বিশ্বকাপারদের ঘরে টিকিট নেই

তাঁরা দু’জনেই ব্রাত্য। প্রথমজন রানা ঘরামি। দ্বিতীয় জন গোলরক্ষক শঙ্কর রায়। হতাশ বাংলার অধিনায়ক বলছিলেন, ‘‘অফিস ও পাড়ার বন্ধুরা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছে। ওদের কী করে বোঝাব, আমাকেই কেউ টিকিটই দেননি।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অক্টোবর ২০১৭ ০৪:৪৭
Share:

—নিজস্ব চিত্র।

আট মাস আগে সন্তোষ ট্রফি চ্যাম্পিয়ন বাংলা দলের অধিনায়ক ছিলেন তিনি। আর এক জন ছিলেন সন্তোষ ট্রফি জয়ের অন্যতম নায়ক। কিন্তু যুবভারতী ক্রীড়াঙ্গনে অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের আসরে তাঁরা দু’জনেই ব্রাত্য। প্রথমজন রানা ঘরামি। দ্বিতীয় জন গোলরক্ষক শঙ্কর রায়। হতাশ বাংলার অধিনায়ক বলছিলেন, ‘‘অফিস ও পাড়ার বন্ধুরা অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপের টিকিট দেওয়ার জন্য বারবার অনুরোধ করছে। ওদের কী করে বোঝাব, আমাকেই কেউ টিকিটই দেননি।’’ ডেঙ্গিতে আক্রান্ত শঙ্কর সবে সুস্থ হয়ে উঠেছেন। কিন্তু এখনও মোহনবাগানের অনুশীলনে যোগ দিতে পারেননি দুর্বলতার কারণে। শঙ্কর বললেন, ‘‘ফাইনাল তো দূরের কথা, গ্রুপ লিগের ম্যাচেরও টিকিট পাইনি।’’

Advertisement

একই অবস্থা বাংলার তিন বিশ্বকাপার অভিজিৎ সরকার, রহিম আলি এবং জিতেন্দ্র সিংহের পরিবারেরও। রহিমের বাবা মহম্মদ রফিক বলছিলেন, ‘‘আমার ছেলে এই বিশ্বকাপে ভারতের হয়ে খেলেছে। ভেবেছিলাম, যুবভারতীতে ফাইনাল দেখতে যাওয়ার সুযোগ হয়তো পাব। কিন্তু আমাদের কেউ টিকিট দেয়নি।’’ একই অভিযোগ জিতেন্দ্রর দাদা সূরজের। বললেন, ‘‘আমার ভাই এই মুহূর্তে সৌদি আরব সফরে গিয়েছে জাতীয় দলের সঙ্গে। ভেবেছিলাম, ফাইনাল দেখতে যাব। কিন্তু টিকিট পেলাম না।’’

রহিম, জিতেন্দ্র জাতীয় দলের হয়ে সৌদি আরব সফরে। বাংলার আর এক বিশ্বকাপার অভিজিৎ এই মুহূর্তে ব্যান্ডেলে নিজের বাড়িতেই রয়েছে। এ দিন যুবভারতীতে ফাইনাল দেখতে এসেছিল। ভারতীয় দলের স্ট্রাইকারের কথায়, ‘‘অনূর্ধ্ব-১৭ বিশ্বকাপ খেলেছি বলে আমার কোনও সমস্যা হয়নি স্টেডিয়ামে ঢুকতে। তবে টিকিট থাকলে বাবা আসতেন ফাইনাল দেখতে।’’ রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বদের অনেকের পরিবারকে যদিও দেখা গিয়েছে ফাইনালের রাতে ভিআইপি বক্সে।

Advertisement

কেন টিকিট পেল না বিশ্বকাপারদের পরিবারের সদস্যরা? সর্বভারতীয় ফুটবল ফেডারেশনের সচিব কুশল দাস বললেন, ‘‘ওরা তো কেউ পরিবারের সদস্যদের জন্য টিকিট চায়নি।’’ আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায় বললেন, ‘‘আমরা ফিফার কাছে ২২০টি টিকিট চেয়েছিলাম। দিয়েছে মাত্র ৮৫টা। লটারি করে টিকিট দেওয়ার ব্যবস্থা করেছিলাম। আমাদের হাতেই তো ছিল খুব কম টিকিট।’’ শোনা যাচ্ছে, রাজ্য সরকারকে দেওয়া হয়েছে তেরো হাজার টিকিট। ফিফার এই ‘উপহার’ নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠছে।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন