অ্যাডিলেড টেস্টে পঞ্চম দিনে ঐতিহাসিক জয় পেল ভারত। ৩১ রানে হারল অস্ট্রেলিয়া। অস্ট্রেলিয়াকে তাদের ঘরের মাঠে হারানোটা খুব একটা সহজ ছিল না। চার টেস্টের সিরিজে এখন ১-০ এগিয়ে টিম ইন্ডিয়া। এই জয়ের কারণগুলি দেখে নেওয়া যাক।
টসে জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অধিনায়ক বিরাট কোহালি। প্রথম ইনিংসে ভারত করে ২৫০ রান।
শুরুর দিকের ব্যাটসম্যানরা ভাল খেলতে পারেননি প্রথম ইনিংসে। মাত্র ৩ রান করে বিরাট কোহালি ফিরে যান। ৩৬ রানে আউট হন রোহিত শর্মা। এর পর হাল ধরেন চেতেশ্বর পূজারা। ২৪৬ বলে ১২৩ রানে করে হাল ধরেন তিনি।
ছয় উইকেট চলে যাওয়ার পরে রবিচন্দ্রণ অশ্বিনকে নিয়ে লড়াই শুরু করেন পূজারা। দলের স্কোর ১৮৯, তখন ফিরে যান অশ্বিন। তিনি করেন ২৫ রান। পূজারা-অশ্বিন পার্টনারশিপে ওঠে মহামূল্যবান ৬২ রান।
অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটিং লাইন আপ ছিল একেবারেই নড়বড়ে। শন মার্শ বা ট্রাভিস হেড ছাড়া কেউই ভাল খেলেননি। ২৩৫ রানে শেষ হয় অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংস। ১৫ রানে এগিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংস শুরু করেন ভারতীয় ব্যাটসম্যানরা।
দ্বিতীয় ইনিংসে ১৮ রানে মিচেল স্টার্কের বলে ফিরে যান মুরলী বিজয়। লোকেশ রাহুল করেন ৪৪ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে শুরুটা ভাল হওয়ায় ভারতের মনোবল বেড়ে গিয়েছিল।
বৃষ্টি বিঘ্নিত তৃতীয় দিনের শেষে ভারতের স্কোর ছিল ১৫১/৩। ১৬৬ রানের লিড ছিল ভারত। সেখান থেকেই চতুর্থ দিনের খেলা শুরু করেন অজিঙ্ক রাহানে ও চেতেশ্বর পূজারা।
চেতেশ্বর পূজারা ২০৪ বলে ৭১ রান করেন। রাহুল দ্রাবিড়ের সঙ্গে পূজারার তুলনা করছেন অনেকেই। কম যান না অজিঙ্ক রাহানেও। দ্বিতীয় ইনিংসে রাহানে আউট হন ৭০ রানে।
অ্যাডিলেডে চলতি টেস্টে অস্ট্রেলিয়ার প্রথম ইনিংসে ঋষভ ছয়টি ক্যাচ নিয়েছেন। যা ক্যাঙারুদের দেশে কোনও ভারতীয় উইকেটকিপারের সবচেয়ে বেশি ক্যাচ নেওয়ার রেকর্ড। ম্যাচে রেকর্ড মোট ১১টি ক্যাচ নিলেন ঋষভ।
অশ্বিনের ভেলকি আর শামির গতি এই সিরিজে সবচেয়ে বেশি কাজে এসেছে ভারতের। একদিকে স্পিনার অন্যদিকে পেসার। প্রত্যেকেই অজি ব্যাটসম্যানদের মনে খানিকটা হলেও ত্রাস তৈরি করেছেন এই সিরিজে।
দুই ইনিংস মিলিয়ে ইনিংসে ইশান্ত শর্মা, যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামি, অশ্বিন উইকেট পেয়েছেন মোট ৩টি, ৬টি, ৫টি, ৬টি।