Asian Games

তিন দিন পরে ‘রূপান্তরিত’ সতীর্থের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিলেন বাংলার স্বপ্না

বাংলার অ্যাথলিট স্বপ্না বর্মণ শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। কিন্তু এ বারে চতুর্থ হন তিনি। যা মেনে নিতে পারেননি স্বপ্না।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

শেষ আপডেট: ০৬ অক্টোবর ২০২৩ ১১:৫৭
Share:

স্বপ্না বর্মণ। —ফাইল চিত্র।

পদক না পেয়ে দেশের সতীর্থ অ্যাথলিটের বিরুদ্ধে মারাত্মক অভিযোগ করেছিলেন স্বপ্না বর্মণ। বাংলার অ্যাথলিট শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলেন। ২০১৮ সালে এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে সোনা জিতেছিলেন স্বপ্না। কিন্তু এ বারে চতুর্থ হন তিনি। গত রবিবার ইভেন্টের পরে যা মেনে নিতে পারেননি স্বপ্না। ভারতের হয়ে ব্রোঞ্জজয়ী নন্দিনী আগাসারাকে সোমবার ‘রূপান্তরিত’ (ট্রান্সজেন্ডার) বলেছিলেন তিনি।

Advertisement

স্বপ্নার এমন ব্যবহার ভাল ভাবে নেননি নন্দিনী। তিন দিন পর স্বপ্না ক্ষমা চেয়ে বলেন, “আমার সতীর্থের উদ্দেশে যে কথা লিখেছিলাম, তার জন্য আমি ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি। আমি খুব ভেঙে পড়েছিলাম। আবেগের বশে লিখে ফেলেছিলাম। আমার সেই আচরণের জন্য সকলের কাছে ক্ষমা চাইছি।”

গত রবিবার চিনের হাংঝৌতে হেরে যান স্বপ্না। সোমবার তিনি সমাজমাধ্যমে লেখেন, ‘‘আমি এক জন রূপান্তরিত মহিলার কাছে এশিয়ান গেমসে ব্রোঞ্জ পদক হেরেছি। অ্যাথলেটিক্সের নিয়ম ভাঙা হয়েছে। তাই আমি আমার পদক চাই। দয়া করে আমাকে সবাই সমর্থন করুন।’’ এই পোস্টটি পরে মুছে দেন স্বপ্না। এশিয়ান গেমসে হেপ্টাথলনে ব্রোঞ্জ জিতেছেন ভারতেরই নন্দিনী।

Advertisement

স্বপ্না অভিযোগ করলেও নন্দিনী সত্যিই রূপান্তরিত কি না সে বিষয়ে সরকারি ভাবে কিছু জানা যায়নি। এর আগে কেউ তাঁর বিরুদ্ধে কোনও অভিযোগও করেনি। স্বপ্নার কাজে আন্তর্জাতিক মঞ্চে দেশের সম্মান নষ্ট হয়েছে বলে মনে করেন অ্যাথলেটিক্স কর্তাদের একাংশ। তাই বিষয়টিকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন তাঁরা। দেশে ফেরার পর স্বপ্নার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে বলেও শোনা যায়। স্বপ্নার অভিযোগে ক্ষুব্ধ নন্দিনীও। সতীর্থের আচরণে ব্যথিত এশিয়াডে ব্রোঞ্জজয়ী বলেছিলেন, ‘‘আমি জানি আমি কী। স্বপ্নাকে ওর অভিযোগ প্রমাণ করতে হবে। আমি দেশের হয়ে পদক জিতেছি। দেশের জন্য নিজের সেরাটা উজাড় করে দেওয়ার চেষ্টা করেছি শুধু। আমার পদক জয় নিয়ে কিছু কথা শুনেছি। অবশ্যই ফেডারেশনকে অভিযোগ জানাব। এই সাফল্যটা উপভোগ করতে চাইছি। পাশাপাশি, দ্রুত দেশে ফিরতে চাই। কারণ মায়ের শরীর ভাল নেই।’’ এর পরেই ক্ষমা চেয়ে নিলেন স্বপ্না।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন