অর্ণবরা যেতে পারছেন না মাদ্রিদের শিবিরে

প্রাক-বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় শিবির। আর তার জন্যই আইএসএল-এর প্রস্তুতি শিবিরে যাওয়া আটকে যেতে পারে অর্ণব মণ্ডল, সুনীল ছেত্রী, ইউজেনসন লিংডো বা ধনচন্দ্র সিংহদের। সোমবারই কলকাতায় ফেডারেশন সচিব কুশল দাস জানিয়ে দিলেন, ‘‘প্রাক-বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় শিবির বসবে আগামী ২৪ অগস্ট। চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময় জাতীয় দলের কোনও ফুটবলারকেই ছাড়া হবে না।’’

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৪ জুলাই ২০১৫ ০৩:১২
Share:

জাতীয় শিবিরে ফুটবলার ছাড়া নিয়ে সমঝোতা নয়। সোমবার সাংবাদিক সম্মেলনে ফেডারেশেন সচিব কুশল দাস। —নিজস্ব চিত্র

প্রাক-বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় শিবির। আর তার জন্যই আইএসএল-এর প্রস্তুতি শিবিরে যাওয়া আটকে যেতে পারে অর্ণব মণ্ডল, সুনীল ছেত্রী, ইউজেনসন লিংডো বা ধনচন্দ্র সিংহদের।
সোমবারই কলকাতায় ফেডারেশন সচিব কুশল দাস জানিয়ে দিলেন, ‘‘প্রাক-বিশ্বকাপের জন্য জাতীয় শিবির বসবে আগামী ২৪ অগস্ট। চলবে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এই সময় জাতীয় দলের কোনও ফুটবলারকেই ছাড়া হবে না।’’
বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জনকারী ম্যাচে ৮ সেপ্টেম্বর বেঙ্গালুরুতে স্টিভন কনস্ট্যানটাইনের ভারতের প্রতিপক্ষ ইরান। প্রাক-বিশ্বকাপের ম্যাচে এর আগে ওমান এবং গুয়ামের কাছে হারার ফলে স্বভাবতই ইরান ম্যাচে যাতে ফল সম্মানজনক হয় তার জন্য জাতীয় শিবিরে কোনও ছাড় দিতে নারাজ ফেডারেশন। এআইএফএফ সচিব এ দিন দক্ষিণ কলকাতার এক হোটেলে আয়োজিত সাংবাদিক সম্মেলনে বলেন, ‘‘ইরান ম্যাচের আগে শিবিরটা সময় নিয়ে হবে। পরের শিবিরগুলো এত দীর্ঘ সময় না করে স্বল্প সময়ে করার পরিকল্পনা রয়েছে। কারণ, অক্টোবর থেকে নভেম্বরের দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে তিনটি প্রাক-বিশ্বকাপের ম্যাচ রয়েছে। যার মধ্যে দু’টি অ্যাওয়ে ম্যাচ। ফলে এই সময়ে লম্বা শিবির করা যাবে না।’’
এ দিকে, আটলেটিকো কর্তারা ইতিমধ্যেই জানিয়ে দিয়েছেন, ২৫ অগস্ট থেকে মাদ্রিদে তিন সপ্তাহের আবাসিক শিবির হবে। পারফর্ম্যান্সের নিরিখে গত আইএসএলের সেরা ডিফেন্ডার অর্ণব মণ্ডল প্রাক-বিশ্বকাপের পরবর্তী ম্যাচগুলোতে জাতীয় দলে যে ডাক পাবেনই সে খবর রয়েছে ফেডারেশন সূত্রেই। ফলে মাদ্রিদে আবাসিক শিবিরে যাওয়া হচ্ছে না তাঁর। ফোনে যোগাযোগ করা হলে এ দিন অর্ণব বলেন, ‘‘এখনও ফেডারেশনের ডাক পাইনি তাই আগাম কিছু বলা যাবে না। তবে জাতীয় শিবিরে ডাক পেলে আর মাদ্রিদের আবাসিক শিবিরে যাওয়া হবে না।’’

Advertisement

এ দিকে, জাতীয় দলে নতুন প্রতিভা তুলে আনা এবং ইউথ ডেভেলপমেন্টে গতি আনতে দেশের সাতটি রাজ্য সংস্থাকে নিয়ে বিশেষ প্রকল্প শুরু করতে চলেছে ফেডারেশন। কলকাতা ছাড়া বাকি রাজ্য হল অসম, দিল্লি, মহারাষ্ট্র, গোয়া, কেরল এবং মিজোরাম।

ফেডারেশন সচিব কুশল দাস বলেন, ‘‘গোটা দেশে ফুটবলকে ছড়িয়ে দেওয়ার জন্যই এই প্রকল্প। ফিফার সহযোগিতায় সংশ্লিষ্ট সংস্থা গুলোতে অর্নূধ্ব-১৫ রাজ্য লিগ শুরু চলতি বছরেই। এর জন্য বিপণন এবং ফুটবলের টেকনিক্যাল বিশেষজ্ঞ বহনের খরচ দেবে ফিফা।’’

Advertisement

অনুষ্ঠানে ফিফার ডেভেলপমেন্ট অফিসার সাজি প্রভাকরণ বলেন, ‘‘ছ’মাস পরে যদি দেখা যায় কোনও রাজ্য সংস্থা এই প্রকল্পে অগ্রগতি দেখাচ্ছে না তা হলে সেই সংস্থাকে সরিয়ে অন্য রাজ্য সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে।’’ আইএফএ সভাপতি সুব্রত দত্ত এই প্রকল্পের সুবিধা সম্পর্কে বলেন, ‘‘এতে বাংলার উঠতি ফুটবল প্রতিভা খুঁজে উৎকর্ষ বাড়ানোর কাজ হবে। গতি পাবে নার্সারি ফুটবল।’’ বৈঠকে হাজির ছিলেন আইএফএ সচিব উৎপল গঙ্গোপাধ্যায়ও।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন