স্মিথ

জমে গেল ব্রিসবেন টেস্ট, শেষদিন প্রথম ঘণ্টায় বোঝা যাবে ম্যাচের ভবিষ্যৎ

প্রথম ঘণ্টা বা তার পরের দিকে টপ অর্ডার ফিরে গেলে ম্যাচ বাঁচানো ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না ভারতের হাতে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৮ জানুয়ারি ২০২১ ১৪:২৭
Share:

পাঁচ উইকেটের উল্লাস সিরাজের। ছবি টুইটার

বৃষ্টি এসে যাওয়ায় নির্ধারিত সময়ের আগেই শেষ হয়েছে চতুর্থ দিনের খেলা। ফলে পঞ্চম দিন কিছুটা আগে খেলা শুরু হবে। ভারতের হাতে থাকবে ৯৮ ওভার। লক্ষ্য ৩২৪। এই অবস্থায় ভারত জয়ের জন্য ঝাঁপাবে নাকি ড্রয়ের মানসিকতা নিয়ে নামবে, এটাই এখন সবথেকে বড় প্রশ্ন ক্রিকেটপ্রেমীদের মনে। চতুর্থ দিনের শেষে ম্যাচের পরিস্থিতি যা, তাতে জয়, ড্র, হার— তিন রকম ফলই সম্ভব।

Advertisement

সিডনি টেস্টে লক্ষ্যমাত্রা কম থাকলেও ঋষভ পন্থের ব্যাটিংয়ের সৌজন্যে একসময় জয়ের স্বপ্ন দেখতে শুরু করেছিলেন অজিঙ্ক রাহানেরা। পন্থ আউট হওয়ার পর হারের ভ্রূকুটি ছিল। হনুমা বিহারী এবং রবিচন্দ্রন অশ্বিনের অলৌকিক ইনিংসে ভর করে ম্যাচ ড্র করে ভারত। দু’জনের কেউই এই টেস্টে নেই। ব্রিসবেনে প্রথম ইনিংসে ওয়াশিংটন সুন্দর এবং শার্দূল ঠাকুর দুরন্ত খেলেছেন। কিন্তু তাঁদের তখন ম্যাচ বাঁচানোর দায় ছিল না। সেই পরিস্থিতি সামনে এলে তখনও একই রকম ভাবে ঠান্ডা মাথায় খেলতে পারবেন কি না, সেটা নিয়ে সন্দিহান অনেকেই।

ধারাভাষ্যকার থেকে অনেকেই মনে করছেন, মঙ্গলবার সকালের প্রথম এক ঘণ্টাই ঠিক করে দেবে ম্যাচের ভবিষ্যৎ। মিচেল স্টার্ক, প্যাট কামিন্স, জস হ্যাজলউডদের আগুনে বোলিংয়ের সামনে যদি কোনও ভাবে টিকে যান রোহিত শর্মা, শুভমন গিলরা, তাহলে জয়ের স্বপ্ন দেখতেই পারে ভারত। কিন্তু প্রথম ঘণ্টা বা তার পরের দিকে টপ অর্ডার ফিরে গেলে ম্যাচ বাঁচানো ছাড়া কোনও উপায় থাকবে না ভারতের হাতে।

Advertisement

আরও খবর: ইনিংসে ৫ উইকেট সিরাজের, প্রসন্ন, বেদী, মদন লাল, জাহিরের পাশে নাম তুললেন

আরও খবর: তাঁর সামনেই শ্যাডো ব্যাটিং রোহিতের, দাঁড়িয়ে হজম করলেন স্মিথ

সোমবার চতুর্থ দিনের বেশিটাই নিয়ন্ত্রিত বোলিং করেছেন শার্দূল, সিরাজরা। কিন্তু শেষের দিকে একটু হলেও হালকা মনোভাব এসেছিল তাঁদের মধ্যে। সেই সুযোগ কাজে লাগিয়ে টিম পেন, ক্যামেরন গ্রিনরা মারকুটে ব্যাটিং করে লিড অনেকটাই বাড়িয়ে নেন। প্রথম থেকেই বিশেষজ্ঞরা বলছিলেন যে ২৫০-র বেশি লিড উঠলেই চাপে পড়ে যাবে ভারত। ঘটনাচক্রে, তার থেকে অনেকটাই বেশি রানে এগিয়ে রয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

গাব্বায় এর আগে এত রান তাড়া করে কেউ জেতেনি। চতুর্থ ইনিংসে ৪৫০ রান তুলেও পাকিস্তানকে হারতে হয়েছিল। ১৯৬৮-তে ৩৫৫ তুলেও ৩৯ রানে হেরেছিল ভারত। তারপরে ১৯৭৭-এ ৩২৪ তুলে হারতে হয়েছিল ১৬ রানে। এই মাঠে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জয়ের নজির রয়েছে ইংল্যান্ডের। ১৯৭৮-এ ১৭০ তুলে জিতেছিল তাঁরা!

পরিসংখ্যানেই পরিষ্কার, রাহানেদের কাছে কাজটা কঠিনই নয়, কার্যত অসম্ভবই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন