শাহিদ আফ্রিদিকে পাল্টা দিলেন গৌতম গম্ভীর।
যুদ্ধ এ বার সীমানা পেরিয়ে ক্রিকেটেও। বলা ভাল দুই ক্রিকেটারের টুইট বাগ-যুদ্ধ। একজন ভারতীয়, অপর জন পাকিস্তানি।
দু’জনেই ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছেন, কিন্তু বিতর্ক তাঁদের পিছু ছাড়ছেই না। তাঁরা— প্রাক্তন ভারতীয় ওপেনার গৌতম গম্ভীর এবং প্রাক্তন পাকিস্তান অধিনায়ক শাহিদ আফ্রিদি।
আফ্রিদি তাঁর আত্মজীবনীতে আপত্তিকর কিছু মন্তব্য করেছিলেন। এ বার তারই জবাব দিলেন গম্ভীর। ভারতীয় দলের প্রাক্তন ওপেনার গৌতম গম্ভীর এ বার তীব্র আক্রমণ পাক ক্রিকেটার শাহিদ আফ্রিদিকে।
নিজের টুইটারে শাহিদকে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘শাহিদ একজন আজব মানুষ। তবে এখনও ভারত পাকিস্তানিদের মেডিক্যাল ভিসা দেয়। আমি ব্যক্তিগতভাবে শাহিদকে একজন মনোরোগ বিশেষজ্ঞের কাছে চিকিৎসার জন্য নিয়ে যাব।’
আরও পড়ুন: লিন-গিল ম্যাজিক, না ওয়ারিয়রের যুদ্ধ, নাইটদের পঞ্জাব বধের মূল কারণ কী
এর আগে আত্মজীবনীতে শাহিদ বলেছিলেন, গম্ভীরের কোনও ব্যক্তিত্ব নেই। তাঁর আচরণগত সমস্যা রয়েছে। শাহিদের টুইটে বলা হয়েছিল, ‘‘কিছু রেষারেষি ব্যক্তিগত, কিছু পেশাগত। প্রথমটা গম্ভীরকে নিয়ে। বেচারা গম্ভীর এমন এক জন, যাঁকে বড় জোড় ক্রিকেটের একটা চরিত্র বলা যাতে পারে। এমন এক জন, যাঁর কোনও বিরাট রেকর্ড নেই কিন্তু প্রচণ্ড ঔদ্ধত্য আছে,’’ আত্মজীবনীতে এমনটাই লিখেছেন আফ্রিদি। এর পাল্টা গম্ভীর টুইট করে বলেন, আফ্রিদির মানসিক চিকিৎসা প্রয়োজন। তিনিই প্রয়োজনে নিয়ে যাবেন।
আরও পড়ুন: মডেল, মেধাবী ছাত্রী, এই স্কোয়াশ চ্যাম্পিয়নের স্বামী অন্যতম নাইট তারকা
অন্যদিকে, প্রাক্তন মনোবিদ প্যাডি আপটন তাঁর বই ‘দ্য বেয়ারফুট কোচ’-এ গম্ভীরকে নিয়ে কিছু মন্তব্য করেন আপটন, যা নিয়েও বিতর্ক হয়। তিনি লেখেন, ক্রিকেটার হিসেবে গম্ভীর খুবই ভাল ছিল। কিন্তু তাঁর সমস্যা ছিল মানসিক। প্রথম ২০-৪০ রান করার সময়ে গম্ভীর স্বাভাবিকই থাকত। কিন্তু তার পরে বড় রানের দিকে এগোতে শুরু করলেই গম্ভীরের মধ্যে একটা মানসিক অস্থিরতা কাজ করত। তিনি দুর্বল মনের ক্রিকেটার হিসাবেও উল্লেখ করেন গম্ভীরকে। এর পর সংবাদসংস্থাকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে গম্ভীর বলেছেন, ‘‘প্যাডি মানুষ হিসেবে অসাধারণ। প্যাডির কোনও অসৎ উদ্দেশ্য নেই।’’ অ্যাপটনের প্রতি তাঁর পূর্ণ আস্থা রয়েছে বলেও জানান গম্ভীর।
তবে এই মুহূর্তে গম্ভীর দেশের লোকসভার নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত। দিল্লির একটি আসনে বিজেপি প্রার্থী হয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন তিনি। তিনবার নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘনের অভিযোগও উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে।
গম্ভীর তাঁর কেরিয়ারে ৫৮টি টেস্ট খেলেছেন। ওয়ান ডে এবং টেস্ট খেলেছেন যথাক্রমে ১৪৭ ও ৩৭টি। সব ফর্ম্যাট মিলিয়ে গম্ভীরের ১০ হাজারের উপর রান। তুলনায় আফ্রিদি ৩৯৮টি ওয়ান ডে খেলেছেন, অনেক ম্যাচই ওপেনার হিসেবে। আট হাজারের উপর রান রয়েছে। তবে গড় ২৪-এরও কম। গম্ভীরের ওয়ান ডে গড় সেখানে প্রায় ৪০। টেস্টে প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটারের গড় আরও বেশি, প্রায় ৪২। আফ্রিদির টেস্টে গড় ৩৬-এর একটু বেশি। শুধু তাই নয়, ২০০৭ টি-টোয়েন্টি ফাইনালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে গম্ভীরই সর্বাধিক রান করেন। ৭৫।