ধোনির অনুশীলন। শনিবার বিশাখাপত্তনমে। ছবি: পিটিআই
পাহাড়ের ওপর ধর্মশালায় ওয়ান ডে সিরিজের শুরুতেই জবরদস্ত ধাক্কা খেয়েছিল ভারত। যা তারা পাহাড় থেকে নেমে এসে সামাল দেয় মোহালিতে। এ বার সিরিজ জয়ের সুযোগ সমুদ্রের ধারে বিশাখাপত্তনমে। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ওয়ান ডে সিরিজ জেতার জন্য তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ভারতের সামনে রবিবার জয় ছাড়া কোনও রাস্তা নেই।
সারা বছর ঘরের মাঠে কোনও সিরিজ হারেনি যারা, সেই ভারতকে দু-একটা ম্যাচে হারানো গেলেও তাদের বিরুদ্ধে একটা সিরিজ জেতা যে কত কঠিন, তা শ্রীলঙ্কা আগেই টের পেয়েছে। রবিবারও সমুদ্রসৈকতে রোহিত শর্মাদের টেনে নামানোটা সোজা হবে না অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজদের পক্ষে। কিন্তু ইডেন টেস্টে ও ধর্মশালার ওয়ান ডে-তে যে ভাবে চোখ খুলে দিয়েছিল শ্রীলঙ্কা, তা মনে রেখেই এগোতে চায় ভারত। দলের নির্ভরযোগ্য ওপেনার শিখর ধবন শেষ ম্যাচে নামার চব্বিশ ঘণ্টা আগে স্বীকার করে নিলেন এ কথা।
পরিবেশ প্রতিকুল হলেই যে তাঁদের সাফল্যের রেখচিত্র নেমে যাচ্ছে, এই সত্যিটা অস্বীকার করার কোনও উপায় নেই অবশ্য। এই নিয়ে শনিবার ধবন বলেন, ‘‘কলকাতা ও ধর্মশালায় আমরা অনেক কিছু শিখেছি। স্যাঁতসেঁতে, সিমিং উইকেটে আমরা আমাদের সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। তবে এই ধরনের পরিবেশে ও উইকেটে আমাদের কোথায় কোথায় সমস্যা হচ্ছে, তা আমরা বুঝে নিয়েছি। এই শিক্ষাটা আমাদের দক্ষিণ আফ্রিকায় কাজে লাগবে নিশ্চয়ই।’’ বিশাখাপত্তনমে বরাবরই ব্যাট ও বলের লড়াই তুঙ্গে ওঠে। একবারই এখানে তিনশোর বেশি রান উঠেছে। পেসার ও স্পিনার, দু’পক্ষই সাফল্য পেয়েছে এখানে। এখানকার পরিবেশ অনেকটা কলম্বোর মতো। যা শ্রীলঙ্কাকে সাহায্য করতে পারে। সে জন্য ভারতীয় শিবির চাপে আছে কি না জিজ্ঞেস করায় ধবন বলেন, ‘‘সিরিজের ফয়সালার ম্যাচে চাপ থাকাই স্বাভাবিক। তবে এই চাপ নেওয়ার অভ্যাস হয়ে গিয়েছে আমাদের। ভাল খেলার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসীও আমরা।’’ তবে বিপক্ষকে সমীহও করছেন তাঁরা।
শনিবার ওয়াশিংটন সুন্দরকে নেটে দেখা যায়নি। শোনা গেল তিনি নাকি অসুস্থ। তাঁর জায়গায় কুলদীপ যাদবকে দেখা যেতে পারে। দু’বছর আগে এখানে নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে ওয়ান ডে-তে অমিত মিশ্র পাঁচ উইকেট পেয়েছিলেন। উইকেট তেমনই থাকলে যুজবেন্দ্র চহালের সঙ্গে দলে আর একজন বিশেষজ্ঞ স্পিনার দরকার হতে পারে।