মহেন্দ্র সিংহ ধোনি।—ফাইল চিত্র।
পরপর তিন ম্যাচ হারের পর এ বার ক্যানবেরায় সিরিজে সম্মানরক্ষার লড়াই ভারতের। তবে তার চেয়েও বড় পরীক্ষা মহেন্দ্র সিংহ ধোনির।
ক্যানবেরায় অপেক্ষা করে রয়েছে পাটা উইকেট। যেখানে দুই স্পিনারে খেলাটা উচিত হবে বলে অন্তত আমার মনে হয় না। এই উইকেটে বল যে খুব নড়াচড়া করবে, তাও নয়। ধোনিদের দল বাছাই নিয়ে সতর্ক থাকতে হবে।
মেলবোর্নের উইকেটে যেমন ভারতীয় দলের কম্বিনেশন মোটেই ঠিক ছিল না। ওই স্পঞ্জি উইকেটে যেখানে রবীন্দ্র জাডেজা অত ভাল বল করল, সেখানে রবিচন্দ্রন অশ্বিন অটোমেটিক চয়েস। জাডেজা যখন স্মিথ ও বেইলি, দু’জনকেই ফিরিয়ে দিল, সেই সময় অন্য দিক থেকে অশ্বিন বল করলে যে অজিরা আরও চাপে পড়ে যেত, এই নিয়ে কোনও সন্দেহ নেই। যে পারথ ও ব্রিসবেন ম্যাচ হারের জন্য মেলবোর্নে বাদ পড়তে হল অশ্বিনকে, সেই দুই ম্যাচে যা কন্ডিশন ছিল, তাতে একজন করে স্পিনার খেলালেই ভাল হত। সেই জন্যই আরও বলছি, বুধবারের ম্যাচে টিম কম্বিনেশনটাই আসল কথা।
অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে যে জিততে পারি, এই আত্মবিশ্বাসটা দলের থাকা দরকার। কয়েকজনকে বাদ দিয়ে তো দেখছি বাকিদের শরীরী ভাষা যথেষ্ট পজিটিভ। ক্যাপ্টেন হিসেবে ধোনির বাকি ম্যাচগুলোয় বড় পরীক্ষা। জানি ওর প্রচুর অভিজ্ঞতা রয়েছে। কিন্তু এতদিন ধরে অর্জন করা সমস্ত অভিজ্ঞতা ওকে জড় করে এ বার কাজে লাগাতে হবে। না হলে সিরিজে অন্য রকম কিছু করা যাবে না। ভারতের ব্যাটিং তো বেশ ভাল হচ্ছে। আগের দিন বিরাট কোহলি যেমন ফের নিজের জাত চেনাল। কেন ও এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সবচেয়ে আলোচিত ক্রিকেটারদের মধ্যে একজন, তাও বুঝিয়ে দিল। তিনটে ম্যাচেই ওকে ইনিংসের শুরুর দিকেই নেমে পড়তে হয়েছে। যত ম্যাচ গড়িয়েছে, ওর ব্যাটিং ক্রমশ পরিণত হয়েছে। এমনিতেই ওর মধ্যে অলরাউন্ড গেম রয়েছে। কিন্তু ক্রিজে যত থাকে তত যেন বোলারদের উপর রাজত্ব করার প্রবণতা বাড়তে থাকে। নিজের ইচ্ছামতো ও বোলারদের নিয়ন্ত্রণ করে তখন। প্রথম ম্যাচে সেঞ্চুরিটা করতে না পারলেও মেলবোর্নে বিভিন্ন শটে ঠাসা ইনিংস ওকে সেই আকাঙ্খিত সেঞ্চুরিটা এনে দিল। অজিঙ্ক রাহানেও মেলবোর্নে যথেষ্ট ভাল ব্যাট করেছে। সব মিলিয়ে ভারতের ব্যাটিং নিয়ে তেমন চিন্তা নেই বলেই মনে হচ্ছে। তাই টস জিতলে রান তাড়া করতে নামাটাই বোধহয় ভাল সিদ্ধান্ত হবে।
দল বাছাই, টস সিদ্ধান্ত, আর পরিস্থিতি অনুয়াযী সাহসী ক্রিকেট। এগুলোই বুধবার ভারতকে জয়ে ফেরাতে পারে। না হলে হারের ধারাবাহিকতা চলতেই থাকবে।