ভুল শুধরে লাথামকে থামিয়ে জয় ভারতের

মাঠের মাঝখানে যে ওই বাইশ গজ অঞ্চলটা, সেই উইকেটের চরিত্র বুঝে খেলতে পারলেই জয়, না হলে হার। যা বুধবার হল নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে।

Advertisement

সম্বরণ বন্দ্যোপাধ্যায়

শেষ আপডেট: ২৬ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:০২
Share:

 সফল: হাফ সেঞ্চুরি করে দলকে জেতালেন ধবন।  ছবি:পিটিআই

মুম্বইয়ের ভুল পুণেয় শুধরে বুধবার নতুন কৌশল নিয়ে নামল ভারত। আর তাতেই গত ম্যাচের হারের বদলা নিয়ে নিল বিরাটরা। এই সিরিজে আর বাঁচার লড়াই করতে হবে না বিরাট কোহালিদের। রবিবার হার-জিতের ফয়সালা।

Advertisement

মাঠের মাঝখানে যে ওই বাইশ গজ অঞ্চলটা, সেই উইকেটের চরিত্র বুঝে খেলতে পারলেই জয়, না হলে হার। যা বুধবার হল নিউজিল্যান্ডের ক্ষেত্রে। এই মাঠেই এক মারাত্মক ঘূর্ণি উইকেটে অস্ট্রেলিয়ার কাছে তিন দিনে টেস্ট হেরেছিল ভারত।

বুধবার সেই মাঠেই যে উইকেট দেখা গেল, তাতে নিউজিল্যান্ড ভাল ব্যাট করলে ২৮০ রান তুলতে পারত অনায়াসে। কিন্তু উইকেট না বুঝে খেলতে গিয়েই বিপদ ডেকে আনল।

Advertisement

আরও পড়ুন: ম্যাচের আগেই পিচ-বিতর্ক

সুইপ মেরে টম লাথাম আগের দিন ভারতের হাত থেকে ম্যাচ ছিনিয়ে নিয়েছিল। সেই সুইপ মারতে গিয়েই এ দিন বোল্ড হল ও। কারণ, ওকে নিয়ে এ দিন ভাল হোমওয়ার্ক করে নেমেছিল ভারতের বোলাররা। যা আগের দিন করে নামলে আজই সিরিজ জেতা হয়ে যেত হয়তো।

ওর জন্যই কুলদীপকে বসিয়ে অক্ষর পটেলকে দলে নেওয়া। কারণ, হাওয়ায় অক্ষরের বল কুলদীপের চেয়ে জোরে ছোটে। ফলে ওকে সুইপ করার জন্য অনেক কম সময় পাওয়া যায়। কার্যত ওকে সুইপ করা যায় না। ফলে লাথামকে আগের দিনের মতো সুইপ করতেও দেখা যায়নি।

যুজবেন্দ্র চহালও এ দিন বুদ্ধি করে বোলিং করেছে। বেশির ভাগই অফ স্টাম্পের বাইরে উপরের দিকে বল করেছে। এই জোড়া আক্রমণে লাথাম আটকে যায়। আর ওকে আটকে দিলে যে কার্যত গোটা নিউজিল্যান্ডকে আটকে দেওয়া যাবে, এটা তো আগের ম্যাচেই প্রমাণ হয়ে গিয়েছে। তাই এই জায়গাটাই টার্গেট করে ভারত। তাতেই আসে জয়।

অক্ষরের অফ স্টাম্পের বাইরের বল খেলতে গিয়ে লাথামের পা অফ স্টাম্পের বাইরে চলে যায়, আর সে জন্যই ওর স্টাম্পটা ওপেন হয়ে গিয়ে বোল্ড হয়ে যায়। নিউজিল্যান্ড ২৭-৩ হয়ে যাওয়ার পরে আর ব্যাটিংয়ে ফিরতে পারেনি। আর এই উইকেটে ২৩০ কোনও রানই নয়।

আগের দিন দুশোর পার্টনারশিপ হলেও কেদারকে বল দেয়নি বিরাট। আজ সেই ভুলটা শুধরে নেয় ও। কেদার সাইড আর্ম, লোয়ার সাইড আর্ম বল করে। যার ফলে ওকে জোরে মারা যায় না। তাতে তো রানটা আটকেই যায়, উপরন্তু ব্যাটসম্যানদের ভুল হওয়ার সম্ভাবনাও অনেক বেশি থাকে। বুধবার ১১ ওভারের পরে কেদার বল করতে আসে। সাত ওভারে ২৪ রান দেয়। ওখানেই নিউজিল্যান্ড বেশ কিছুটা পিছিয়ে যায়।

ম্যাচের সেরা ভুবনেশ্বর কুমার। ওকে যত দেখছি, মুগ্ধ হচ্ছি। রাউন্ড দ্য উইকেট বোলিং করায় ওর আউট সুইঙ্গার বাঁহাতি ব্যাটসম্যানের কাছে ইনসুইঙ্গার হয়ে যাচ্ছিল। এতেই কাজ হয়। তিনটে উইকেট পেয়ে যায় ও। একটাও লুজ বল দেয়নি। স্লগে বোলিং করতে এসে ইনসুইং ইয়র্কার দিয়েছে। এটাই ওর প্রধান অস্ত্র।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
আরও পড়ুন