সময় পেলে এরাই অশ্বিনকে সামলে নেবে, ডি’সিলভাও তো দু’দিনে হয়নি

সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে ভারত যে দিন সিরিজ নির্ণায়ক টেস্ট যুদ্ধে নামবে, তার এক দিনের মধ্যে একটা নতুন অ্যাসাইনমেন্টে নেমে যেতে হবে তাঁকে। তাঁরই দেশে শেষ টেস্ট শুরুর দিনে ঢুকে যাচ্ছে বাংলা। শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট টিমের সঙ্গে চার দিনের, এক দিনের সব ম্যাচই খেলতে হবে বাংলাকে। যেখানে ভিশন ২০২০-র স্পিন-গুরুও থাকবেন। তার আগে সঙ্গকারা-উত্তর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সম্ভাবনা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং সিরিজ নিয়ে ফোন সাক্ষাত্‌কারে মুথাইয়া মুরলীধরন আনন্দবাজারকে যা যা বললেন...সিংহলিজ স্পোর্টস ক্লাবের মাঠে ভারত যে দিন সিরিজ নির্ণায়ক টেস্ট যুদ্ধে নামবে, তার এক দিনের মধ্যে একটা নতুন অ্যাসাইনমেন্টে নেমে যেতে হবে তাঁকে। তাঁরই দেশে শেষ টেস্ট শুরুর দিনে ঢুকে যাচ্ছে বাংলা। শ্রীলঙ্কা বোর্ড প্রেসিডেন্ট টিমের সঙ্গে চার দিনের, এক দিনের সব ম্যাচই খেলতে হবে বাংলাকে। যেখানে ভিশন ২০২০-র স্পিন-গুরুও থাকবেন। তার আগে সঙ্গকারা-উত্তর শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটের সম্ভাবনা, রবিচন্দ্রন অশ্বিন এবং সিরিজ নিয়ে ফোন সাক্ষাত্‌কারে মুথাইয়া মুরলীধরন আনন্দবাজারকে যা যা বললেন...

Advertisement

রাজর্ষি গঙ্গোপাধ্যায়

কলম্বো শেষ আপডেট: ২৮ অগস্ট ২০১৫ ০৩:৫৭
Share:

প্রশ্ন: শ্রীলঙ্কা টিমে আর কোনও অভিভাবকই তা হলে পড়ে থাকল না। আপনি অবসর নিয়ে ফেলেছেন। জয়র্বধনে ছেড়ে দিয়েছেন। কুমার সঙ্গকারাও চলে গেলেন। টিমটাকে এর পর থেকে আর টানবে কে?

Advertisement

মুরলী: কেন, যারা আছে তারাই টানবে। দেখুন, ভারতের কাছে ওরা স্রেফ একটা টেস্ট হেরেছে। কিন্তু দেখছি সবাই ভুলে যাচ্ছে যে ওরা প্রথম টেস্টটা দুর্দান্ত ভাবে জিতেওছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধেও গত সিরিজে টেস্ট জিততে অসুবিধে হয়নি। এটা সবাই জানে যে টিমটা নতুন। অ্যাঞ্জেলো, চন্ডিমলদের বাদ দিলে সিনিয়র তেমন নেই। কিন্তু এদের তো সুযোগ দিতে হবে। সময় দিতে হবে তৈরি হওয়ার জন্য। তার আগে বিচার করাটা কি ঠিক?

Advertisement

প্র: কিন্তু গত দু’যুগে শ্রীলঙ্কা ঠিক কাউকে না কাউকে পেয়ে গিয়েছে দেশের ক্রিকেটকে টানার জন্য। একটা অরবিন্দ ডি’সিলভা গেলে একটা মাহেলা জয়র্বধনেকে পেয়েছে। একজন কুমার সঙ্গকারা এসেছেন। জয়র্সূযের বিস্ফোরক ব্যাটিং পরে দিলশান করে দেখিয়েছেন। বোলিংকে আপনি টেনেছেন বহু দিন। কিন্তু ম্যাথেউজের টিমে তো তিনি স্বয়ং ছাড়া আর কেউ নেই যার উপর ভরসা করা যায়। অশ্বিনকে সামলানোর তো লোকই পাওয়া যাচ্ছে না। সমস্যাটা কী? প্রতিভার অভাব?

