বলজিৎ সিংহকে নিয়ে অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সামাল দিয়েছেন পঞ্জাবি ফুটবলারটির সঙ্গে বৈঠক করে। তা সত্ত্বেও স্বস্তিতে নেই ইস্টবেঙ্গল কোচ এলকো সতৌরি।
দলের ফুটবলারের দিকে অন্তর্ঘাতের অভিযোগ তোলায় এমনিতেই ডাচ কোচের উপর ক্ষুব্ধ লাল-হলুদ কর্তাদের একটি প্রভাবশালী অংশ। শীর্ষকর্তাদেরই কেউ কেউ প্রশ্ন তুলছেন এলকোর টিম ম্যানেজমেন্ট এবং সাম্প্রতিকতম পদক্ষেপ নিয়ে। তাঁদের প্রশ্ন, আই লিগে ইস্টবেঙ্গলের চ্যাম্পিয়ন হওয়াটা যখন ‘যদি’ আর ‘কিন্তু’-র উপর নির্ভরশীল, তখন কোচ ক্লাব কর্তাদের সঙ্গে কথা না বলে কী ভাবে এএফসি কাপের মতো আন্তর্জাতিক টুর্নামেন্টকে ‘গুরুত্বহীন’ করে দিলেন দ্বিতীয় দল খেলিয়ে। কর্তাদের বক্তব্য, ক্লাব স্পনসররাও এএফসি কাপকে গুরুত্ব দিয়ে থাকেন। একই সঙ্গে তাঁদের প্রশ্ন, কোচ তো সব জেনেবুঝেই ওমান ছেড়ে ইস্টবেঙ্গলের দায়িত্ব নিতে এসেছিলেন। তা হলে এখন প্রায় রোজই মিডিয়ার সামনে কেন এই টিমের ফিটনেসের অজুহাত দিচ্ছেন? দমের ঘাটতির কথা বলছেন?
এলকো যদিও কর্তাদের যাবতীয় প্রশ্নের মুখেও অবিচলিত থেকে আপাতত ঘুঁটি সাজাচ্ছেন রবিবার বেঙ্গালুরু ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট আনার লক্ষ্যে। সুনীল ছেত্রীদের বিরুদ্ধে খেলতে শুক্রবারই শহর ছাড়ছে ইস্টবেঙ্গল। পূর্বতন কোচ আর্মান্দো কোলাসোর জমানায় ঘরের মাঠে অবিনাশ রুইদাসের গোলে আই লিগের প্রথম পর্বে বেঙ্গালুরু এফসি ম্যাচ থেকে তিন পয়েন্ট তুলেছিল ইস্টবেঙ্গল। সেই ম্যাচের ভিডিও ক্লিপিংস খুঁটিয়ে দেখেছেন এলকো। আই লিগে গত বারের চ্যাম্পিয়নদের বিরুদ্ধে এখনও হারেনি ইস্টবেঙ্গল।
কাফ মাসলে ‘হঠাৎ’ চোট পাওয়ায় টিমে জায়গা হয়নি বলজিৎ সিংহের। তাঁর জায়গায় নিয়ে যাওয়া হচ্ছে বলদীপকে। যাচ্ছেন অবিনাশও। লেফট ব্যাকে রবার্ট ও সৌমিক কার্ড আর চোটের কারণে না থাকায় ওই পজিশনে ধনচন্দ্র এবং রাজুর মধ্যে কোনও একজনকে রবিবার খেলাতে পারেন এলকো। ঘনিষ্ঠমহলে তেমনই ইঙ্গিত দিয়েছেন কোচ। এলকোর পক্ষে সুখবর, ডুডুর চোট গুরুতর নয়। এমআরআইয়ের পরে ইস্টবেঙ্গলের চিকিৎসক সহ-সচিব শান্তিরঞ্জন দাশগুপ্ত বলছেন, ‘‘ডুডুর চোট তেমন গুরুতর নয়। ব্যথা না বাড়লে বেঙ্গালুরু ম্যাচেই খেলতে পারবে ও।’’