গ্যালারি থেকে দলের জন্য গলা ফাটাবেন রবি কিন

রবি না থাকলে কর্নার বা ফ্রি কিক, সবই মারতে হবে জোস ডস স্যান্টোস ব্র্যাঙ্কোকে।  কোচ টেডি  সে রকমই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন টিমকে।

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৩ নভেম্বর ২০১৭ ০৪:১০
Share:

রবি কিন রবিবার জার্সি পরে মাঠে নামতে পারছেন না। তবে পুণে এফ সি ম্যাচে টেরি শেরিংহ্যামের টিমকে তাতাতে ড্রেসিংরুম ও গ্যালারিতে দেখা যাবে ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের এই সফল স্ট্রাইকারকে। চোট সারিয়ে শনিবারই শহরে ফিরছেন এটিকে তারকা। তাঁকে পয়লা ডিসেম্বর মেহতাব হোসেনদের বিরুদ্ধে জামশেদপুরে হয়তো খেলতে দেখা যাবে।

Advertisement

রবি না থাকলে কর্নার বা ফ্রি কিক, সবই মারতে হবে জোস ডস স্যান্টোস ব্র্যাঙ্কোকে। কোচ টেডি সে রকমই নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন টিমকে। এটিকের গোপন এই সেট পিস তথ্য এ দিন সামনে এনে দিলেন ব্র্যাঙ্কো। পর্তুগিজ এই মিডিওকে সবাই চেনে অবশ্য জিকুনহা নামে।

বুধবার রাজারহাটের এক পাঁচ তারা হোটেলে বসে জিকুনহা বলে দিলেন, ‘‘রবি আর আমি অনুশীলন ম্যাচে সেট পিস মারতাম। কিন্তু এখন কোচ বলে দিয়েছেন বেশির ভাগ কর্নার বা ফ্রিকিক আমাকেই মারতে।’’ গতবারের চ্যাম্পিয়নরা উদ্বোধনী ম্যাচ জিততে পারেনি কেরল ব্লাস্টার্সের বিরুদ্ধে। তবে ওই ম্যাচে নব্বই শতাংশ সেট পিস মেরেছিলেন জিকুনহাই।

Advertisement

এ বারের খোলনলচে বদলানো এটিকে টিম নিয়ে আগ্রহ এখনও সে ভাবে দানা বেঁধে ওঠেনি শহরে। এ দিন থেকে শহরের বিভিন্ন জায়গায় দেখা যাচ্ছে ফুটবলারদের ছবি-সহ ‘আমার বুকে এটিকে’ লেখা হোর্ডিং। কিন্তু সেখানে শেরিংহ্যাম আর রবি ছাড়া তারকার সংখ্যা এত কম যে, দর্শক টানতে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায় আর অভিনেতা দেবের ছবি দিতে হচ্ছে এটিকের জার্সি পরিয়ে ফুটবলারদের পাশে। তার উপর ইস্টবেঙ্গল এবং মোহনবাগানের বেশির ভাগ ফ্যান ক্লাবই তাদের সমর্থকদের ইন্ডিয়ান সুপার লিগ বয়কটের ডাক দিয়েছে। ফেস বুক বা ফ্যান পেজে ভরে যাচ্ছে প্রতিদিন। ফলে মাঠে কত লোক হবে তা নিয়ে চিন্তায় এটিকে কর্তারা।

রবিবার পুণে সিটির বিরুদ্ধে টুনার্মেন্টের দ্বিতীয় ম্যাচ টেডির টিমের। কিন্তু যা খবর তাতে বুধবার পর্যন্ত টিকিট বিক্রি হয়েছে হাজার কুড়ি। এই পরিস্থিতিতে দলের দুই ফুটবলার ব্র্যাঙ্কো ও রবিন সিংহকে দিয়ে সাংবাদিক সম্মেলন করানো হল এদিন বিকেলে। সেট পিসের বাইরে যেমন জিকুনহার মুখ থেকে বেরিয়েছে, ‘রবি কিনের মতো তারকা মাঠে থাকলে টিমের ফুটবলাররা উদ্বুদ্ধ হয়,’ তেমনই রবিন সিংহ বলেছেন, ‘‘আই লিগের সঙ্গে আমার কোনও বিরোধ নেই। সময় পেলে বন্ধুদের খেলা দেখতে যাব। লাল-হলুদকে এখনও আমার হৃদয় জুড়ে। ইস্টবেঙ্গলকে মিস করব।’’

রবি কিন, কার্ল বেকার, জয়েশ রানেরা চোট পেয়ে মাঠের বাইরে। তা সত্ত্বেও কোচিতে কেরলকে হারানোর সুযোগ পেয়েছিল টেডির টিম। জিকুনহার শট পোস্টে লেগে ফিরেছিল। পর্তুগিজ ফুটবলারটির একটি ফ্রি কিক থেকে দুর্দান্ত হেড করেছিলেন ইয়ার্ডি। কেরল কিপার তা বাঁচান কোনওমতে। সেই প্রসঙ্গ তুললে জিকুনহা বলে দেন, ‘‘আমার দুর্ভাগ্য, সে দিন গোলটা পেলাম না। ওরকম শট আমি অনুশীলনে প্রচুর মারি। গোলও হয়।’’

তিন বছর তিন টিমের জার্সি পরে আইএসএল খেলছেন রবিন সিংহ। গোয়ায় জিকোর কোচিংয়ে খেলেছেন গতবার। এ বার খেলছেন টেডির কাছে। কার কোচিং ভাল লাগছে? প্রশ্ন শুনে বিব্রত মনে হল এটিকে স্ট্রাইকারকে। বলে দিলেন, ‘‘এক এক-জন কোচের এক-এক রকম স্ট্র্যাটেজি থাকে। সেটাই তাঁরা করেন। আমি পরিশ্রমে বিশ্বাসী। কোচেরা যেখানে খেলাবেন সেখানেই খেলব।’’

এটিকের দুই ফুটবলার অবশ্য রবিবারের পুণে ম্যাচ সম্পর্কে কিছু বলতে চাননি। দু’জনেই বলে দেন, ‘‘চ্যাম্পিয়ন হওয়াই লক্ষ্য আমাদের। সেই ভাবনা নিয়েই সব ম্যাচ খেলতে নামব।’’

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন