সাফ ফাইনালে ভারতের সামনে বাংলাদেশ

নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফ কাপের ফাইনালে উঠল ভারত।কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল শেষ হতে না হতেই ভারতের ড্রেসিংরুমে উল্লাস। ফাইনালে ওঠা তো ছিলই সঙ্গে দলের ফরোয়ার্ড প্রামেশ্বরী দেবীর জন্মদিনের সেলিব্রেশনে।

Advertisement

সৌমিত্র কুণ্ডু

শিলিগুড়ি শেষ আপডেট: ০৩ জানুয়ারি ২০১৭ ০৪:০০
Share:

কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে নেপালকে হারানোর পথে ভারত। সোমবার।-বিশ্বরূপ বসাক

নেপালকে ৩-১ গোলে হারিয়ে মেয়েদের সাফ কাপের ফাইনালে উঠল ভারত।

Advertisement

কাঞ্চনজঙ্ঘা স্টেডিয়ামে সেমিফাইনাল শেষ হতে না হতেই ভারতের ড্রেসিংরুমে উল্লাস। ফাইনালে ওঠা তো ছিলই সঙ্গে দলের ফরোয়ার্ড প্রামেশ্বরী দেবীর জন্মদিনের সেলিব্রেশনে।

আগের ম্যাচেই বাংলাদেশের সঙ্গে ড্র করে গ্রুপ সেরা হতে না পারার চাপ ছিল ভারতের উপর। নেপালকে হারিয়ে সেটা উধাও সাস্মিতা মালিকদের উচ্ছ্বাসে। তবে চূড়ান্ত সেলিব্রেশনটা এখনও বাকি। সেটা বুধবার ফাইনালের জন্য তুলে রেখেছেন বালা দেবীরা।

Advertisement

বুধবার ফাইনালে ভারতের সামনে বাংলাদেশ। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মলদ্বীপকে ৬-০ গোলে উড়িয়ে দিল বাংলাদেশ। বাংলাদেশের হয়ে এ দিন হ্যাটট্রিক সিরাত জাহান স্বপ্নার। দুটি গোল করেন সাবিনা খাতুন। একটি গোল নার্গিস খাতুনের। নার্গিস এবং স্বপ্না দু জনেই অনূর্ধ্ব ১৬ জনের ফুটবলার। ফাইনালে ওঠার পর কোচ গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘মেয়েদের সাফ ফুটবলে এ বারই প্রথম আমরা ফাইনালে উঠলাম। তাই ফাইনালে ভারতকে হারানোর জন্য মরিয়া চেষ্টা করব আমরা।’’

গ্রুপের শেষ ম্যাচেই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে কমলা দেবীকে প্রথমার্ধে না নামানোর ফল ভুগতে হয়েছিল ভারতকে। আগাগোড়া রক্ষণে দলকে মুড়ে দিতে পেরেছিল বাংলাদেশ। এ দিন অবশ্য সেই ভুল আর করেননি ভারতের কোচ সাজিদ ইউসুফ। শুরু থেকেই কমলাকে খেলান তিনি। কমলা, বালাদেবী, সস্মিতা মালিক এবং ডংমেই গ্রেসদের আক্রমণের সামনে তাই নেপাল দিশা পাননি।

এ দিন ম্যাচের প্রথমার্ধের শেষ দিকে ভারতকে এগিয়ে দেন কমলাই। ডিফেন্ডার মণিষা পান্নার মাঝমাঠে পাস থেকে দ্রুত গতিতে নেপালের পেনাল্টি বক্সের কাছে পৌঁছে যান। সহজেই নেপালের এক ডিফেন্ডারকে কাটিয়ে তাঁর শট বাংলাদেশের জালে জড়াতেই স্টেডিয়াম উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে। তার আগেই অবশ্য এগিয়ে যেতে পারত ভারত। কিন্তু পোস্টে লেগে কমলার এবং সাস্মিতার দুটো গোলের সুযোগ নষ্ট হয়। তবে কমলার পারফরম্যান্সেখুব খুশি ভারতের কোচ। ম্যাচের পর তিনি বলেন, ‘‘কমলা আমাদের অন্যতম সেরা ফুটবলার। যে ভাবে ও আজ আমাদের এগিয়ে দিয়েছিল সে জন্য ওকে ‘হ্যাটস আপ।’’

দ্বিতীয়ার্ধে ইন্দুমতি কাতিরেসান এবং সস্মিতার গোল দুটিও দুরন্ত। দ্বিতীয়ার্ধের গোড়ার দিকে নেপালের ডিফেন্সের ভুলে পেনাল্টিবক্সের কাছে হঠাৎ বল পেয়ে যান ইন্দুমতি। বিপদ বুঝে গোলকিপার অঞ্জিলা থুমবাপো এগিয়ে আসেন। ইন্দুমতি তাড়াহুড়ো করেননি। গোলকিপারের পাশ দিয়ে ঠান্ডা মাথায় বল জড়াতেই ফের উচ্ছ্বাসে ফেটে পড়ে স্টেডিয়াম। এর কিছুক্ষণ পর পেনাল্টি থেকে গোল নেপালের। বক্সের মধ্যে মণিষার হাতে বল লাগায় সুযোগ পেয়ে যায় নেপাল। সাবিত্রা ভাণ্ডারি গোল করতে ভুল করেননি। মিনিট দশেক পরেই কর্নার পায় ভারত। কর্নার থেকে সস্মিতার শট সুইং করে গোল লাইন পেরিয়ে ঢুকে যায়।

নেপাল কোচের দাবি তাঁদের পেনাল্টি প্রাপ্য ছিল, ‘‘অন্তত তিনটি পেনাল্টি আমাদের প্রাপ্য ছিল। কিন্তু দেওয়া হল না। কমলা প্রথম গোল করার সময়ও অফসাইড ছিল। সেটাও দেখা হয়নি। তিন বার সাফ ফাইনালে আমরা ভারতের কাছে হেরেছি। এই ম্যাচটা তাই আমাদের কাছে চ্যালেঞ্জ ছিল। কিন্তু ফের হারতে হল।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন