সাবাইনা পার্কে কোহালিদের হাডল। শনিবার টেস্ট শুরুর আগে। ছবি: এএফপি।
ক্যারিবিয়ান দ্বীপপুঞ্জে নাকি কখনও পরপর দুই টেস্ট জেতেনি ভারত। সাবাইনা পার্কে টেস্টের প্রথম দিন প্রথম সেশন কিন্তু ইঙ্গিত দিয়ে রাখল, এ বার বোধহয় সেটা হচ্ছে না। বিরাট কোহালির দল এ বার এই প্রথা ভেঙে চুরমার করে দেওয়ার জন্যই যেন নেমেছে।
তিন ওভারের মধ্যে দুই উইকেট ফেলে দিয়ে ইশান্ত শর্মা শনিবার সাবাইনা পার্কে যে ভাবে শুরু করলেন, তা সবুজ, আর্দ্র উইকেটে বোধহয় হওয়ারই ছিল। ওয়েস্ট ইন্ডিজ ক্যাপ্টেন জ্যাসন হোল্ডার টস জিতে ব্যাটিংয়ের সিদ্ধান্ত জানিয়ে বলেছিলেন, ‘‘প্রথম সেশনটা কাটিয়ে দিতে পারলে পরের সেশন থেকে সামলে নেওয়া যাবে।’’ সকালে টিভিতে পিচ রিপোর্ট করার সময় প্রাক্তন ওয়েস্ট ইন্ডিজ উইকেটকিপার জেফ্রি দুজোঁ-ও বললেন, ‘‘ঘাস আর আর্দ্রতা দুটোই আছে উইকেটে। প্রথম সেশনের পর ঘাস থাকবে। কিন্তু আর্দ্রতা বোধহয় থাকবে না।’’
কিন্তু হোল্ডারের টপ অর্ডার ব্যাটসম্যানরা সেই কাজটাই ঠিকমতো করতে পারলেন না। ইশান্তের বুক সমান উচ্চতার বল ব্যাট দিয়ে নামাতে গিয়ে ফরোয়ার্ড শর্ট লেগে চেতেশ্বর পুজারাকে ক্যাচ দিলেন ক্রেগ ব্রেথওয়েট। আর দিল্লির পেসারের অফ স্টাম্পের বাইরের বলে খোঁচা দিয়ে স্লিপে বিরাট কোহালিকে ক্যাচ দিয়ে বেরিয়ে যান ড্যারেন ব্র্যাভো। রাজেন্দ্র চন্দ্রিকাও মহম্মদ শামির বল অনর্থক খেলতে গিয়ে গালিতে কে এল রাহুলকে ক্যাচ দিয়ে বেরিয়ে যান।
চন্দ্রিকা যে ভাবে হাত হেলিয়ে-দুলিয়ে ব্যাট করতে নেমেছিলেন, তিনি ফিরে যাওয়ার সময় শামির সেই ভঙ্গি নকল করা দেখেই আন্দাজ করা গেল, সবুজ উইকেটে তাঁদের জব্দ করার ক্যারিবিয়ান ফর্মুলায় তাঁরাই কতটা তেতে রয়েছেন। সবুজ উইকেট পেয়েও অবশ্য জুনিয়র পেস সেনসেশন আলজারি জোসেফকে নামায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বরং টস করতে যাওয়ার আগে বার্বেডোজের ২৫ বছর বয়সি ফাস্ট বোলার মিগুয়েল কামিন্সকে এ দিন টেস্ট ক্যাপ দেন হোল্ডার।
ভারতের বিরুদ্ধে ওয়েস্ট ইন্ডিজের শেষ টেস্ট জয় ১৪ বছর আগে এই সাবাইনা পার্কেই। সে বার সৌরভ, সচিন, দ্রাবিড়, লক্ষ্মণ, শ্রীনাথ, জাহির, হরভজনরা যেমন ছিলেন, তেমনই ও দিকে ছিলেন লারা, গেইল, সারওয়ান, চন্দ্রপল, হুপাররা। তার পর দু’বার কিংসটনে ভারত-ওয়েস্ট ইন্ডিজ টেস্ট হয়েছে। একবার ড্র হয়েছে, একবার ভারত জিতেছে। সেই তারকা-যুদ্ধ এ বার কিংসটনে নেই ঠিকই। কিন্তু অ্যান্টিগার ছায়া দেখতে পাওয়া যাচ্ছে এখানেও।