘‘আবহাওয়া দূষণ প্লেয়ারদের পারফর্ম্যান্সে প্রভাব ফেলে। যে খানে মিলিসেকেন্ড বা মিলিমিটারের ব্যবধানে একজন ক্রীড়াবিদের সাফল্য বা ব্যর্থতা নির্ভর করে। আর দূষণ একটা খুব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’’
গত দু’দিনে বিশেষ করে পালমোনোলজিস্ট ও কার্ডিওলজিস্টরা এই নিয়ে দীর্ঘ আলোচনা করেছে। যাতে আইসিসি ও বিসিসিআইকেও বার বার দূষণের পরিমাণ নিয়ে জানানো হয়েছে। তিনি আরও লেখেন, ‘‘এটা সেই সময় থেকে শুরু হয়েছিল যখন প্লেয়াররা মাস্ক পরে খেলতে নামে। ডাক্তার হিসেবে আমরা বুঝতে পারছিলাম একটা মারণ পরিস্থিতির মধ্যে পড়ে গিয়েছে প্লেয়াররা। আমরা ক্রিকেট বোর্ডকে বলতে চাইনি দূষণ হলে তারা কী করবে। কিন্তু আমরা চেয়েছি যথোপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া হোক।’’
আরও পড়ুন
ডোপ-কলঙ্কে শীতের গেমসে নিষিদ্ধ রাশিয়া
রেকর্ডের খাতায় পন্টিংয়ের পাশে বিরাট