অস্ট্রেলিয়া সফরে ‘টিম ইন্ডিয়া’র মাঠের চ্যালেঞ্জ সামলানোর আগে মাঠের বাইরে সংবাদমাধ্যমের একাধিক বাউন্সার সামলাতে হল হেড কোচ রবি শাস্ত্রীকে। এ দিনই মাঠে নেমে পড়ল ভারতীয় দল। বিরাট কোহালিদের নেটে ব্যাটিং অনুশীলন করতেও দেখা যায়। তার মধ্যেই ব্রিসবেনে রবিবার সাংবাদিক বৈঠকে শাস্ত্রী যা বললেন—
বিদেশ সফরে সাফল্য
বিদেশ সফরের ক্ষেত্রে অন্য ক্রিকেট দলগুলোও কিন্তু সাম্প্রতিক কালে সে রকম সাফল্য পায়নি। নয়ের দশকে বা তার পরের দশকের গোড়ার দিকে অস্ট্রেলিয়া দল বিদেশ সফরে সাফল্য পেয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকারও কিছু সাফল্য রয়েছে। এই দুটো দল বাদে গত পাঁচ-ছ’বছরে এমন একটা দলের নাম বলুন, যারা বিদেশে সফল হয়েছে। তাই শুধু মাত্র ভারতীয় দলকে উদ্দেশ্য করেই কেন তোলা হবে প্রশ্নটা?
সুযোগ কাজে লাগানোই লক্ষ্য
কী ভাবে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে জ্বলে উঠতে হবে, সে ব্যাপারে আমরা দলের সঙ্গে কথা বলেছি। টেস্ট ম্যাচগুলোর স্কোরলাইন দিয়ে সব বোঝা যায় না। অনেকগুলো টেস্ট ম্যাচেই জয়ের খুব কাছাকাছি গিয়েছিলাম। আমরা বেশ কিছু ভাল সুযোগও পেয়েছিলাম। কিন্তু কাজে লাগাতে পারিনি। যার খেসারত শেষ পর্যন্ত আমাদের দিতে হয়েছে সিরিজ হেরে।
এই অস্ট্রেলিয়া ‘দুর্বল’ নয়
আমার মতে, একটা ক্রীড়া-সংস্কৃতি তৈরি হয়ে গেলে সেটা থেকেই যায়। আমি সব সময় বিশ্বাস করে এসেছি কোনও দলই তাদের ঘরের মাঠে দুর্বল নয়। ভগবান না করুক, হয়তো কোনও বিদেশি দল ভারত সফরে আসার পরে আমাদের কয়েক জন ক্রিকেটার খেলতে পারল না। তা বলে কেউ যদি ভারতীয় দলকে তখন দুর্বল ধরে নেয়, তা হলে অনেক চমকের জন্য প্রস্তুত থাকতে হবে।
আরও পড়ুন: কোহালি নিয়ে বিতর্ক ভিত্তিহীন, ভারতীয় বোর্ড বলল আবর্জনা
কোহালির আগ্রাসন
বিরাট পেশাদার খেলোয়াড়, এখন আরও পরিণত। চার বছর আগে এখানে আপনারা ওকে দেখেছেন। এর মধ্যে ও গোটা বিশ্বে বিভিন্ন জায়গায় খেলার অভিজ্ঞতা সঞ্চয় করেছে। দলের অধিনায়কত্ব সামলেছে। তার সঙ্গে দায়িত্বও বেড়েছে। পরিস্থিতির সঙ্গে ও খুব ভাল মানাতে পারে। তা বলে বিরাটের তীব্রতা কমবে না। অস্ট্রেলিয়ায় খেলতে ভালবাসে বিরাট। ক্রিকেট নিয়ে ও খুব আবেগপ্রবণ। অস্ট্রেলিয়ার পিচের সঙ্গে ওর খেলার ধরনটা খুব ভাল মেলে।
স্লেজিং নয়, জেতায় পারফরম্যান্স
স্লেজিং ওরা করুক বা না করুক, তীব্রতা কমবে না। দিনের শেষে ক্রিকেটটাই আসল কথা। ম্যাকগ্রা বা ওয়ার্ন কী বললেন (অস্ট্রেলীয় দলের মাঠে মানসিকতা নিয়ে) বা কী বললেন না, তা নিয়ে আমার মাথাব্যথা নেই। সহজ সরল কথাটা হল, যে দক্ষ, সে যদি কাজটা ধারাবাহিক ভাবে করে যেতে পারে, তা হলে কোন দলের হয়ে সে খেলছে, কার বিরুদ্ধে খেলছে বড় কথা নয়। সেই ক্রিকেটার ভাল করবেই, সঙ্গে তাঁর দলও।
‘নির্দয়’ মানসিকতা
আমরা নির্দয় মানসিকতা নিয়ে মাঠে নামব। আমাদের লক্ষ্য নিজেদের সেরাটা উজাড় করে দেওয়া। বাইরের ব্যাপারের চেয়ে বেশি ফোকাস করতে চাই আমার দলের খেলায়।
হাদির্কের অভাব
হার্দিকের অভাব আমরা অনুভব করব। ওর এখন চোট রয়েছে। অলরাউন্ডারের ভূমিকায় ও দলের ভারসাম্য ঠিক রাখে। যে জন্য আমরা অতিরিক্ত একজন বোলার খেলানোর সুবিধে পাই। যদি ফাস্ট বোলাররা ভাল পারফর্ম করতে পারে, তা হলে হার্দিকের অভাব হয়তো অনুভব করব না আমরা।
ভারতীয় বোলারদের সুযোগ
অতীতে আমরা দেখেছি, একজন বা দু’জন বোলার কয়েকটা স্পেলে ভাল করেছে। কিন্তু একটা বোলিং ইউনিট হিসেবে যদি তিন, চার বা পাঁচ ঘণ্টা তীব্রতা ধরে রাখা যায়, তা হলে যে কোনও ব্যাটিং লাইন আপকেই পরীক্ষার মুখে ফেলা যাবে।