এ ভাবেই গ্যালারি থেকেছে বিশ্বকাপের পাশে। —নিজস্ব চিত্র।
শুরুতেই বাজিমাত।
৬ অক্টোবর যুব বিশ্বকাপের ঢাকে কাঠি পড়েছিল। সঙ্গে ছিল ভারতের মাটিতে প্রথম কোনও ফিফা ইভেন্ট আয়োজনের চ্যালেঞ্জ। যাতে আয়োজকরা ১০০ শতাংশ সফল। যে কারণে ফিফা প্রেসিডেন্ট ইনফান্তিনোও বলে দিয়েছেন, ভারত এখন ফুটবলের দেশ। এ দেশে বড়দের বিশ্বকাপও আয়োজন করা যায়।
ভারতের এই সাফল্যের পিছনে রয়েছে এখানকার ফুটবলপ্রেমী জনতা। যা ছাপিয়ে গিয়েছে সব্বাইকে। আবেগে, উৎসাহে, আগ্রহে, উৎসবে— পিছনে ফেলে দিয়েছে সব বিশ্বকাপ খেলিয়ে দেশকে।
আরও পড়ুন
চ্যাম্পিয়নশিপ নেই, তবুও লড়াইটা হাড্ডাহাড্ডি ব্রাজিল-মালির
বিশ্বকাপ ফাইনালে দেখা যেতে পারে সচিন-সৌরভকে
বিশ্বকাপের শুরুতে এই আবেগটা তৈরি করে দিয়েছিল ভারতীয় দলের ২১ জন ফুটবলার। মাঠে নেমে তাদের অদম্য লড়াই বুঝিয়ে দিয়েছিল, ভারতীয় ফুটবলের উত্থান শুধু সময়ের অপেক্ষা। তাই হয়তো এই মুহূর্তে দাঁড়িয়ে অনূর্ধ্ব-২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের দাবিও জানিয়ে রেখেছে ভারত। যদিও ফিফা এখনই সবুজ সঙ্কেত দেয়নি। কিন্তু, একটিও ম্যাচ না জিতে মানুষের মন জয় করে নেওয়া এক ঝাঁক তরুণ-তাজা ছেলে বুঝিয়ে দিয়েছে তৈরি হচ্ছে দেশ। আর অন্য দিকে, নিজের দেশের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের জনতা গলা ফাটিয়ে গিয়েছে ফুটবলের জন্য। যা দেখে আপ্লুত বাকি সব দেশের প্রতিনিধিরা।
ব্রাজিল তো কলকাতাকে হোম গ্রাউন্ডই বানিয়ে ফেলেছে। অন্য দিকে, ইউএসএ-র তিমথি উইয়া দিল্লির মাঠে হ্যাটট্রিক করার পর বলে গিয়েছে, ‘‘মনে হচ্ছিল ঘরের মাঠে খেলছি। এই সমর্থন কল্পনাই করিনি।’’
কাউন্টারেের বাইরে ফুটবলপ্রেমীদের লাইন।—নিজস্ব চিত্র।
আর এই সব কিছুর পিছনে রয়েছে একশো ত্রিশ কোটির দেশের ফুটবল পাগল জনতা। ফিফার হিসেব বলছে, অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপে সর্বোচ্চ দর্শক হয়েছিল শুরুর বছর ১৯৮৫তে। সেই টুর্নামেন্ট হয়েছিল চিনে। সে বার দর্শক সংখ্যা ছিল ১২ লাখ ৩০ হাজার ৯৭৬। ভারতের হাতে এখনও বাকি দুটো ম্যাচ। তার মধ্যেই ভারতে বিশ্বকাপ দেখেছে ১২ লাখ ২৪ হাজার ২৭ জন। তৃতীয় ও চতুর্থ স্থানের ম্যাচে যেখানে খেলবে ব্রাজিল সেখানে যে কলকাতার মানুষ গ্যালারি ভরাবে সেটাই স্বাভাবিক। তার পর রয়েছে ফাইনাল। প্রথম ম্যাচেই ভেঙে যেতে পারে এই রেকর্ড। এই তালিকায় সব থেকে পিছনে রয়েছে ইতালি। সেখানে ১৯৯১এর যুব বিশ্বকাপ হয়েছিল। মাত্র ৩৬ হাজার ৯৯২ জন দেখেছিল সেই ম্যাচ।
শনিবারই এক নতুন রেকর্ডে ঢুকে পড়বে ভারত। সর্বোচ্চ দর্শকের রেকর্ড থেকে তারা মাত্র ৬৯৪৯ সংখ্যায় পিছিয়ে। এবং তাৎপর্যপূর্ণ ভাবে প্রথম আয়োজনেই।