চ্যালেঞ্জ: কোহালিদের অন্যতম অস্ত্র মহম্মদ শামি। ফাইল চিত্র
০-১ পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ওয়ান ডে-তে নামতে চলেছে ভারত। যার মানে হল, আজ, মঙ্গলবার অ্যাডিলেডে জিততেই হবে বিরাট কোহালিদের। এ রকম পরিস্থিতিতে ওরা আগেও অনেক বার পড়েছে। পিছিয়ে থাকা অবস্থায় ফিরে এসে সিরিজ জিতেছে। সিরিজের দু’টো ম্যাচ এখনও বাকি। ভারত ২-১ জিততেই পারে। সিডনিতে হারলেও চার রানে তিন উইকেট পড়ে যাওয়ার পরেও ওরা ২৫০ রানের গণ্ডি টপকাতে পেরেছিল। সেটা একটা ভাল দিক।
রোহিত শর্মার ইনিংস নিয়েও আলাদা করে বলতে হবে। গত তিন বছরে সীমিত ওভারের ক্রিকেটে ও দুরন্ত খেলছে। যে কারণে ওকে সেরাদের সঙ্গে রাখতেই হবে। সিডনিতে রোহিতের ওই ইনিংসে আরও একটা জিনিস লক্ষ্য করার মতো। পরপর উইকেট পড়লেও রোহিত কিন্তু খুব ভাল স্ট্রাইক রেট রেখে গিয়েছে।
রোহিত, বিরাট কোহালি এবং শিখর ধওয়ন ছাড়া ভারতের ওয়ান ডে দলের বেশির ভাগ ব্যাটসম্যান কিন্তু কোনও ওয়ার্ম আপ ম্যাচ ছাড়াই এই সিরিজ খেলতে নেমেছে। যে কারণে ওদের একটু নড়বড়ে দেখিয়েছে। যেটা খুব স্বাভাবিক। আমি নিশ্চিত, অ্যাডিলেডে ভারতের থেকে আরও ভাল পারফরম্যান্স দেখতে পাব।
যশপ্রীত বুমরা ছাড়া ভারতীয় বোলিংটাকে একটু অন্য রকম লাগছে। সিডনিতে মহম্মদ শামি বেশ ভাল বল করল। আমার মনে হয়, ভুবনেশ্বর কুমারের সঙ্গে নতুন বলে শামিকে আনা যেতে পারে। খলিল আহমেদকে পরের দিকে আনা হোক। যখন ফিল্ডিং একটু ছড়ানো যাবে।
অস্ট্রেলিয়া একটা ভাল টস জিতেছিল। কিন্তু উইকেট হাতে থাকা অবস্থায় ওদের তিন শো রানের ওপর তুলে দেওয়া উচিত ছিল। এই ফর্ম্যাটে অস্ট্রেলিয়াকে বেশ ভালই লাগছে। ওরা নতুন করে দলটাকে তৈরি করার চেষ্টা করছে। সব দলকেই এ রকম পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যেতে হয়। তবে অস্ট্রেলিয়ার এই ওয়ান ডে দলটাকে ওদের টেস্ট দলের চেয়ে বেশি গোছানো লাগছে। এক বার ডেভিড ওয়ানার্র এবং স্টিভ স্মিথ ফিরে এলে এই দলটা কিন্তু খুব শক্তিশালী হয়ে উঠতে পারে। অন্তত সেই মশলাটা থাকবে ওদের মধ্যে।
অস্ট্রেলিয়ার নতুন দুই পেসারকে দেখে বেশ ভাল লাগল। জাই রিচার্ডসন আর জেসন বেহরেনডর্ফ। ওদের দু’জনেরই দক্ষতা আছে নিজেদের পরের ধাপে নিয়ে যাওয়ার। অস্ট্রেলিয়ার ওয়ান ডে দলের ভারসাম্যটাও খারাপ নয়। ওদের যেটা সমস্যা, সেটা হল, উসমান খোয়াজা আর অ্যারন ফিঞ্চের স্ট্রাইক রেট। এই সমস্যার সমাধান খুঁজে বার করতেই হবে অস্ট্রেলিয়াকে। পাশাপাশি দেখতে হবে, ফিঞ্চ যেন আবার ওই ভিতরে ঢুকে আসা বলের শিকার না হয়।
(গেমপ্ল্যান)