মুরলী: প্রতিভার অভাব কেন হবে? আমি তো মনে করি এখন যে টিমটা খেলছে, প্রতিভায় এরাও কিছু কম যায় না। কিন্তু এসেই তো কারও পক্ষে দুর্ধর্ষ ব্যাটসম্যান হয়ে যাওয়া সম্ভব নয়। অরবিন্দ ডি’সিলভার কথা বলছেন। কিন্ত ও কি দু’দিনে অরবিন্দ ডি’সিলভা হয়ে গিয়েছিল? এদেরও সময় দিন। দেখবেন, এরাও অশ্বিনদের এক সময় সামলে নেবে।

প্র: টিমের বিপদের সময় আপনি নিজে ছেলেদের সঙ্গে কোনও ভাবে যোগ দেবেন? সুনামির সময় আপনি প্রচুর কাজ করেছিলেন দেশের লোকের পাশে দাঁড়িয়ে। এখন তো ক্রিকেটের সুনামি চলছে।

মুরলী: জানি না। আমার প্রচুর কাজ আছে এখন। আইপিএল কন্ট্র্যাক্ট আছে। আপনাদের বাংলার কোচিং আছে। কিন্তু তার চেয়েও জরুরি, প্রস্তাবটা আসা। দেশ ডাকলে যাব তো নিশ্চয়ই।

প্র: অশ্বিনের বোলিং নিয়ে কী বলবেন? আইপিএলে এক সময় আপনার টিমমেট ছিলেন। কোনও ভারতীয় স্পিনার শ্রীলঙ্কায় আজ পর্যন্ত যা করে দেখাতে পারেননি, অশ্বিন সেটা করেছেন। সিরিজে এখনও পর্যন্ত সতেরো উইকেট। বদলটা কোথায় হল?

মুরলী: বোলিংয়ে খুব বেশি বদল ও আনেনি। ওকে যেটা শিখিয়েছে, তা হল অভিজ্ঞতা। অস্ট্রেলিয়া সফরটা ওর ভাল যায়নি। কিন্তু ও সেখান থেকে যা শিখেছে, সেগুলোকে এখন কাজে লাগাচ্ছে। ওই সফরটা ওকে সামনে এগোনোর জন্য তৈরি করে দিয়েছে।

প্র: আপনি অনিল কুম্বলের সঙ্গে খেলেছেন। হরভজন সিংহের সঙ্গেও খেলেছেন। এখন অশ্বিনকে দেখছেন। ইতিমধ্যেই যাঁকে ‘কোহলির কুম্বলে’ বলে ডাকা হচ্ছে। এই দুইয়ের পাশে কোথায় রাখবেন অশ্বিনকে?

মুরলী: আমি কোনও দিনই এ সব তুলনায় যাইনি। এ সব করা মিডিয়ার কাজ। মিডিয়া করবে। আমি ঢুকব না। কুম্বলে নিজের মতো ভয়ঙ্কর ছিল। হরভজনও। তা ছাড়া ওরা একটা পার্টনারশিপে বহু দিন বল করে গিয়েছে। আমি খামোখা সেখানে অশ্বিনকে ওদের সঙ্গে তুলনায় ফেলব কেন?

প্র: ঠিক আছে। তুলনায় গেলেন না। কিন্তু সিরিজটা শেষ পর্যন্ত কী দাঁড়াবে একটু বলবেন?

মুরলী: এখন তো ১-১...(একটু থেমে) বলা যায় না নিশ্চিত করে। যা কিছু হতে পারে শেষ টেস্টটায়। সত্যি বলব? জানি না। বুঝতে পারছি না।

প্র: কোনও প্রেডিকশন নেই।

মুরলী: নাহ্। কে-ই বা সেটা করতে পারে? মিডিয়াও পারবে বলতে?

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement
আরও পড়ুন