লক্ষ্য সেন। —ফাইল চিত্র
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ব্যাডমিন্টনের ফাইনালে লক্ষ্য সেন। সেমিফাইনালে ১ ঘণ্টা ২৬ মিনিটের লড়াইয়ে লক্ষ্য হারান চাইনিজ় তাইপের চৌ তিয়েন চেনকে। দ্বিতীয় বাছাইয়ের বিরুদ্ধে লক্ষ্য জেতেন ১৭-২১, ২৪-২২, ২১-১৬ ব্যবধানে।
লক্ষ্যই একমাত্র যিনি ভারতীয়দের মধ্যে এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকলেন। এই বছর এই নিয়ে দ্বিতীয় কোনও বড় প্রতিযোগিতার ফাইনালে উঠলেন তিনি। এই সুপার ৫০০ সিরিজ়ের প্রতিযোগিতা জিতলে লক্ষ্যের জীবনে বড় সাফল্য হবে।
লক্ষ্য এর আগে এই বছর হংকং ওপেনের ফাইনালে উঠেছিলেন। এই মাসের শুরুতে জাপানে কামামোতো মাস্টার্সের সেমিফাইনালে উঠেছিলেন। এ বার অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের ফাইনালে উঠলেন।
রবিবার ফাইনালে কার মুখোমুখি হতে হবে লক্ষ্যকে, তা এখনও ঠিক হয়নি। দ্বিতীয় সেমিফাইনালে মুখোমুখি তৃতীয় বাছাই তাইপেইয়ের লিন চুন ই এবং জাপানের ইউশি তানাকা।
সেমিফাইনালে বিশ্বের ছ’নম্বর চৌ তিয়েন প্রথম গেমে শুরুতে ৪-০ ব্যবধানে এগিয়ে যান। এরপর বিরতিতে ১১-৬ ব্যবধানে এগিয়ে যান। ওই সময় লক্ষ্য একেবারেই ছন্দ খুঁজে পাচ্ছিলেন না। উল্টো দিকে চৌ তিয়েনের নির্ভুল নেট গেম এবং ধারাবাহিক আক্রমণাত্মক শট তাঁকে ২১-১৭ ব্যবধানে প্রথম গেম জিততে সাহায্য করে।
দ্বিতীয় গেমে লক্ষ্য ধৈর্য ধরে রাখেন। এই গেম যে কেউ জিততে পারতেন। কখনও লক্ষ্য এগিয়ে যান, কখনও চৌ তিয়েন। কিন্তু কেউ কোনও সময়ই বড় লিড নিতে পারেননি। ২২-২২ পয়েন্টে যখন গেম, লক্ষ্য পর পর দু’টি পয়েন্ট জিতে ২৪-২২ ব্যবধানে গেম জিতে নেন।
তৃতীয় গেমে লক্ষ্য শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক খেলেন। ১১-৬ ব্যবধানে এগিয়ে যান। সেখান থেকে লিড ১৪-৭ করেন। এর পর ম্যাচ যত এগিয়েছে, চৌ তিয়েনকে তত ক্লান্ত দেখিয়েছে। বার বার ‘আনফোর্সড এরর’ করতে থাকেন। লক্ষ্যের তীক্ষ্ণ ক্রস-কোর্ট স্ম্যাশ এবং নেট প্লে গেম এবং ম্যাচের নির্ধায়ক হয়ে ওঠে।
খেলা শেষ হওয়ার পর লক্ষ্য তাঁর বাবা এবং কোচ ডিকে সেনকে জড়িয়ে ধরেন। চাপের মুখে কী করে ম্যাচ বার করতে হয় এবং খেলার মাঝে প্রয়োজন অনুযায়ী ঙকী করে কৌশল পরিবর্তন করতে হয়, তা আরও এক বার দেখালেন লক্ষ্য।