কাঠগড়ায়: জবাবদিহি করতে হবে মারিনকে। ফাইল চিত্র
ভারতীয় পুরুষ হকি দলের কোচ হিসেবে তাঁর নিয়োগের সময়ই তৈরি হয়েছিল বিতর্ক। সেই ডাচ কোচ সোর্দ মারিন এ বার হকি ইন্ডিয়ার কড়া নজরে। গোল্ড কোস্টে সদ্য সমাপ্ত কমনওয়েলথ গেমসে কেন ভারতীয় হকি দল কোনও পদকই পেল না, এ বার এই প্রশ্ন ধেয়ে আসতে চলেছে তাঁর দিকে।
গত বারো বছরে এই প্রথম কমনওয়েলথ গেমস থেকে কোনও পদক পায়নি ভারত। যা ভাল ভাবে নেয়নি হকি ইন্ডিয়া। সূত্রের খবর, দ্রুত মারিনকে ডাকা হতে পারে এই ব্যর্থতার কারণ জানার জন্য। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবারই দলের অধিনায়ক মনপ্রীত সিংহ, সৃজেশ ও রূপিন্দর পাল সিংহদের মতো কয়েকজন বর্ষীয়ান সদস্যের সঙ্গে আলোচনায় বসেছিলেন হকি ইন্ডিয়ার কর্তারা। সেখানেই নাকি ঠিক হয়, পরবর্তী ধাপে ডাকা হবে কোচকে। ব্যর্থতার কারণ পর্যালোচনা করার পরে কড়া সিদ্ধান্তও নেওয়া হতে পারে প্রয়োজনে। চলতি বছরে তিনটি বড় টুর্নামেন্টে খেলবে ভারতীয় হকি দল। যার মধ্যে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি, এশিয়ান গেমস এবং বিশ্বকাপ। তাই কোচের মূল্যায়ন খতিয়ে দেখে সংশোধিত পদক্ষেপ করতে পারে হকি ইন্ডিয়া।
হকি ইন্ডিয়ার এক আধিকারিকের কথায়, ‘‘গোল্ড কোস্টে যে ফল করে ফিরেছে ভারত, তা কোনও মতেই কাম্য নয়। খুব খারাপ ফর্ম। হকি দলকে সব রকমের সুযোগসুবিধা দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বড় মঞ্চে গিয়ে প্রত্যাশাপূরণেই ব্যর্থ হয়েছে দল।’’ তিনি সঙ্গে যোগ করেন, ‘‘কমনওয়েলথ গেমসে এ বারও হকিতে পদক জেতার অন্যতম দাবিদার ছিল ভারত। কিন্তু র্যাঙ্কিংয়ে নিচের দিকে থাকা দল ওয়েলস, পাকিস্তান, নিউজিল্যান্ড ও ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ভাল খেলতে পারেনি মারিনের দল।’’
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ২-২ ড্র করে ভারত। যে ম্যাচে ২-১ এগিয়ে থেকে শেষ সাত সেকেন্ডে গোল খায় ভারত। দল বাছতে গিয়ে সর্দার সিংহ, রমনদীপ সিংহদের মতো অভিজ্ঞদের বাদ দিয়ে বিবেক সাগর প্রসাদ, দিলপ্রীত সিংহ, গুরিন্দর সিংহদের মতো তরুণ প্রতিভাদের দলভুক্ত করেছিলেন ভারতীয় হকির ডাচ কোচ। যা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছিল। এ বার পদকহীন ভাবে দেশে ফেরার পরে সেই বিতর্ক আরও তুঙ্গে বলে খবর। ভারতীয় হকি সংস্থার কর্তারা আরও বলছেন, ‘‘খেলোয়াড়রা কেন প্রত্যাশিত ফল করতে ব্যর্থ তার জন্য কোচও দায়বদ্ধ। মারিনের কাছে সেটাই জানতে চাইব।’’
অতীতে হকি ইন্ডিয়া ফল দেখাতে না পারার জন্য বিদায় করেছে রোল্যান্ট অল্টম্যান্স, টেরি ওয়ালশ, মাইকেল নবস এবং রিক চার্লসওয়ার্থকে। এ বার মারিনের ভাগ্যও সেই পথেই এগোচ্ছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। মজার ব্যাপার এটাই যে মারিন বেতন পান সাই (স্পোর্টস অথরিটি অব ইন্ডিয়া) থেকে। অথচ তাঁর পারফরম্যান্স খতিয়ে দেখার দায়িত্ব নিয়েছে হকি ইন্ডিয়া।