স্মিথ-কাণ্ডে প্রচণ্ড ক্ষুব্ধ গাওস্কর, কপিলরা

স্টিভ স্মিথ বনাম বিরাট কোহালির লড়াইয়ে ভারতীয় অধিনায়ক পাশে পাচ্ছেন দেশের ক্রিকেট কিংবদন্তিদের। সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব, ভিভিএস লক্ষ্মণ— সবাই একহাত নিয়েছেন স্মিথকে।

Advertisement

নিজস্ব প্রতিবেদন

শেষ আপডেট: ০৮ মার্চ ২০১৭ ০৩:৪৯
Share:

স্টিভ স্মিথ বনাম বিরাট কোহালির লড়াইয়ে ভারতীয় অধিনায়ক পাশে পাচ্ছেন দেশের ক্রিকেট কিংবদন্তিদের।

Advertisement

সুনীল গাওস্কর, কপিল দেব, ভিভিএস লক্ষ্মণ— সবাই একহাত নিয়েছেন স্মিথকে। গাওস্কর যেমন এক টিভি চ্যানেলে বলেছেন, ‘‘পরিষ্কার দেখা গিয়েছে স্মিথ ড্রেসিংরুমের দিকে তাকিয়ে জানতে চাইছে, কী হল। আমি দেখতে চাই, আইসিসি আর ম্যাচ রেফারি এই নিয়ে কী করে।’’ কপিল টুইট করেছেন, ‘‘মাঠে অস্ট্রেলীয় অধিনায়কের আচরণ দেখে সত্যিই হতাশ হয়েছি।’’ ভিভিএস লক্ষ্মণের টুইটের বক্তব্যও প্রায় একই। লক্ষ্মণ লিখেছেন, ‘‘রিভিউ চাওয়ার সময় স্টিভ স্মিথ যে ভাবে ড্রেসিংরুমের দিকে তাকাল, সেটা সত্যিই খারাপ লেগেছে।’’

বিরাট বনাম স্মিথ হয়েই যুদ্ধটা থেমে থাকেনি। অস্ট্রেলিয়ার বর্তমান এবং প্রাক্তন ক্রিকেটারদেরও ছাড়েননি ভারত অধিনায়ক। নাথন লায়ন প্রথম ইনিংসে কোহালিকে আউট করে বলেছিলেন, ‘‘সাপের মাথাটা ফিরিয়ে দিতে পেরে খুব ভাল লাগছে।’’ জবাবে কোহালি বলেন, ‘‘সাপের মাথা কাটার ব্যাপারটা কয়েক দিন ধরেই শুনছি। সাপ কিন্তু ভালই খেলেছে। সাপের মাথার ওপর বেশি নজর দিতে গেলে কামড় অন্য দিক দিয়ে খেতে হবে। আসলে আমরা টিম হিসেবে খেলি। কোনও এক জন ব্যক্তির ব্যাপার নয় এটা।’’

Advertisement

অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন উইকেটকিপার ইয়ান হিলিকেও ছেড়ে দেননি কোহালি। ভারত অধিনায়কের আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন হিলি। মঙ্গলবার কোহালি যার জবাবে বলেন, ‘‘ভারতে ১২০ কোটি মানুষ আছে। বাইরের কে এক জন কী বলল, তাতে কিছু এসে যায় না আমার। আমি শুধু বলব, একবার ইউ টিউবটা দেখে নেবেন। আম্পায়ারের সিদ্ধান্তে হিলি নিজে কী আচরণ করেছিল, সেটা দেখতে পাবেন।’’ প্রসঙ্গত, ১৯৯৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে টেস্টে আম্পায়ার আউট দেওয়ার পরে মাঠে দাঁড়িয়ে অভব্য আচরণ করেন হিলি।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন