মুম্বই ইন্ডিয়ান্সে কয়েকটা নিয়মিত মুখ আছে। যেমন রোহিত শর্মা, হরভজন সিংহ, প্রজ্ঞান ওঝা, কায়রন পোলার্ড আর লাসিথ মালিঙ্গা। এদের চার জন চারটে করে ওভার বল করে। ব্যাটসম্যান বলতে একা রোহিত। এটা থেকেই বোঝা যায়, ওদের ব্যাটিংয়ে আরও শক্তি দরকার।
দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের চিন্তাটা অন্য। ভাগ্য এখনও ওদের সঙ্গে নেই। যে টিম শেষ বলে ম্যাচ হারে, তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা যায় না। এখন যে ভাবে খেলছে, সে ভাবেই খেলে যেতে হবে ওদের। ভাগ্য কোনও না কোনও সময় মুখ ফিরে তাকাবেই। দিল্লিকে দেখে মনে হচ্ছে ওরা এ বার অঘটন ঘটাতে পারে।
যার বড় কারণ ইমরান তাহির। বছর দুয়েক আগে এই লেগস্পিনারের নাম শোনা গিয়েছিল। তবে এই এখন ওকে ভাল করে দেখছি। বিশ্বকাপে ও দুর্দান্ত ছিল। এখন ওকে দেখে মনে হচ্ছে চার হাতে বল করে। তার উপর ও শো-ম্যান। সফল শো-ম্যান কিন্তু আরও বেশি ভয়ঙ্কর। শেন ওয়ার্নকেই জিজ্ঞেস করে দেখুন।
অমিত মিশ্রও দ্বিতীয় স্পিনারের ভূমিকাটা ভাল ভাবে মেনে নিয়েছে। ওদের দু’জনের হাতেই দিল্লির ভাগ্য। দু’জনকেই লেগস্পিনার বলাটা একটু হাস্যকর। একজন ব্যাটসম্যানের চোখের লেভেলের উপর বলটা রাখে। অন্য জন ব্যাটসম্যানকে পিচের দিকে চোরা চাউনি দিতে বাধ্য করে। এ রকম বোলার সার্কেলের মধ্যে বাড়তি ফিল্ডার রাখা পছন্দ করে।
মিডল অর্ডার টিম হিসেবে এখনই দিল্লিকে দেখাটা উচিত হবে না। সে দিন তো রাজস্থান রয়্যালসের বিশ্ব মানের বোলিংয়ের বিরুদ্ধে ওপেনার হিসেবে ভাল পারফর্ম করল তরুণ দুই ভারতীয় ময়ঙ্ক অগ্রবাল আর শ্রেয়স আইয়ার। ওটা যদি ফ্লুক না হয়, তা হলে দিল্লি নিয়ে বাকি টিমগুলো কিন্তু চিন্তায় পড়বে। কোনও না কোনও সময় যুবরাজ ফ্যাক্টরও কার্যকর হবে। আশা করব মুম্বইও সে রকম করবে।
(টিসিএম)